অক্টোবর ১৫: যুক্তরাষ্ট্র চীনকে নিঃসঙ্গ করে রেখে কোনো বাণিজ্যিক ব্যবস্থা তৈরি করতে পারবে বলে মনে করেন না চীন আন্তর্জাতিক বেতার বা সিআরআইয়ের পর্যালোচক। পর্যালোচক বলেন, চীনা অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির রূপ পরিবর্তিত হচ্ছে। নাগরিকদের ভোগের মান বাড়িয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হচ্ছে। চলতি বছর চীনের ভোক্তারা মার্কিন ভোক্তাদের সমান বা তাদের ছাড়িয়ে বিশ্বের প্রথম স্থানে অবস্থান করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তা ছাড়া, চীন অব্যাহতভাবে বিশ্বের ১২০টি দেশ ও অঞ্চলের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হবে।
চীন অভিন্ন কল্যাণ ও সহযোগিতার নীতিতে অবিচল থাকছে এবং যুক্তরাষ্ট্র 'আমেরিকা ফার্স্ট এবং জিরো-সাম গেম খেলার' নিয়ম অনুসরণ করছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র হয়ত নিজ শক্তি দিয়ে অন্য দেশের ওপর চাপ দিতে পারে; তবে বিভিন্ন দেশের স্বাভাবিক, ন্যায্য ও সঠিক বাণিজ্য ও কূটনৈতিক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে না বলে সিআরআইয়ের পর্যালোচক মনে করেন।
তা ছাড়া, আরো বেশি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে গত জুলাই মাসে কানাডা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে। মন্ত্রণালয়ের বর্তমান নাম- বৈচিত্র্যময় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে সম্প্রতি 'যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার চুক্তি বা ইউএসএমসিএ' অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের ওপর দেশটির নির্ভরতা কমবে না; বরং এতে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার স্বাধীনতা সংরক্ষণ করা হয়েছে। আসলে চীনকে দমনের জন্য চুক্তির অনেক ধারা তৈরি করা হয়েছে বলে সম্প্রতি ব্রিটেনের ফাইন্যানশিয়াল টাইমস পত্রিকায় মন্তব্য করা হয়েছে।
(লিলি/তৌহিদ)