1027jingji
|
১. বুদ্ধিমান যানবাহন বা ইন্টেলিজেন্ট কানেক্টেড ভিহিকল (আইসিভি) উৎপাদন খাত ও এই খাতসংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রমোট করবে বেইজিং। বেইজিং মিউনিসিপাল কমিশন অফ ইকনোমি অ্যান্ড ইনফরমেশান টেকনলোজি সম্প্রতি এ-তথ্য জানিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, ২০২২ সাল নাগাদ চীনে আইসিভি খাতের মোট বাজারমূল্য দাঁড়াবে ১০,০০০ কোটি ইউয়ানে।
বেইজিং মিউনিসিপাল কমিশন অফ ইকনোমি অ্যান্ড ইনফরমেশান টেকনলোজি সম্প্রতি এক শ্বেতপত্রে আরও জানায়, ২০২২-এর শীতকালীন অলিম্পিক গেমস-কে সামনে রেখে এই খাতে গবেষণাকাজ বেগবান করা হবে এবং এর ফল গেমস্-এ কাজে লাগানো হবে।
পরিকল্পনা অনুসারে, বেইজিংয়ের ৫০ হাজার হেক্টর এলাকাজুড়ে পাইলট জোন গড়ে তোলা হবে এবং আইসিভি যানবাহন পরীক্ষার জন্য দুই হাজার কিলোমিটার সড়ক চিহ্নিত করা হবে।
শ্বেতপত্র অনুসারে, বেইজিংয়ে বুদ্ধিমান ট্রাফিক-ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রক্রিয়াও জোরদার করা হবে। আইসিভি যানবাহন সড়ক নিরাপত্তা বাড়াবে, জ্বালানির ব্যবহার কমাবে, দুষণ কমাবে, ট্রাফিক জ্যাম কমাবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয় ওয়ার্ল্ড ইন্টেলিজেন্ট কানেক্টেড ভিহিকলস কনফারেন্স। কনফারেন্স উপলক্ষ্যেই উক্ত শ্বেতপত্রটি প্রকাশ করে বেইজিং।
২.চীনের ম্যাকাও বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে পরিবহন ও স্টোরেজ খাতে ২০১৭ সালে রাজস্ব দাঁড়ায় ২৭৭ কোটি মার্কিন ডলারে, যা আগের বছরের চেয়ে ১১.৭ শতাংশ বেশি। ম্যাকাও পরিসংখ্যান ব্যুরো সম্প্রতি এ-তথ্য জানায়।
ব্যুরো জানায়, যাত্রী পরিবহন ও সেবা খাতে আয় বাড়ার কারণেই মূলত রাজস্ব বেড়েছে। তা ছাড়া, পরিবহন ও স্টোরেজ খাতে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০১টি বেড়ে ২০১৭ সালে দাঁড়ায় ৩,০৫৪টিতে এবং এই খাতের সঙ্গে জড়িত কর্মীর সংখ্যা ৯.৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৯,৪৮৯ জনে।
৩. শুল্ক নিয়ে চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধ বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য হুমকি তৈরি করছে। একই সঙ্গে এর প্রভাবে সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রধান রবার্তো অ্যজেভাদো।
লন্ডনে সম্প্রতি তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত চীন ও যুক্তরাষ্ট্র নিজ নিজ অবস্থানে অনড় এবং আঘাতের বদলে আঘাত দেওয়ার নীতিতে অবিচল আছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্যযুদ্ধে অনড়। চীনও সমান তালে জবাব দিয়ে যাচ্ছে। ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও শুল্ক আরোপের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছেন।
এ বাণিজ্যযুদ্ধের ফলে বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও কর্মীদের ওপর বিরাট প্রভাব পড়বে। একই সঙ্গে বিভিন্ন সম্প্রদায়কে নতুন বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে। ফলে সম্ভাব্য লাখ লাখ কর্মীকে নতুন করে কাজ খুঁজতে হবে। আর ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন পণ্য বানানোর উপায় এবং তা বিক্রির জন্য নতুন বাজার খুঁজতে হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে উৎপাদনের জন্য নতুন উৎস বের করতে হবে বলে তিনি মনে করেন।
৪. রাষ্ট্রায়ত্ত ওয়েস্ট জোন পাওয়ার কোম্পানির (ওজোপাডিকো) উদ্যোগে বাংলাদেশে প্রথম বিদ্যুতের প্রি-পেমেন্ট মিটার তৈরি হতে যাচ্ছে।
এ লক্ষ্যে চীনের হেক্সিং ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে 'বাংলাদেশ স্মার্ট ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানি' নামে একটি যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠন করেছে ওজোপাডিকো। সম্প্রতি ঢাকার বিদ্যুৎভবনে এই কোম্পানি গঠনে ওজোপাডিকোর পক্ষে কোম্পানি সচিব আবদুল মোতালেব এবং চীনা কোম্পানির চেয়ারম্যান চো লিয়াংচাং চুক্তিতে সই করেন।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, কয়েক বছর ধরেই এ ধরনের একটি কোম্পানি গঠনের প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। ওজোপাডিকো এই প্রত্যাশা পূরণে প্রথম এগিয়ে আসায় তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতে যেন গ্যাসের ক্ষেত্রেও এ ধরনের মিটার প্রস্তুত করা যায়, সেদিকে নজর দেওয়ার কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
