প্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠানে আমি এ বিষয়ে কিছু কথা বলবো।
চীন ও রাশিয়া হলো ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ও অংশীদার দেশ। দু'দেশ পারস্পরিক সহায়তা ও যোগাযোগ বজায় রেখেছে। ভ্লাদিভস্তকে অবস্থিত 'ঔশন শিশু কেন্দ্র' দু'দেশের গভীর মৈত্রীর সাক্ষী বহন করছে।
বুধবার রাতে চীনের ওয়েনছুয়ান ভূমিকম্প-কবলিত অঞ্চলে শিশুদের অভ্যর্থনার ১০ম বার্ষিকীর স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাশিয়া সফররত চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন 'ঔশন শিশু কেন্দ্রে' আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে সি চিন পিং বলেন,
২০০৮ সালে চীনের ওয়েনছুয়ানে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। তারপর রাশিয়ার উদ্ধারকারী দল সবার আগে চীনের দুর্গত এলাকায় পৌঁছায়। রুশ সরকারের আমন্ত্রণে ৯৯৬টি দুর্গত শিশুকে 'ঔশন শিশু কেন্দ্রে' চিকিত্সা সেবা দেওয়া হয়। এখানে তাঁদের অনেক যত্ন নেওয়া হয়। এ ভালোবাসার সমুদ্রে শিশুদের সুষ্ঠু মানসিক বিকাশ হয়েছে, তাদের দিগন্ত বিস্তৃত হয়েছে, আন্তরিক বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে এবং অবিস্মরণীয় স্মৃতির 'সমুদ্র' তারা লাভ করেছে।
সি চিন পিং বলেন, চীন রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ইতিহাস হলো দু'দেশের যুব সমাজের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের ইতিহাস। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু'দেশের যুবকদের যোগাযোগ আরো ঘনিষ্ঠ হচ্ছে এবং পারস্পরিক সমঝোতা ও মৈত্রী বাড়ছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যুবকরা হলো রাষ্ট্রের ভবিষ্যত্ ও দু'দেশের মৈত্রীর ভবিষ্যত্; এমনকি বিশ্বের ভবিষ্যত্। এ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন,
আমি আশা করি, দু'দেশের যুবকরা যৌবনের এ সময়ের মূল্যায়ন করবে, কঠোরভাবে অধ্যয়ন করবে, অগ্রগতি অর্জনের চেষ্টা চালাবে ও যথাশিঘ্র দেশের একটি স্তম্ভে পরিণত হবে। তোমাদের উচিত যোগাযোগ জোরদার করা, সহযোগিতা উন্নত করা, দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বাড়ানো। অবশেষে আমি চীন সরকার ও চীনা জনগণের পক্ষ থেকে 'ঔশন শিশু কেন্দ্রে'র শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চীন পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানাই।
পুতিন তাঁর ভাষণে বলেন, রাশিয়া চীনের সঙ্গে পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতামূলক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। দু'দেশের যুবকদের বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগ দু'দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করবে। এটি দু'দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি, দু'দেশের যুবকরা দু'দেশের জনগণের গভীর ঐতিহ্যগত মৈত্রী হস্তান্তর করবে।
সি চিন পিং ও পুতিন দু'দেশের যুবকদের সঙ্গে কথোপকথন করেন। দু'নেতা তাঁদেরকে বিশেষ দূত হিসেবে দু'দেশের মৈত্রী প্রচারের চেষ্টায় নিযুক্ত থাকার উত্সাহ দেন।
পুতিন চীনা যুবকদের বলেন, আজ আমি ও প্রেসিডেন্ট সি তোমাদের কাছে এসেছি; এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান। তোমরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের মতো।
সি চিন পিং বলেন, আজকের অনুষ্ঠান অসাধারণ। এতে দু'দেশের ভালোবাসা প্রচারিত হবে। চীনে একটি কথা আছে, 'ফোয়ারা দিয়ে এক ফোঁটা পানির উদার-প্রতিদান দেওয়া উচিত'। এটি হলো সমুদ্র। চীনা যুবকের উচিত অসীম প্রেমের মাধ্যমে রুশ জনগণকে প্রতিদান দেওয়া এবং মাতৃভূমিকে প্রতিদান দেওয়া।
(ছাই/তৌহিদ)