0903edu
|
কাঠমান্ডুতে ২০১৮ সালে চীন সরকারের বৃত্তিপ্রাপ্ত ১৬০ জন নেপালি শিক্ষার্থীর অনুষ্ঠান আয়োজিত
২০১৮ সালে চীন সরকারের বৃত্তিপ্রাপ্ত ১৬০ জন নেপালি ছাত্রছাত্রীদের এক অনুষ্ঠান সম্প্রতি কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হয়। তারা চীনে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকৌশল ও ব্যবসা প্রশাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখাপড়া করবেন।
নেপালের শিক্ষামন্ত্রী গিরি রাজ মনি পোখরেল অনুষ্ঠানে বলেন, শিক্ষা হলো মৈত্রীর সেতু এবং বিশ্বকে পরিবর্তনের শক্তি। চীন দীর্ঘকাল ধরে নেপালি ছাত্রছাত্রীদেরকে অধ্যয়নের সুযোগ দিয়ে আসছে এবং নেপালের উন্নয়নে মূল্যবান কর্মশক্তির প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। যা নেপালে কর্মচ্যুতির হার কমানো এবং অর্থনীতির উন্নয়ন বেগবানে অবদান রাখছে।
অনুষ্ঠানে সেদেশে চীনা রাষ্ট্রদূত ইউ হোং বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৬৩ বছরের মধ্যে চীন ও নেপালের সম্পর্ক সুষ্ঠুভাবে উন্নয়ন হয়। 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ উত্থাপনের পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দু'দেশের সহযোগিতা আরো বেশি সুযোগের সম্মুখীন হচ্ছে। তরুণদের বিনিময়ের আরো বিশাল মহাকাশ আছে। চীনে অধ্যয়নরত নেপালি ছাত্রছাত্রীরা মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে দু'দেশের সম্পর্কের বেগবানকারী হয়ে উঠবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের শেষ দিক পর্যন্ত চীনে অধ্যয়নরত নেপালি ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৬৪০০ জন।
বাংলাদেশি যুবকদের চীন সফর
৩০ অগাস্ট ঢাকায় চীনা দূতাবাসে ২০১৮ সালের বাংলাদেশি যুবকদের চীনে যুব ক্যাম্পে অংশগ্রহণ নিয়ে এক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। চীনের হানবান ও বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে এ ক্যাম্প আয়োজিত হচ্ছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত চাং জুও বলেন, শিক্ষার্থীরা দুই সপ্তাহ সময়ের মধ্যে চীনের রীতিনীতি, সংস্কৃতি, ইতিহাস সম্পর্কে জানবে এবং চীনা শিক্ষার্থীদের সাথে বিনিময় করবে বলে তিনি আশা করেন। যুবকরা দেশ উন্নয়নের ভবিষ্যত এবং বিনিময়ের ভিত্তি। চীন ও বাংলাদেশের যুবকরা মৈত্রী গভীরতর করে হাত হাতে রেখে চীনা স্বপ্ন ও সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সংগ্রাম করবে বলে প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রদূত চাং।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও সিআরআই-শান্ত মারিয়াম কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের শিক্ষার্থীরা এ বারের এ যুব ক্যাম্পে অংশ নিচ্ছেন। বাংলাদেশ সরকার, সেনাবাহিনী, ব্যবসায়ী ও মিডিয়াসহ বিভিন্ন খাতের সুপারিশকৃত মোট ১৫০ জন শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী এ ক্যাম্পে যোগ দিচ্ছেন। ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর চীনের ইউয়ুননান প্রদেশের খুনমিং ও হুহো এ দুটি অঞ্চলে তারা দুই সপ্তাহব্যাপী চীনা ভাষা ও সাংস্কৃতিক কোর্সে অংশ নেবেন।
