0825muktarkotha
|
২২ আগস্ট, বুধবার স্থানীয় সময় সকাল আটটায় বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসল্লীরা।
ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে খোলা মাঠ ও মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দলমত নির্বিশেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদের জামাতে অংশ নেন। নামাজ শেষে চিরাচরিত নিয়মানুযায়ী মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর সামর্থ্যবান মুসলমানেরা পশু কোরবানিতে অংশ নেন এবং "বিছমিল্লাহি আল্লাহু আকবর" বলে পশু কোরবানি করে মহান আল্লাহর কাছে তাকওয়া অর্জনের চেষ্টা করেন। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে আপনাদের জানাই ঈদের শুভেচ্ছা- ঈদ মোবারক।
কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে এখন শুনবেন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বিশেষ অনুষ্ঠান "ঈদ আড্ডা"। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে আপনাদের সাথে আছি আমি দিদারুল ইকবাল।
মুসলমানদের ধর্মীয় রীতি অনুসারে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে ধর্মীয় তাৎপর্য মোতাবেক পশু কোরবানি করা হয়।
কোরবানি শব্দের অর্থ 'ত্যাগ'। মুসলিমরীতি অনুসারে প্রতি বছর জিলহজ্জ্ব মাসের ১০-১২ তারিখে সামর্থ্যবান মুসলমানেরা পশু কোরবানির মাধ্যমে মহান আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন।
তবে শুধু পশু জবাই করাই কোরবানির মূল লক্ষ্য নয়; কোরবানির মূল শিক্ষা হল আত্মশুদ্ধি করা। অর্থাৎ পশুকে কোরবানি করে মানুষের মনে লুকিয়ে থাকা হিংসা, ক্রোধ, পাশবিকতা ও পাপ চিন্তাকে নিধন করা।
ইসলামের ইতিহাস থেকে জানা যায়, আল্লাহ্তায়ালা হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-কে তাঁর প্রতি আনুগত্যের পরীক্ষা হিসেবে আল্লহার নামে তাঁর প্রিয়বস্তু উৎসর্গ করার হুকুম করেন। ওই হুকুম পালনে ব্রত হয়ে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) তাঁর প্রানপ্রিয় পুত্র ইসমাইল (আঃ)-কে আল্লাহ্র সন্তুষ্টির লক্ষ্যে কোরবানি করতে উদ্যত হন। তবে কোরবানি শেষে তিনি দেখতে পান পুত্রের পরিবর্তে তিনি একটি পশু জবাই করেছেন। আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের এই চরম ত্যাগের ঘটনার স্মরণে যুগ যুগ ধরে উম্মতে মোহাম্মদিয়ার উপর পশু কোরবানি অপরিহার্য করা হয়েছে। এই উৎসবের মধ্যদিয়ে সামর্থ্যবান মুসলমানেরা জবাইকৃত পশুর গোশত আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও গরীবদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে সমাজে সাম্যের বাণী প্রতিষ্ঠা করেন।
বাংলাদেশের মুসলমানেরা অন্যান্য বারের মতো এবারও গরু, ছাগল, ভেড়া এবং কোন কোন জায়গায় মহিষ কোরবানি দিয়েছেন। এছাড়া ঈদের দিন মুসলমানেরা নতুন পোষাক পড়ে পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্নীয়-স্বজনদের বাড়ীতে গিয়ে ঈদের সালাম বিনিময় করেছেন এবং প্রত্যেকে বাড়ীতে কোরবানির গোস্ত ছাড়াও উন্নতমানের খাবার প্রস্তুত করে একে অন্যকে দাওয়াত দিয়ে আপ্যায়ন করিয়েছেন। আমাদের শ্রোতাবন্ধুরাও এই ঈদ উৎসবে অংশ নিয়েছেন। চলুন এখন কয়েকজন শ্রোতার ঈদ উদযাপনের অনুভূতির কথা শুনা যাক........
দিদারুল ইকবাল
চীন আন্তর্জাতিক বেতার
বাংলাদেশ।