'চীনা ভাষার আকর্ষণ' জ্ঞান প্রতিযোগিতার শেষ অংশ
  2018-08-13 15:47:31  cri


সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা,আপনারা ভালো আছেন? সুদূর বেইজিং থেকে আপনাদের সবাইকে আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের নিয়মিত সাপ্তাহিক আয়োজন 'বিদ্যাবার্তা' অনুষ্ঠান। আর এ আয়োজনে আপনাদের সঙ্গে রয়েছি সুবর্ণা ও টুটুল।

আজকের অনুষ্ঠানে 'চীনা ভাষার আকর্ষণ' জ্ঞান প্রতিযোগিতার শেষ অংশ তুলে ধরবো এবং শিক্ষার মাধ্যমে চীনের উন্নয়ন-সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন শোনাবো।

চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সরাসরি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের সদরদপ্তর অর্থাত্ হানবান দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য চীনা ভাষা ও সংস্কৃতির শিক্ষা ও সেবা প্রদান করছে। যাতে সর্বাধিকভাবে চীনা ভাষা শিক্ষায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণ, হাতে হাত রেখে বহুমাত্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং একটি বন্ধুত্বপূর্ণ বিশ্ব নির্মাণে অবদান রাখা যায়। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বের ১৪৬টি দেশের ৫২৫টি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট এবং ১১১৩টি কনফুসিয়াস ক্লাসরুমে মোট ২১ লাখ শিক্ষার্থীর নাম রয়েছে।

২০০৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি চীন আন্তর্জাতিক বেতার এবং বাংলাদেশের শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্লাসরুমটি ঢাকার উত্তরা এলাকার ১৫ নম্বর রোডের ১১ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত।

আমাদের চীনা শিক্ষকরা বিদেশিদের চীনা ভাষা শেখানোর জন্য পেশাগতভাবে দক্ষ। কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট সদরদপ্তর (হানবান) তাদের প্রশিক্ষণ দেয় এবং অবশেষে তাদের আন্তর্জাতিক চীনাভাষা টিচিং সার্টিফিকেট প্রদান করে।

সিআরআই-এসএমএফ ক্লাসরুম বিভিন্ন সংস্কার ও প্রচারের মাধ্যমে শিক্ষার মান ধারাবাহিকভাবে উন্নত করেছে। এখানে বর্তমানে নিবন্ধিত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৫শ'। এখানকার শিক্ষার্থীরা "চীনা সেতু" বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত চীনা ভাষা প্রতিযোগিতায় অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। শ্রেণীকক্ষের চ্যাম্পিয়ন (তার চীনা নাম ওয়াং ইয়া মেই) বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে ১৬তম "চীনা সেতু" আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের চীনা ভাষা প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার অর্জন করেছে, যা একজন বাংলাদেশি হিসেবে এ যাবত্কালের সবচেয়ে ভালো ফলাফল। এছাড়া বর্তমানে আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই চীন সরকারের বৃত্তি নিয়ে চীনে পড়াশোনা করছে। চলতি বছর আবারো ৯জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়ে লেখাপড়ার জন্য চীনে যাবে।

আমরা চীনা ভাষা প্রশংসাপত্র কোর্স অফার, এইচএসকে (চীনা দক্ষতা পরীক্ষা)/ এইচএসকেকে (চীনা ভাষা মৌখিক পরীক্ষা) ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্স, কনফুসিয়াস কোর্স, প্রাথমিক বাংলা ভাষা প্রশিক্ষণ (বিশেষ করে চীনা নাগরিকদের জন্য) দিয়ে থাকি। প্রতিটি কোর্সের মেয়াদ প্রায় ৪ মাস, বছরের যে কোনো সময় নিবন্ধন করা যায়। এছাড়া আমাদের লাইব্রেরিতে ৩ হাজারটি বই, সিডি, ডিভিডি ইত্যাদি আছে।

প্রশংসিত ভাষা কোর্স ছাড়াও, প্রতি বছর আমাদের ক্লাসরুম 'চীনা চলচ্চিত্র প্রদর্শনী', 'কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট দিবস' এবং 'চীনা সংস্কৃতি মাস'সহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের আয়োজন করে। আমরা সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যুব ক্যাম্পসহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক বা বিনিময় কার্যক্রমে চীনে যাওয়ার ব্যবস্থা করি।

সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠা হবার পর থেকে পর পর অনেক ধরনের সম্মান অর্জন করেছে। ২০১২ সালের অক্টোবরে হানবানের পরিচালক ম্যাডাম স্যুই লিন আমাদের ক্লাসরুম সফর করার সময় মন্তব্য লেখেন: "শান্ত-মারিয়াম কনফুসিয়াস ক্লাসরুম হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ভাল ক্লাসরুম।"

আমাদের ক্লাসরুমের ঠিকানা হচ্ছে: হাউস ৮২, রোড ১৫, সেক্টর ১১, উত্তরা। টেলিফোন নম্বর: ০২৫৫০৮৫২০১।

ইমেইল:crismf@yahoo.com, ফেসবুক: www.facebook.com/cscc66/

প্রশ্ন:

১. সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের ঠিকানাটা কী?

ক) হাউস ৮২, রোড ১৫, সেক্টর ১১, উত্তরা

খ) হাউস ১৫, রোড ৮২, সেক্টর ১১, উত্তরা

গ) হাউস ৮২, রোড ১৫, সেক্টর ২২, উত্তরা

২. চলতি বছর সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের কতজন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়ে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে যাবে?