চীনের চিয়াংসু প্রদেশের হুয়াসিয়া ঐতিহ্যিক সংস্কৃতিবিষয়ক স্কুল
চীনের চিয়াংসু প্রদেশের স্যুচৌ শহরে হুয়াইহাই সাংস্কৃতিক উদ্যানে অবস্থিত হুয়াসিয়া ঐতিহ্যিক সংস্কৃতিবিষয়ক স্কুল ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, যা চীনের ঐতিহ্যিক সংস্কৃতিবিষয়ক বেসরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের অন্যতম। এ স্কুলের প্রধান ই চিং বলেন, প্রাচীনকালে চীনের বিখ্যাত দার্শনিক ও পরম বিজ্ঞদের দার্শনিক চিন্তাভাবনা কাজে লাগিয়ে এখানে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করানো হয়।
স্কুলের কোর্সে ঐতিহ্যিক শিল্পকলার বিষয় অন্তর্ভুক্ত; তাতে হস্তলিপি, চিত্র, মাটির ভাস্কর্য, চা, সূচিকর্ম, মার্শাল আর্টসহ বিভিন্ন কোর্স চালু রয়েছে। এ সম্পর্কে স্কুলের প্রধান ই বলেন, ঐতিহ্যিক সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে বাচ্চাদের সাংস্কৃতিক দক্ষতা জোরদার করার পাশাপাশি সৌন্দর্য্য উপভোগ করার দক্ষতাও চর্চা করানো হয়,যাতে প্রাচীনকালের লোকদের চারিত্রিক নমনীয়তা অনুভব করানো যায় এবং বাচ্চাদের জীবনযাপনের মান উন্নত করা যায়। তিনি বলেন,
'আমাদের শিক্ষাদানের উদ্দেশ্য স্পষ্ট। বর্তমানে বাচ্চাদের ক্লাসের চাপ আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে, তাই তাদের চরিত্র নমনীয় ও উন্মুক্ত করতে চাই। মানুষকে ভিত্তি করে সুষম পরিবেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও আত্মার স্বাস্থ্যকর উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা যায়। আধুনিক শিক্ষাদানে উন্নত প্রযুক্তির অভাব নয়, বরং মানবিকতা ও নৈতিকতার দুর্বলতা দেখা যায়। তাই এর ওপর বেশি গুরুত্ব দেই আমরা।'
ই জোর দিয়ে বলেন, ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি থেকে শ্রেষ্ঠ বিষয় বাছাই করে বাচ্চাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাদের বাধ্যতামূলক শিক্ষাদান পর্যায়ে ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি জানার সুযোগ তৈরি করতে হবে, যাতে ছোটবেলা থেকে চরিত্রের সুষ্ঠু ভিত্তি স্থাপন করা যায়, দেশপ্রেম ও আত্মশাসনের চেতনা প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, স্বদেশের সংস্কৃতির স্বীকৃতি ও আত্মবিশ্বাস জোরদার করা যায়। পাশাপাশি প্রাচীনকালের দার্শনিক ও পরম বিজ্ঞদের দার্শনিক চিন্তাভাবনার মাধ্যমে তাদের ভিতরে আদর্শ ও সঠিক মূল্যবোধ স্থাপন করা যায়। আধুনিক চীনা সমাজে স্কুলের ভূমিকা নিয়ে ই চিং বলেন,
'আমাদের স্কুলের তিনটি বৈশিষ্ট্য আছে। জাতীয় সংস্কৃতি ও উত্কর্ষ সম্প্রচার ও উত্তরাধিকার করা, রাষ্ট্রীয় শিক্ষাদানব্যবস্থায় মানবতা প্রশিক্ষণের দুর্বলতা পূরণ করা এবং শিক্ষার্থীদের স্বাধীন চিন্তার দক্ষতা জোরদার করা, যাতে বাচ্চাদের চিন্তাবিদ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করা যায়।'
স্কুলের চীনা ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি কোর্সের শিক্ষক সুং তান তান চীনের ঐতিহ্যিক শাস্ত্রে পরম বিজ্ঞ ও দার্শনিক চিন্তাধারা দিয়ে আধুনিক সমাজের লোকদের বিভ্রান্তি সমাধানের পদ্ধতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন,
