চায়না মিডিয়া গ্রুপ ও কুয়াং তোং প্রদেশের সরকারের যৌথভাবে আয়োজিত দ্বিতীয় "একবিংশ শতাব্দীর সামুদ্রিক রেশমপথ" চীন আন্তর্জাতিক সম্প্রচার ফোরাম গতকাল (বৃহস্পতিবার) চীনের কুয়াং তোং প্রদেশের চু হাই শহরে অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ, পণ্ডিত ও মিডিয়ার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা "এক অঞ্চল, এক পথ" প্রতিষ্ঠার সাফল্যকে কেন্দ্র করে মিডিয়ার মধ্যে সহযোগিতা জোরদারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গভীর মতবিনিময় ও আলোচনা করে। আজকের সংবাদ পর্যালোচনায় আমরা এবারের দ্বিতীয় "একবিংশ শতাব্দীর সামুদ্রিক রেশমপথ" চীন আন্তর্জাতিক সম্প্রচার ফোরাম নিয়ে কিছু আলোচনা করবো।
২০১৮ সাল হচ্ছে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং'র উত্থাপিত "এক অঞ্চল, এক পথ" উদ্যোগের পঞ্চম বার্ষিকী। "এক অঞ্চল, এক পথ" উদ্যোগ মহাসাগর ও মহাদেশকে যুক্ত করেছে, ইতিহাস ও ভবিষ্যত সংযুক্ত করেছে, এবং চীন ও বিশ্বের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে।
এবারের সামুদ্রিক রেশমপথ ফোরামে বিভিন্ন বিদেশি অতিথি ও প্রতিনিধি অংশ নেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জ্যাঁ-পিয়েরে রাফারিন। ফ্রান্সে তাঁকে "মিস্টার চীনা" বলা হয়। "এক অঞ্চল, এক পথ" উদ্যোগের বিষয়ে তিনি খুব প্রশংসিত। ২০১৮ সালে চীনা বসন্ত উত্সবের সময় তিনি তাঁর সামাজিক মিডিয়ায় একটি শুভেচ্ছা কার্ড প্রকাশ করেন। এতে তিনি "এক অঞ্চল, এক পথ" চীন ও ফ্রান্সের নতুন বন্ধনে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
রাফারিন বলেন, আমরা "রেশমপথ অর্থনৈতিক অঞ্চল" ও "একবিংশ শতাব্দীর সামুদ্রিক রেশমপথ" বরাবর আরো বেশি সহযোগিতা করবো। অবকাঠামো, বাণিজ্যিক ও অর্থের যোগাযোগে আমাদের অনেক প্রকল্প শুরু হবে। "এক অঞ্চল, এক পথ" সম্পর্কিত ধারাবাহিক সহযোগিতায় সব সংশ্লিষ্ট দেশের একসঙ্গে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করা ও ভবিষ্যতের নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা ইউরোপের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
২০০০ বছর আগে পুরানো রেশমপথ চীন ও পাশ্চাত্যকে যুক্ত করে। বর্তমানে নতুন রেশমপথ আবার চালু হয়ে অর্থনীতিকে বিশ্বায়নের প্রবাহে মিলিত করেছে। এবারের সামুদ্রিক রেশমপথ ফোরামের প্রতিপাদ্য হচ্ছে "নতুন যুগ, নতুন রেশমপথ, নতুন ভাবমূর্তি"। তাহলে বর্তমান নতুন প্রযুক্তি, নতুন অর্থনীতি ও নতুন যুগের চ্যালেঞ্জ কিভাবে মোকাবিলা করা যায়?
২০১১ সালে অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থমাস সার্জেন্ট ফোরামে "নতুন যুগ, নতুন অর্থনীতি, নতুন প্রযুক্তি: কুয়াং তোং প্রদেশের ভবিষ্যতের ৪০ বছর" নামে একটি ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেন, "এক অঞ্চল, এক পথ" শুধু চীনের জন্য উপকারী তা নয়, বিশ্বের জন্যও স্বার্থ বয়ে আনবে। কারণ তা নতুন প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে, বিশ্বের অর্থনীতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে, বিশ্বে নতুন ধারণা জন্ম হবে।
চায়না মিডিয়া গ্রুপের আন্তর্জাতিক বেতারের উপ-মহাপরিচালক হু পাং শেং ফোরামে ভাষণে বলেন, "এক অঞ্চল, এক পথ" উত্থাপনের ৫ বছর পর অনেক ফলাফল পেয়েছে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং'র উত্থাপিত আন্তর্জাতিক প্রচার ক্ষমতা জোরদার করা এবং সাংস্কৃতিক শক্তি বাড়ানোর দাবি বাস্তবায়নের জন্য, বিদেশের অবস্থা ও লোকের চাহিদা সম্পূর্ণভাবে বোঝা, আন্তর্জাতিক সম্প্রচার নিয়মকে সম্মান জানানোর ভিত্তিতে মিডিয়া আরো সমান উপায়ে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ করবে, "এক অঞ্চল, এক পথ" বরাবর দেশের মিডিয়ার যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ করবে এবং এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
(তুহিনা/টুটুল)