১০ সেপ্টেম্বর হলো চীনের ৩৪তম শিক্ষা দিবস। ভাষণে প্রেসিডেন্ট সি প্রথমে দেশের সব শিক্ষকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি জোর দিয়ে বলেন,
গোটা সমাজের উচিত শিক্ষা ও শিক্ষকদের সম্মান করা, শিক্ষকের রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাগত মর্যাদা উন্নত করা। যাতে শিক্ষকরা নিজের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে কমিউনিস্ট পার্টি ও জনগণের জন্য নতুন এবং আরও বেশি অবদান রাখতে পারে।
সি চিন পিং বলেন, কমিউনিস্ট পার্টির ঊনবিংশ জাতীয় কংগ্রেস নতুন যুগে চীনের বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্র উন্নয়নের কৌশল থেকে শিক্ষার আধুনিকায়ন দ্রুততর করা এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে শক্তিশালী দেশ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন যুগে, নতুন পরিস্থিতিতে, সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ এবং সমাজতন্ত্রের আধুনিকায়ন, জনগণ এবং সমাজের সার্বিক উন্নয়নের জন্য শিক্ষা ও লেখাপড়ার গুরুত্ব আরও বেড়েছে। তিনি বলেন,
আমাদের উচিত সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করা, আরও উঁচু দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী শিক্ষার আধুনিকায়ন দ্রুততর করা, শিক্ষার উন্নয়নকে দেশের উন্নয়ন-কৌশলের শীর্ষস্থানে রাখা, যাতে কমিউনিস্ট পার্টি ও দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার উন্নয়ন সঙ্গতিপূর্ণ হয়। এ ছাড়া, তা জনগণের চাহিদাও মেটাতে পারে।
সি চিন পিং উল্লেখ করেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার উচিত সমাজতন্ত্রের নির্মাণ লালন করাকে মৌলিক কর্তব্য হিসেবে নির্ধারণ করা। তিনি বলেন,
প্রথমত, নৈতিকতা, মেধা, শিল্প ও শ্রমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নত সমাজতন্ত্রের গঠন লালন করার জন্য দৃঢ় মানসিক আস্থা তৈরি করা। দ্বিতীয়ত, দেশপ্রেমের মনোভাব তৈরি করা। তৃতীয়ত, ভালো নৈতিকতা স্থাপন করা। চতুর্থত, জ্ঞান ও মেধা বৃদ্ধির জন্য কাজ করা। পঞ্চমত, সংগ্রাম এবং লক্ষ্য বাস্তবায়নের দৃঢ়তা স্থাপন করা। ষষ্ঠত, বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুণ জোরদার করার জন্য চেষ্টা চালানো।
সি চিন পিং বলেন, ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক অবস্থার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য স্কুলে ক্রীড়া ক্লাস চালু করতে হবে। যাতে ক্রীড়া এবং শরীরচর্চার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা আনন্দ পায় এবং সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে পারে। এ ছাড়া ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শ্রমের মর্ম জনপ্রিয় করতে হবে। তাদেরকে শ্রমের প্রতি সম্মান জানানো এবং 'শ্রম সবচেয়ে গৌরবের ব্যাপার' এমন চিন্তাধারা শেখাতে হবে।
প্রেসিডেন্ট সি আরও বলেন, শিক্ষকতা খুব গৌরবের একটি পেশা। প্রত্যেক শিক্ষকের উচিত এমন গৌরবকে গুরুত্ব দেওয়া। সরকারের উচিত অব্যাহতভাবে শিক্ষকের মর্যাদা উন্নত করা। পাশাপাশি চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াং বলেন, সরকারের উচিত অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়নে শিক্ষার ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া। বিভিন্ন অঞ্চল, শহর, গ্রাম এবং বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার ভারসাম্য উন্নয়ন জোরদার করার পরামর্শও দেন লি খ্য ছিয়াং।
(শুয়েই/তৌহিদ)