প্রধানমন্ত্রী তার প্রথম প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের বৈষম্যমূলক আইন ও নীতির বিলোপ চেয়েছেন। সেইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের প্রতি নিষ্ঠুরতা বন্ধসহ জোরপূবর্বক তাদের বাস্তুচ্যুত করার কারণ খুঁজে বের করার কথা বলেন। দ্বিতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করতে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। বেসামরিক এই মানুষদের রক্ষায় প্রয়োজনে মিয়ানমারে একটি সেইফ-জোন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তৃতীয়ত জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের সুপারিশের আলোকে ন্যায় বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নৃশংসতার হাত থেকে বাঁচাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিলেও এখন তা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দায়িত্ব বিশ্বের সবার বলেও জানান তিনি। ২০১৮ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনায় প্রতিশ্রুত ৯৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থের মাত্র ৩৩ শতাংশ পাওয়া গেছে বলে দুঃখ করেন শেখ হাসিনা।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো আয়োজিত নারী শিক্ষা বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় যোগ দেন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী জেরেমি হান্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। একই দিন যুক্তরাষ্ট্র চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
মাহমুদ হাশিম, ঢাকা থেকে।