নিবন্ধে লি খ্য ছিয়াং লিখেছেন: "নেদারল্যান্ডস আমার কাছে শুধু পরিচিত নয়, বরং সুপরিচিত। ২০ বছর আগে আমি এ-দেশ প্রথম সফর করি। তখন এখানকার আধুনিক কৃষি, পর্যটন, বন্দর ও মাল পরিবহনসহ বিভিন্ন বিষয় আমার মনে গভীর ছাপ ফেলে। যদিও বিগত কয়েক বছর আমি এখানে আসিনি, তবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর বেশ গুরুত্ব দেই। বিশেষ করে, ২০১৪ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের নেদারল্যান্ডস্ সফরের পর, দু'পক্ষের মধ্যে উন্মুক্ত, বাস্তব ও সার্বিক সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে।"
প্রধানমন্ত্রী লি লিখেছেন, নেদারল্যান্ডস্-এর প্রাকৃতিক দৃশ্য অসাধারণ, যা বিশ্বে দেশটিকে 'ইউরোপীয় বাগান' নামে সুপরিচিত করেছে। কয়েক শ বছর আগে চীনের রেশম ও চীনামাটি নেদারল্যান্ডাস্-এ পৌঁছেছিল। আর চীনের সাথে সর্বপ্রথম যেসব দেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে গবেষণা-সহযোগিতা চালিয়েছে, নেদারল্যান্ডস্ সেগুলোর অন্যতম।
চীনা প্রধানমন্ত্রী নিবন্ধে লিখেছেন, নেদারল্যান্ডস্ দীর্ঘকালের সাধনায়, বাঁধ নির্মাণ করে সমুদ্রকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং কৃষিক্ষেত তৈরি করেছে। অন্যদিকে, চীনা জাতিও কয়েক হাজার বছর ধরে বিভিন্ন ঝামেলা মোকাবিলা করে, পরিশ্রম ও সংগ্রামের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন বাস্তবায়িত করেছে। চীনে গত ৪০ বছরে উন্মুক্তকরণ ও সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অতুলনীয় ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে জনগণ। কিন্তু অবশেষে তাঁরা সাফল্য অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী লি লিখেছেন, বর্তমান বিশ্বে একতরফাবাদ, বাণিজ্যে সংরক্ষণবাদ, জলবায়ু পরিবর্তন ও সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। নেদারল্যান্ডস্ ও চীন বহুপক্ষবাদের পক্ষে। অবাধ বাণিজ্য, অর্থনীতির বিশ্বায়ন, ও উন্মুক্ত বৈশ্বিক অর্থনীতির আওতায় বাস্তব সহযোগিতার মাধ্যমে দু'দেশ বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
নিবন্ধে প্রধানমন্ত্রী লি আরও লিখেছেন, পুরনো বন্ধুর সঙ্গে নতুন চেতনার মৈত্রী গড়ে তুলতেই তার বর্তমান সফর। চীন ব্যবসার পরিবেশ আরও উন্নত করবে এবং নিজের বাজারে বিদেশি পুঁজির প্রবেশের নিয়মকানুন শিথিল করবে, যাতে নেদারল্যান্ডস্ ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে চীনের উন্নয়ন-অভিজ্ঞতা বিনিময়ের প্রক্রিয়া সহজতর হয় এবং সবাই মিলে সুন্দর ভবিষ্যত নির্মাণ করতে পারে। (সুবর্ণা/আলিম)