তিনি ঘোষণা করেন যে, চীনের পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র কিছু কিছু দেশের জন্য নতুন বাছাই প্রদান করবে।
চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য-বিরোধ অবনতিশীল হওয়ার প্রেক্ষাপটে পেন্সের এ মন্তব্যে চীনকে বিকৃত করার ইচ্ছা প্রতিফলিত হয়েছে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে চীন ঋণের ফাঁদ তৈরি করছে কি না? হিসাব করে দেখবেন। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের আজ (বৃহস্পতিবার) এক সম্পাদকীয়তে এ নিয়ে উত্তর দেওয়া হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, শ্রীলংকাকে নিয়ে উদাহরণ দেওয়া যায়। শ্রীলংকায় চীনের শিল্পপতিষ্ঠান হামবানটোটা বন্দর প্রতিষ্ঠা করেছে, তা নিয়ে নানা সন্দেহ প্রকাশ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। তারা অভিযোগ করে যে, এ প্রকল্পের কারণে শ্রীলংকা ব্যাপক ঋণ বহন করছে এবং এ ঋণের জন্য বন্দরটিকে চীনাদের হাতে তুলে দিতে শ্রীলংকাকে চাপ দিয়েছে বেইজিং।
বাস্তবে শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, গত বছরে চীনের ঋণ শ্রীলংকার বৈদেশিক ঋণের মাত্র ১০ শতাংশ এবং সে ঋণের ৬১.৫ শতাংশ আন্তর্জাতিক বাজারের সুদের হার তুলনায় কম। এ প্রসঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, শ্রীলংকা চীনের ঋণের ফাঁদে পড়ে নি। সমতার ভিত্তিতে চীনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হামবানটোটা বন্দর উন্নয়নের চুক্তি সাক্ষর করেছে শ্রীলংকা। আগামী ২০২০ সালে এ বন্দরে যে আয় করা হবে, তা শ্রীলংকার সরকারের মোট আয়ের ৪০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। (রুবি/টুটুল)