শুভেচ্ছাবার্তায় ওয়াং ই বলেন, চলতি বছর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিকবার বৈঠক করেছেন এবং সেসব বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য অর্জিত হয়েছে। দু'নেতার বৈঠকে আফগানিস্তানকে অভিন্ন সহযোগিতামূলক অংশীদার হিসেবেও গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণ-কোর্সটি সেই দ্বিপাক্ষিক মতৈক্যেরই গুরুত্বপূর্ণ ফল এবং আঞ্চলিক ইস্যুতে দু'দেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার নতুন অগ্রগতির প্রতীক।
ওয়াং ই আরও বলেন, আফগানিস্তান এতদঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক সমাজের সমর্থনে দেশটি অনেক স্থিতিশীল ও উন্নত হয়েছে। এবারের প্রশিক্ষণ-কোর্স চীন-আফগান-ভারত ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার আরম্ভ এবং এই প্রশিক্ষণ আফগান কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত লুও বলেন, আফগান ইস্যুতে চীন ও ভারতের ব্যাপক মতৈক্য রয়েছে। ভবিষ্যতে কৃষি, চিকিত্সা ও দারিদ্র্যবিমোচনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা-ব্যবস্থা চালু করবে দু'দেশ। দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে আশাবাদও ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সু্ষমা স্বরাজ তাঁর শুভেচ্ছাবার্তায় বলেন, ভারত, চীন ও আফগানিস্তান পরস্পরের সুপ্রতিবেশী এবং কৌশলগত অংশীদার। অবকাঠামো নির্মাণ, মানবসম্পদ ও আর্থ-বাণিজ্যিক বিনিময়সহ বিভিন্ন খাতে আফগানিস্তানকে সাহায্য দিয়ে যাবে নয়াদিল্লি।
আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালাহুদ্দিন রাব্বানি তাঁর শুভেচ্ছাবার্তায় বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে চীন ও ভারতের নেতৃত্বের ভুমিকা প্রতিফলিত হয়েছে। আফগানিস্তানের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে সাহায্য-সহযোগিতা দেওয়ায় তিনি ভারত ও চীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। (সুবর্ণা/আলিম)