সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি বিনিয়োগকারী দেশগুলোর নিরাপত্তা পর্যালোচনা-সংক্রান্ত আইন প্রকাশ করেছে। এ আইনের মাধ্যমে গত দশ বছর ধরে প্রথমবারের মতো বিদেশি বিনিয়োগসংক্রান্ত কমিশনের কার্যক্রম নবায়ন ও শক্তিশালী করা হয়েছে।
'দেশের নিরাপত্তা রক্ষা'র অজুহাতে বহু বছর ধরে চলমান বিদেশি বিনিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারির একমাত্র কারণ। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র রাজনীতি, অর্থনীতি, সামরিক বিষয় ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তিসহ নানা ক্ষেত্রে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থান দখল করে আছে। তাই অন্য কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি করতে পারে, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রের এসব কারণ অজুহাত মাত্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত ইচ্ছা হলো, শৈল্পিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও বৈজ্ঞানিক নব্যতাপ্রবর্তনের ক্ষেত্রে তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ অন্য দেশকে না দেওয়া। সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র অর্থনীতির বিশ্বায়নের প্রবণতা উপেক্ষা করে কৃত্রিমভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিদেশি বিনিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়নের সুযোগ হারাবে এবং দেশটির কর্মসংস্থান কমার পাশাপাশি দীর্ঘকালীন মার্কিন শৈল্পিক উন্নয়ন ও প্রযুক্তিগত নব্যতাপ্রবর্তনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশ্বায়নের প্রবণতার সময় আন্তঃদেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ সহযোগিতা গভীর হয় এবং প্রযুক্তিগত বিনিময়ের দৃঢ় চাহিদা ও সদিচ্ছা তৈরি হয়। এটা নিয়ে রাজনীতিকদের ষড়যন্ত্র করা উচিত নয়।
(রুবি/তৌহিদ)