ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করার পরিপ্রেক্ষিতে এমন সাক্ষাত্ আয়োজিত হয়।
জানা গেছে, সাক্ষাতে পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ নাকচ করেন। ৯০ মিনিটের বৈঠকে দু'পক্ষ 'পরমাণু চুক্তি'র বিষয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে নি।
১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস চুক্তি অনুযায়ী ৫০০ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা যাবে না।
তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কেন এই চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে? এর প্রধান কারণ হল 'আমেরিকা ফার্স্ট' কৌশল। মার্কিন বাহিনী পুনরুদ্ধার এবং অস্ত্র উন্নয়ন করা হল যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য। যুক্তরাষ্ট্রকে তা বাস্তবায়ন করতে হলে 'পরমাণু চুক্তি'র নিষেধাজ্ঞা ভেঙে দিতে হবে। এ ছাড়া চুক্তি থেকে সরে যাবার পর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শিল্প আরো জোরদার হতে পারবে। চুক্তি থেকে সরে যাওয়া শুধু একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, এর আসলে অনেক অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যও আছে।
আসলে এই পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ার কারণে বিশ্বের অস্ত্র উন্নয়ন নিশ্চয়ই আরো দ্রুত হবে। তা বিশ্বের শান্তির জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক প্রতিবাদ করে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শান্তির ভিত্তি নষ্ট করছে। (শুয়েই/টুটুল)