বৈঠকে সি চিন পিং বলেন, চীন ও পাকিস্তান সার্বক্ষণিক সহযোগী অংশীদার দেশ। গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে দু'পক্ষ অভিন্ন মত পোষণ করে। 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ এবং চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণে পাকিস্তানের সমর্থনের উচ্চ প্রশংসা করে চীন। পারস্পরিক আস্থা ও বাস্তব ব্যবস্থার মাধ্যমে এ অর্থনৈতিক করিডোর সফল হবে এবং তা দু'দেশের জনগণের কল্যাণ সৃষ্টি করবে বলে তিনি মনে করেন। দু'দেশের কেন্দ্রীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা আরো জোরদার করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
চীনের প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু'দেশের সেনাবাহিনী অনেক বাস্তব সহযোগিতা চালিয়েছে। বাহিনীর উন্নয়ন এবং দেশের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন রক্ষায় বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। দু'বাহিনীর মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়িয়ে সন্ত্রাসদমন জোরদার করে অর্থনৈতিক করিডোরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করার আশা করেন তিনি।
বাজওয়া বলেন, পাকিস্তান 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাব দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যাই হোক-না-কেন, চীনের সঙ্গে সম্পর্ককে সবসময় গুরুত্ব দেয় পাকিস্তান। পারস্পরিক কেন্দ্রীয় স্বার্থজড়িত বিষয়ে পাকিস্তান সব সময় চীনের সঙ্গে থাকবে। চীনা বাহিনীর সঙ্গে কৌশলগত যোগাযোগ, বাস্তব সহযোগিতা, সন্ত্রাসদমন এবং দু'দেশের অভিন্ন স্বার্থ ও নিরাপত্তা খাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে ইচ্ছুক ইসলামাবাদ।
(স্বর্ণা/তৌহিদ)