'আমাদের ক্লাসে 'ফিলিয়াল ধার্মিকতা', 'হাজার অক্ষর প্রবন্ধ', 'বিশ্ববিদ্যালয়', 'গানের বই' সহ বিভিন্ন জাতীয় গবেষণার শ্রেষ্ঠ শাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত। প্রাচীন এবং আধুনিক লোকদের মধ্যে অভিন্ন জীবনের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তারা শুধু অন্য পদ্ধতিতে মনের কথা প্রকাশ করেন, তাদের মূল বিষয়ের সঙ্গে আধুনিক লোকদের বিভ্রান্তির অনেক মিল রয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাধু ভাষা বোঝার ভিত্তি স্থাপনে আমরা সহায়তা করি। সাধু ভাষার মান উন্নীত হলে শিক্ষার্থীরা নিজের চাহিদা ও পছন্দের বিষয় অনুযায়ী গবেষণার শাস্ত্র বাছাই এবং ধাপে ধাপে চীনা ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি ভালোভাবে বুঝতে পারবে।'
স্কুলের একজন শিক্ষার্থীর বাবা লি সিয়াও চুং তাঁর মেয়ের এক বছরব্যাপী 'জাতীয় বিদ্যা' ক্লাস দেখার পর ব্যাপক প্রশংসা করেন। এ ক্লাসে অংশ নেওয়ার পর তাঁর মেয়ের পরিবর্তন সম্পর্কে তিনি বলেন,
'আমার মেয়ে ছোটবেলা থেকে দাদা-দাদীর সাথে বড় হয়েছে। বলতে পারি, তার চরিত্র বেশ স্বেচ্ছাচারিমূলক। চীনের ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি শেখার পর তার মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যায়। এখন তার চরিত্রে নমনীয়তা, বাবা মার প্রতি সম্মান এবং স্বভাবও উন্নত হয়েছে'।
স্কুলের আরেকজন শিক্ষার্থী চাং লি ই তার শিক্ষা গ্রহণের অনুভূতি প্রকাশ করেন। দু'বছর আগে তার চরিত্র ছিল বেশ বিরক্তিকর। এ কারণে অন্যদের সাথে চলাফেরায় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। দু'বছর 'জাতীয় বিদ্যা' অধ্যয়নের পর তার চরিত্র বেশ নরম ও শান্ত হয়ে ওঠে। নিজের মানসিক অবস্থার সমন্বয় ও আত্মনিষ্ঠার মাধ্যমে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে নমনীয়তা বাস্তবায়িত হয়। এখন যেকোনো চ্যালেঞ্জ বেশ ভালোভাবেই তার পক্ষে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়ে উঠেছে।
প্রতিবন্ধীদের চিকিত্সায় চীনের শাংহাইয়ের ইয়াংকুয়াং পুনর্বাসন কেন্দ্র
'আমি প্রায় ৪ থেকে ৫ মাস ধরে এই হাসপাতালে আছি। কয়েক দফার চিকিত্সা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর এখন আমি শুয়ে থাকার রোগী থেকে বসে ও দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে শিক্ষক ও চিকিত্সকদের সাহায্যে আমি এখন হাঁটাহাঁটি করতে পারি!'
কথাগুলো বলছিলেন মেরুদণ্ডে আঘাতপ্রাপ্ত রোগী ছাং থাং সি। তিনি চীনের হাজার হাজার প্রতিবন্ধী রোগীদের মধ্যে একজন।
আসলে সংশ্লিষ্ট চিকিত্সা ও প্রশিক্ষণর মাধ্যমে এ ধরনের রোগীদের জীবনযাপনের মান উন্নত করা হয়। রোগীকে সুস্থ করে তুলতে চিকিত্সকরা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে থাকেন।
চীনে প্রতিবন্ধী, আকস্মিক দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত, বয়স্ক লোক ও ক্রনিক রোগীসহ বিভিন্ন রোগীদের পুনর্বাসন চিকিত্সা বিরাট চাহিদার সম্মুখীন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের প্রতিবন্ধীদের ওপর অতি গুরুত্ব দেয় চীন সরকার। ২০১৭ সালে চীনের প্রতিবন্ধী কর্তব্য উন্নয়নের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের শেষ নাগাদ চীনে প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৮৩৩৪টি, তাদের মধ্যে পেশাগত চিকিত্সকের সংখ্যা ১ লাখ ৬৫ হাজার।