খুলনায় এ কোম্পানি আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। ২৮ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানির বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা হবে ৫ লাখ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার।
৫. বাহরাইন, ভারত, লেসোথো, ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জাতিসংঘ বিনিয়োগ প্রমোশন পুরস্কার (আইপিএ) পেয়েছে। জাতিসংঘের সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নিজ নিজ দেশকে সাহায্য করার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরস্কৃত করা হয়। সম্প্রতি জেনিভায় অনুষ্ঠিত 'বিশ্ব বিনিয়োগ ফোরাম, ২০১৮'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ফোরাম চলে ২২ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত। ফোরামের আয়োজন করে ইউনাইটেড ন্যাশন্স কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ইউএনসিটিএডি)।
পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে: লেসোথোর 'জাতীয় উন্নয়ন করপোরেশান'; দক্ষিণ আফ্রিকার ইনভেস্ট-এসএ; বাহরাইনের 'ইডিবি বাহরাইন'; ভারতের 'ইনভেস্ট ইন্ডিয়া'।
উল্লেখ্য, ২০০২ সাল থেকে প্রতিবছর আইপিএ পুরস্কার দিয়ে আসছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা।
৬. যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে নতুন ত্রিপক্ষীয় উন্মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি 'ইউএসএমসিএ' স্বাক্ষরের পূর্বশর্ত দিয়েছে মেক্সিকো। দেশটির একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, চুক্তি স্বাক্ষরের আগে যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকোর স্টিলের ওপর থেকে অতিরিক্ত শুল্ক তুলে নেবে বলে আশা করছে সরকার। আর এর জন্য লবিইং জোরদার করেছে মেক্সিকো।
মেক্সিকোর শিল্প ও বাণিজ্য উপমন্ত্রী রোজালিও গার্জা বলেছেন, স্টিল কোম্পানিগুলো খুব শিগগিরি একটা ভালো খবর পেতে পারে। সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
মার্কিন সরকার গত জুনে মেক্সিকো, কানাডা, ইইউ ও অন্যান্য দেশ থেকে স্টিলের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ ও অ্যালুমিনিয়ামের পণ্যের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এর পর যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-মেক্সিকোর মধ্যে ১৯৯৪ সালে স্বাক্ষরিত 'নাফটা' চুক্তি থেকেও বেরিয়ে আসার হুমকি দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিন দেশের মধ্যে নতুন করে আলোচনা হয় এবং তিন পক্ষ 'ইউএসএমসিএ' উন্মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপারে একমত হয়। আশা করা হচ্ছে, নভেম্বরের শেষ দিকে এই চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হবে।
৭. সম্প্রতি 'বাংলাদেশ-রাশিয়া আন্তঃসরকার কমিশন'-এর প্রথম সম্মেলন রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে অনুষ্ঠিত হয়। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে যোগ দেয় সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ দল।
বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকে (এডিবি) বাংলাদেশের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আহমেদ বাণিজ্যসচিব থাকার সময় তাঁর নেতৃত্বাধীন একটি দল ২০১৩ সালের অক্টোবরে রাশিয়া, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান ও ইউক্রেন সফর করে। তার ধারাবাহিকতায় অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিজ্ঞান ও কারিগরি সহায়তা বিষয়ে ২০১৭ সালের ১ মার্চ গঠন করা হয় বাংলাদেশ-রাশিয়া আন্তঃসরকার কমিশন। অন্যদিকে কমিশনের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বেসরকারি খাতে গঠন করা হয় কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্টস স্টেট (সিআইএস)-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিআই), সংক্ষেপে যা সিআইএস-বিসিসিআই নামে পরিচিত।
বাংলাদেশ-রাশিয়া আন্তঃসরকার কমিশনের প্রথম সম্মেলনের আগে যে কার্যপত্র তৈরি করা হয়, তাতে দেখা যায় ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৬০ কোটি ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে ১৪.৪ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে রাশিয়ায় বাংলাদেশ রফতানি করে ৮৮ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য, যা আগের বছরের চেয়ে ৩০.৯ শতাংশ বেশি। আর একই সময়ে রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে ৭৬ কোটি ২৯ লাখ ডলারের পণ্য, যা আগের বছরের চেয়ে ০.৬ শতাংশ কম।
