প্রবন্ধে দাবি করা হয় যে, গোপন তথ্য পাওয়ার লক্ষ্যে চীন একধরনের কম্পিউটার চিপ, ৩০টি মার্কিন কোম্পানির পণ্যের মধ্যে ইনস্টল করে দেয়। এই পণ্যগুলো চীনে তৈরি হয়েছে এবং চীন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করা হয়েছে। কিন্তু প্রবন্ধটি প্রকাশিত হবার পরপরই অ্যাপল, অ্যামাজন ও এএমডি ইত্যাদি কোম্পানিগুলো ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে। তাদের পণ্যে কোনো বিদেশি চিপ পাওয়া যায়নি বলে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় কর্তৃপক্ষও এক বিবৃতিতে জানায়, এসব কোম্পানির ঘোষণায় সন্দেহ করার কোনো কারণ নেই। প্রবন্ধে এই বিখ্যাত কোম্পানিগুলোর পণ্যেও চিপ বসানো আছে বলে দাবি করা হয়েছিল।
রবার্ট কান আরও বলেন, এমন ধরনের প্রচারণায় অনেক অসত্য তথ্য থাকে। আর মানুষ যা বিশ্বাস করতে চায়, সেটাই তারা বিশ্বাস করে। কাল্পনিক এই 'চিপ কেলেঙ্কারি' কোনো বিশেষ ঘটনা নয়। কিন্তু চীন-বিরোধী গোষ্ঠী একেই নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে।
এদিকে, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়া কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন গবেষক ডা: উইলিয়াম ওভারহোল্ট বলেন, চিপ আছে কি না তা আইটি বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা করলেই বোঝা যাবে। ব্লুমবার্গ একটি নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যম। তারা তথ্য প্রচারের আগে যাচাই-বাছাই করে থাকে। আবার অ্যামাজনের মতো কোম্পানিগুলোদের ঘোষণাও উড়িয়ে দেওয়ার উপায় নেই। যে-কোনো ধরনের ঘোষণা তাদের শেয়ারমূল্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এখন, কিছুসময় অতিক্রান্ত হলে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে। (স্বর্ণা/আলিম)