বৈঠককালে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং প্রধানমন্ত্রী টুইলায়পা'কে দু'দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে রাখা অবদানের জন্য প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে প্রথম দিকে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত দেশের মধ্যে সামোয়া অন্যতম। সামোয়া দীর্ঘদিন ধরে 'এক-চীন নীতি' অনুসরণ করে আসছে। চীন অব্যাহতভাবে সামোয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের জীবনমান উন্নতিতে সমর্থন করবে এবং আন্তর্জাতিক ব্যাপারে সামোয়াসহ অন্যান্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের বৈধ অধিকার রক্ষা করার চেষ্টা করবে। জলবায়ু পরিবর্তনে সামোয়ার উদ্বেগ চীন বুঝতে পারে এবং আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চীন সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
প্রধানমন্ত্রী টুইলায়পা বলেন, চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছরে দু'দেশের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। চীনের 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাব সামোয়া সমর্থন করে এবং এ কাঠামোতে চীনের সঙ্গে আর্থ-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চীনের ইতিবাচক ভূমিকাকে সামোয়া প্রশংসা করে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যাপারে চীনের সঙ্গে সহযোগিতা চালাতে ইচ্ছুক সামোয়া। (স্বর্ণা/টুটুল)