চীনের শাংহাই শহরের সুংচিয়াং এলাকায় অবস্থিত ইয়াংকুয়াং পুনর্বাসন কেন্দ্রটি শাংহাইয়ে নির্মিত প্রথম সরকারি পুনর্বাসন হাসপাতাল, যা বিভিন্ন রোগের কারণে সৃষ্ট প্রতিবন্ধীদের জন্য পুনর্বাসন চিকিত্সা প্রদান করে থাকে এবং শহরের প্রতিবন্ধীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাদের কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষ প্রশিক্ষণ চালু করে।
এ হাসপাতাল 'সার্বিক পুনর্বাসন' তত্ত্ব অনুসরণ করে রোগীদের কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট কাজ সম্পন্ন করে,যাতে ব্যাপকভাবে রোগীদের পুনরুদ্ধারে সহায়তা দেওয়া যায়। হাসপাতালটির চিকিত্সক ছেন বিন বলেন, এখানে চিকিত্সক ও রোগীদের যৌথ প্রয়াসে চিকিত্সার শ্রেষ্ঠ ফলাফল পাওয়া যায়। তিনি বলেন,
'এ হাসপাতালের চিকিত্সকদলের মধ্যে রয়েছেন সাধারণ চিকিত্সক, মানসিক ও শারীরিক চিকিত্সক এবং স্বেচ্ছাসেবক। নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিত্সকদল সম্মিলিতভাবে চিকিত্সা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। এর আগে রোগীর বিস্তারিত অবস্থা পর্যালোচনা করে দলের বিভিন্ন সদস্য তার পুনরুদ্ধারের মান ও সম্ভাবনা নিয়ে লক্ষ্য স্থাপন করে। অবশ্য প্রত্যেক রোগীর ইচ্ছাকে সম্মান করে সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যা চিকিত্সকদলের কর্ম-পরিকল্পনার পূর্বশর্ত।'
এ পুনর্বাসন কেন্দ্রটি ইন্টারনাল মেডিসিন, সার্জিক্যাল, স্ত্রীরোগবিদ্যা, শিশুরোগ চিকিত্সা ইত্যাদি বিভিন্ন বিভাগ নিয়ে গঠিত।
এ হাসপাতালে নার্ভ, মেরুদণ্ডে আঘাত, বোন অ্যান্ড জয়েন্ট রিহ্যাবিলিটেশনসহ কর্মসংস্থানেপ্রাপ্ত আঘাত পুনরুদ্ধার ও চীনা ঐতিহ্যিক চিকিত্সাসহ বৈশিষ্ট্যমূলক চিকিত্সা বিভাগ স্থাপিত হয়েছে, যা শাংহাই শহরের পুনর্বাসন হাসপাতালের শীর্ষস্থানে দাঁড়িয়েছে।
পুনর্বাসন একটি দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়া। এতে চিকিত্সক ও রোগীদের আত্মীয়স্বজনের সহযোগিতা ও প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এ সম্পর্কে হাসপাতালের নার্স উ আই রুং বলেন,
'আমরা বিভিন্ন সেবামূলক প্রযুক্তি অনুশীলনের মাধ্যমে সুশৃঙ্খলভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করি। আমরা নার্সদের প্রশিক্ষণ দেই ও তাদের সেবার মান উন্নত করি। আমরা পুনর্বাসন পরিষেবার ব্যাপকতা সম্প্রসারণ করেছি। অনেক রোগীর বাসায় ফিরে যাওয়ার পরও চিকিত্সা প্রয়োজন, তাই আমাদের এ পরিষেবা বাসা ও কমিউনিটিতে সম্প্রসারিত হয়েছে। বর্তমানে কমিউনিটিতে যৌথ পরিষেবা পদ্ধতি চালু করেছি। পুনর্বাসন ও নার্সিং অভিজ্ঞতা জোরদার ও নার্সিং যন্ত্রপাতি উন্নত করার মাধ্যমে গত কয়েক বছরে ২০টিরও বেশি পেটেন্ট আবেদন করা হয় এবং ২০১৭ সালে চীনের পুনর্বাসন সমিতির প্রতিযোগিতায় আমরা পেশাগত নার্স প্রশিক্ষণ ঘাঁটির বিশেষ পুরস্কার লাভ করি'।