তবে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-র তথ্য অনুযায়ী, সিআইএসভুক্ত (রাশিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, ইউক্রেন, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, আর্মেনিয়া, মালদোভা, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান) দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি রফতানি করে রাশিয়ায়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ রাশিয়ায় ৪৮ কোটি ৫২ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি করে। অন্যদিকে, উজবেকিস্তানে প্রায় ৩ কোটি ডলার, ইউক্রেনে ২ কোটি ১৪ লাখ ডলার, আর্মেনিয়ায় ২৮ লাখ ৯২ হাজার ডলার ও বেলারুশে ২৭ লাখ ৪৮ হাজার ডলার, মালদোভায় ২৩ লাখ ৫৬ হাজার, আজারবাইজানে ৭ লাখ ১৭ হাজার, তাজিকিস্তানে ৭ লাখ, কাজাখস্তানে ৬ লাখ, কিরগিজস্তানে ৩ লাখ এবং তুর্কমেনিস্তানে ২ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ।
এদিকে, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে ৬ হাজার কোটি ডলারের পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর জন্য পণ্যের বহুমুখীকরণের পাশাপাশি নতুন বাজারও দরকার। সিআইএসভুক্ত দেশগুলো হতে পারে সেই বাজার। তাঁরা বলছেন, বিদ্যমান বাণিজ্যিক বাধাসমূহ দূর করা গেলে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্রের পর বাংলাদেশি পণ্যের বড় গন্তব্য হতে পারে সিআইএসভুক্ত দেশগুলো।
৮. নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য মাঠ পর্যায়ের ভ্যাট কার্যালয়ের কাছে সংশোধনী প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এনবিআর থেকে সব কমিশনারেটে এই সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে এনবিআরের ভ্যাট বিভাগে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠাতে হবে। একই সঙ্গে ২০১৬ সালের মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালাসংক্রান্ত কোনো সংশোধনী প্রস্তাব থাকলে তাও জানাতে বলা হয়েছে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আগামী নভেম্বর মাসে এই বিষয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকেও সব কমিশনারেটের কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাব, মতামত নিয়ে আলোচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, কয়েক দফা পেছানোর পর আগামী বছরের জুলাই মাস থেকে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের ঘোষণা আছে। ২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর নতুন ভ্যাট আইনটি জাতীয় সংসদে পাস হয়। এর আগে দুই দফা পেছানোর পর গত বছরের জুলাই মাস থেকে নতুন ভ্যাট আইনটি বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। কিছু ক্ষেত্রে অব্যাহতি দিয়ে সব পণ্য ও সেবায় ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বসানো হয়। ব্যবসায়ীদের তীব্র আপত্তির মুখে সরকার শেষ মুহূর্তে নতুন আইনটি বাস্তবায়ন আরও দুই বছর পিছিয়ে দেয়।
৯. বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যের হার ১৫.২০ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে এখনও ২ কোটি ৪৪ লাখ মানুষ চরম দরিদ্র। 'বিশ্ব দারিদ্র্যবিমোচন দিবস' উপলক্ষে সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৫ বছরে বিশ্বে শত কোটি মানুষ দারিদ্র্যকে জয় করেছে। দারিদ্র্যের হার নেমে এসেছে ১০ শতাংশে। এ অবস্থায় কিছু অঞ্চলে দারিদ্র্য বৃদ্ধির প্রবণতা ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলোতে দারিদ্র্যের হার বাড়ছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বের ৭৩ কোটি ৫৯ লাখ মানুষ এখনও দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যবিমোচনের গতিও কমে এসেছে। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে অতি দারিদ্র্য দূর করার লক্ষ্য পূরণ না-হবার আশঙ্কা আছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বের অর্ধেকের বেশি দেশে দারিদ্র্যের হার এখন ৩ শতাংশের কম। ১৯৯০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর দারিদ্র্যের হার ১ শতাংশ হারে কমেছে। ফলে ৩৬ শতাংশ থেকে অতি দরিদ্রের হার নেমেছে ১০ শতাংশে। তবে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ২ বছরে দারিদ্র্য কমেছে মাত্র ১ শতাংশ। মূলত দক্ষিণ এশিয়ায় বিপুলসংখ্যক মানুষ দারিদ্র্যসীমা অতিক্রম করায় বৈশ্বিক দারিদ্র্যের হার কমছে।
(আলিমুল হক)