বৈঠককালে সি চিন পিং বলেন, বর্তমান চীন-লাটভিয়ার সম্পর্ক সুষ্ঠু উন্নয়ন হচ্ছে। বাল্টিক সামুদ্রিক অঞ্চলের দেশের মধ্যে লাটভিয়া প্রথমে চীনের সঙ্গে 'এক অঞ্চল, এক পথ' সহযোগিতা চালাতে শুরু করে। লাটভিয়ার সঙ্গে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে রাজনৈতিক আস্থা গভীরতর করে আর্থিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করে দু'দেশের জনগণের জন্য আরো কল্যাণ সৃষ্টি করতে ইচ্ছুক চীন। দু'দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা যুক্ত করে পরিবহন ও অবকাঠামো খাতের সহযোগিতা জোরদার করা উচিত।
চীনা প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, বিশ্বের দুটি স্থিতিশীল শক্তি ও প্রধান প্রধান অর্থনৈতিক সত্তা হিসেবে চীন ও ইউরোপের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার মাধ্যমে বহুপক্ষবাদ রক্ষা করে উন্মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতি এবং বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য কৌশলগত যোগাযোগ জোরদার করা উচিত। চীন ও মধ্য-পূর্ব ইউরোপীয় দেশের সহযোগিতা হচ্ছে 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাব ইউরোপের অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সন্ধি। লাটভিয়ার সঙ্গে চীন-ইইউ এবং চীন-মধ্যপূর্ব ইউরোপের কাঠামোতে সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক বেইজিং।
প্রেসিডেন্ট ভেয়োনিস বলেন, লাটভিয়া ও চীনের সঙ্গে সুষ্ঠু রাজনৈতিক আস্থা ও আদানপ্রদান রয়েছে। দু'দেশের সহযোগিতার সম্ভাবনা বিশাল। 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাবকে উচ্চ মূল্যায়ন করে এবং চীনের সঙ্গে এ প্রস্তাবের মাধ্যমে সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক লাটভিয়া। চীনের সঙ্গে আর্থিক, বিনিয়োগ, পরিবহন, পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক লাটভিয়া।
বৈঠকের পর দু'দেশের মধ্যে বহু দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
(স্বর্ণা/টুটুল)