২০১৭ সালে চীনের ৮৫ লাখ ৪৭ হাজার প্রতিবন্ধী শিশুর মোটামুটি পুনর্বাসন হয়েছে, তাদের মধ্যে ৬ বছর বয়সের চেয়ে কম বয়সী বাচ্চার সংখ্যা ১.৪ লাখেরও বেশি। ইয়াংকুয়াং পুনর্বাসন কেন্দ্রের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো শিশুদের পুনর্বাসন। এর মাধ্যমে প্রতিবন্ধী শিশুদের খেলাধুলা, ভাষা, চেতনা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জীবনযাপনের দক্ষতা চর্চা বাস্তবায়িত হয়েছে। মৌলিক পর্যালোচনা ও চিকিত্সা ছাড়াও নিয়মিতভাবে জনকল্যাণমূলক তত্পরতার মাধ্যমে চিকিত্সার মান উন্নত করে থাকে এ কেন্দ্র। শিশু পুনর্বাসনের চিকিত্সক চাং পেই হুয়া বলেন,
'অটিজমের কারণে সামাজিক যোগাযোগে সমস্যা দেখা দেয়। এ সম্পর্কে আমরা নির্দিষ্ট আচরণ প্রশিক্ষণ দেই। এর মধ্যে রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ প্রশিক্ষণ। এতে ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণ ছাড়াও গ্রুপ প্রশিক্ষণ ও শিশুদের বাবা মায়ের অংশগ্রহণও থাকে, যাতে বাসায় ফিরে যাওয়ার পর বাবা মা সেবা দিতে সক্ষম হন। তাছাড়া, এ কাজে স্বেচ্ছাসেবী বাচ্চাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়, যাতে তারা অটিজমে আক্রান্ত বাচ্চাদের সাথে বিনিময় করতে পারে।'
পুনর্বাসন চিকিত্সা চীনের জনস্বাস্থ্যের একটি নতুন কর্তব্য হিসেবে চালু হয়েছে। বর্তমানে এ কাজে দক্ষ ব্যক্তিদের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। বাস্তব চাহিদা বর্তমান চিকিত্সকের ১০ গুণেরও বেশি। পেশাগত ও দক্ষ চিকিত্সক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য থুংজি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন হাসপাতালের সাথে সহযোগিতামূলক প্রকল্প চালু করেছে ইয়াংকুয়াং পুনর্বাসন কেন্দ্র। পাশাপাশি এখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টার্নশিপের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।
বোন অ্যান্ড জয়েন্ট রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের চিকিত্সক চুং রুং চৌ বলেন, আন্তর্জাতিক চিকিত্সক ও পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন করার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছে কেন্দ্রের কর্মীরা। তিনি বলেন,
'আসলে পুনর্বাসন ও ক্লিনিকাল অবিচ্ছিন্ন অংশ। রোগীর অপারেশন থেকে শুরু করে সামগ্রিকভাবে চিকিত্সকের শীর্ষ পর্যায়ের পরিকল্পনা প্রয়োজন। পুনর্বাসন পর্যায়ে রোগীদের অবস্থা অতি গুরুতর ও জটিল, তাই তাদের পুনর্বাসনে ক্লিনিকাল-সম্পর্কিত বিষয় অনুশীলন করতে হবে। বলা যায়, চীনের ঐতিহ্যিক চিকিত্সা পদ্ধতি অতি শক্তিশালী, কিছু কিছু ঐতিহ্যিক চিকিত্সা পদ্ধতি প্রয়োগ করে কার্যকর সমাধানের উপায় খুঁজে বের করা সম্ভব, যা অতি আনন্দের বিষয়।'
সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, সময় দ্রুত চলে যায়, আমাদের আজকের অনুষ্ঠানও তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে এলো। আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে কোনো মতামত থাকলে আমাদের চিঠি লিখতে ভুলবেন না। আমাদের যোগাযোগ ঠিকানা ben@cri.com.cn, caoyanhua@cri.com.cn, আমাদের ওয়েবসাইটের ঠিকানা www.bengali.cri.cn, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট cribangla
তাহলে এবার বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। আগামী সপ্তাহে একই দিনে একই সময়ে আবারো কথা হবে। যাইচিয়ান। (সুবর্ণা/টুটুল)