1001edu
|
বাংলাদেশি যুবকদের ইউয়ুননান সফর
২০১৮ সালের ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ১৫০ জন যুবক দুটি দলে ভাগ হয়ে চীনের ইউয়ুননান প্রদেশের রাজধানী খুনমিংয়ে পৌঁছান।
২০১৬ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফরের পর থেকে চীনে বাংলাদেশি যুবকদের জন্য নিয়মিত ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। এবারের যুব ক্যাম্প প্রধানত বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট এবং সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ সরকারের নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত। তারা খুনমিং শহর এবং হুহো হানি জাতি ও ই জাতির অধ্যুষিত এলাকায় দুই সপ্তাহব্যাপী পরিদর্শন করেন। হুহো অঙ্গরাজ্যের ইতিহাস ও সংস্কৃতি জানার জন্য স্থানীয় জাদুঘরে বেড়াতে যান তারা এবং হুহো'র লিন'আন সুরসহ বিভিন্ন রীতিনীতির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। পরে এ অঙ্গরাজ্যের চিয়ানশুই জেলা ঘুরে বেড়ান শিক্ষার্থীরা। তারা চিয়ানশুই মন্দিরসহ প্রাচীনকালের বিভিন্ন স্থাপত্য পরিদর্শন করেন এবং চীনা ঐতিহ্যবাহী সামাজিক মূল্যবোধ অনুভব করেন। চিয়ানশুই পুরনো শহরে শত বছরের মিকুই ট্রেনে বসে বিভিন্ন স্টেশনের দৃশ্য দেখেন শিক্ষার্থীরা।
মিকুই রেলপথের বৈশিষ্ট্য হল মাত্র ১ মিটার বিস্তৃত রেলপথে ট্রেন চলাফেরা। বর্তমানে বিশ্বে চীনের ইউয়ুননান প্রদেশ ছাড়া, ফ্রান্স, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার ও মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি দেশ ও এলাকা এ রকমের রেলপথ ব্যবহার করে থাকে। হুহো অঙ্গরাজ্য সফর শেষ করে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে ফিরে যান।
এবারের এ যুব ক্যাম্পে সিআরআই বাংলা বিভাগের সাংবাদিক আকাশ অংশ নেন। ফেসবুকে তার লাইভ অনুষ্ঠানে যুবকদের চীনের ইউয়ুননান পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়। এর সঙ্গে সঙ্গে চীনের ইউয়ুননান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষক, সিআরআইয়ের পুরনো বন্ধু শান্তা মারিয়ার সাথে দেখা করেন আকাশ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের নতুন শিক্ষক হিসেবে শান্তা মারিয়া তাঁর চীনের জীবনযাপন নিয়ে সাক্ষাত্কার দেন। চলুন একসাথে শুনবেন তাঁর গল্প।
বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের কর্মসংস্থানের দক্ষতা প্রতিযোগিতায় চীনের ছিংহুয়ার অবস্থান নবম
সম্প্রতি কিউএস বৈশ্বিক শিক্ষা গ্রুপ প্রকাশিত সর্বশেষ কর্মসংস্থান দক্ষতার প্রতিযোগিতা-সম্পর্কিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ৫০০টি শক্তিশালী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চীনের ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত। তাদের মধ্যে ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান নবম, পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ২০তম, হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১৩তম আর তাইওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৮১তম।
এ জরিপ নিয়ে কিউএস চীনা শাখা কোম্পানির পরিচালক ড. চাং ইয়ান বলেন, বিশ্বে প্রতিযোগিতামূলক দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে বিজ্ঞান প্রযুক্তি গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের ওপর মনোযোগ দেওয়া হয়। চীনের ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে বোঝা যায়, চীনের শিক্ষাদানের মান সংস্কার ও নব্যতাপ্রবর্তনের প্রক্রিয়ায় দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে ব্যাপক স্বীকৃতি পেয়েছে এবং তা ইউরোপ ও আমেরিকার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের চীনে লেখাপড়ার আকর্ষণে শক্ত ভিত্তি স্থাপন করেছে।
এবার প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে আরো বলা হয়েছে, চীনের মূলভূভাগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সূচক চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষস্থান অধিকার করেছে এবং বিশ্বে এর অবস্থান ২৫তম। বিশ্বের বিভিন্ন শ্রেষ্ঠ শিল্প-প্রতিষ্ঠান ও মালিকানার সহযোগিতার সূচকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানও শীর্ষে, তাছাড়া চেচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় ও ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান দ্বিতীয় ও তৃতীয়।
বিশ্বের স্নাতকদের কর্মসংস্থান র্যাঙ্কিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটি প্রথমবারের মতো শীর্ষস্থানে দাঁড়িয়েছে আর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান দ্বিতীয়। যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।