ক. ১০ খ. ১৪ গ. ৯

চীনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

'আমি যখন বৃত্তি নিয়ে চীনে আসি তখন অনেকেই ঠাট্টা করে বলেছিল, চীনে গিয়ে কী হবে? কিন্তু এখন তারা কিভাবে সন্তানদের চীনে পড়তে পাঠাবেন সে বিষয়ে আমার কাছে জানতে চান'।

কথাগুলো বলছিলেন ড. কিশোর কুমার বিশ্বাস। তিনি বর্তমানে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরেন এক্সপার্ট এডুকেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৯ সালে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের ছাত্র কিশোর কুমার এইচ এস সি পাশ করার পর ঢাকায় এসে বুয়েটে ও ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিতে থাকেন। কিন্তু বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার সময় গুরুতর অসুস্থ থাকায় পরীক্ষাটা দেওয়া হয়নি। দৈনিক পত্রিকায় চীনের সরকারি বৃত্তির সার্কুলার দেখে আবেদন করেন তিনি। ২০০০ সালে চীনে গিয়ে প্রথমে উহান বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছর চীনাভাষা শেখেন। তারপর চীনের অন্যতম সেরা ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে ব্যাচেলর ডিগ্রি নেন। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স অর্জন করেন কম্পিউটার সফটওয়্যার বিষয়ে। প্রথমদিকে চীনা ভাষায় লেখাপড়া করতে খুবই কষ্ট হয়েছিল তার। তবে অদম্য মনোবল ও অধ্যবসায় তাকে সাফল্য এনে দেয়।

চীন বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। বাংলাদেশ থেকে মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্সসহ বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীরা চীনে যাচ্ছেন। ২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী চীনে বিশ্ববিদ্যালয় ও সমমানের কলেজের সংখ্যা ২৯১৪টি। চীনের প্রায় সব প্রদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রী আছেন। তারা সকলেই বেশ সাফল্যের সঙ্গেই পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এবার কিছু নেতিবাচক কথাবার্তা বলি। চীনে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় বেশ ভালো করলেও কিছু কিছু সমস্যাতেও পড়েন।

প্রথমেই তাদের সমস্যা হয় খাবার নিয়ে। চীনদেশের খাদ্যে অভ্যস্ত হতে তাদের বেশ কয়েক সপ্তাহ বা মাসখানেক সময় লাগে। চীনের ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতেও লাগে বেশ কিছুটা সময়। এজন্য পরামর্শ হলো, যদি মনস্থির করেন চীনে পড়তে যাবেন তাহলে অবশ্যই দেশে থাকতেই চীনা ভাষায় কিছুটা পারদর্শী হয়ে নিন। চীনা ভাষা ও সংস্কৃতিকে ভালোবাসার জন্য নিজের মনকে প্রস্তত করে তবেই চীনদেশে পড়তে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। আর চীনের যে প্রদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন সে প্রদেশের আবহাওয়া বিষয়ে জেনে নিন আগেভাগেই। আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর শারিরীক ও মানসিক শক্তিও থাকতে হবে বৈকি।

কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের সদরদপ্তর হানবানে অবস্থিত। কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের বৃত্তি নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিদেশি শিক্ষার্থীরা চীনে যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত কনফুসিয়াস ক্লাসরুম থেকে চীনা ভাষা শিখে অনেকে চীনা ভাষায় উচ্চতর শিক্ষাগ্রহণের জন্য বৃত্তি নিয়েও চীনে যাচ্ছেন। এখন চীনের ১৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের বৃত্তি রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এই বৃত্তি নিয়ে চীনে যাচ্ছেন এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কম নয়। তাদের মধ্যে অনেকে ফিরে এসে বাংলাদেশেই চীনা ভাষার শিক্ষক হয়েছেন। আবার অনেকে চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন।

এই বিষয়ে কথা হলো জান্নাতুন নাহারের সঙ্গে। তিনি ২০০৯ সালে চীন সরকারের বৃত্তি নিয়ে বেইজিং নর্মাল ইউনিভারসিটিতে চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচার বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এর পর ২০১৪ সালে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের বৃত্তি নিয়ে কুয়াংচৌর সান ইয়াতসেন ইউনিভার্সিটিতে উচ্চশিক্ষার জন্য যান। ২০১৬ সালে তিনি টিচিং চাইনিজ টু স্পিকারস অফ আদার ল্যাঙ্গুয়েজ বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের চীনা ভাষার প্রভাষক হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন। জান্নাতুন নাহার মনে করেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য চীনা ভাষায় শিক্ষাগ্রহণের উজ্জ্বল ভবিষ্যত রয়েছে। চীনাভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করে অনেকেই নিজেদের উন্নত ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারেন।

প্রশ্ন: উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য চীনে যেতে হলে কী ধরণের প্রস্তুতি প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন?

শিক্ষার মাধ্যমে চীনের উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা হবে

২০১৮ সালের জুলাই মাসে চীনের জনপ্রিয় ও বিখ্যাত শিক্ষাবিদ জনাব থিয়ান চিয়া বিং ৯৯ বছর বয়সে হংকং বিশেষ প্রশাসনিক এলাকায় মৃত্যুবরণ করেন। সারা জীবন নিজের প্রচেষ্টায় তিনি চীনে তিন শতাধিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন এবং শিক্ষার মাধ্যমে চীনের উন্নয়ন বাস্তবায়নের প্রতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

জনাব থিয়ান শূন্য পকেট থেকে ধীরে ধীরে বিলিয়ন বিলিয়ন ইউয়ানের সম্পত্তি সৃষ্টি করেন। বৃদ্ধকালে তিনি শিক্ষার উন্নয়নে তাঁর অধিকাংশ সম্পত্তি দান করেন। তাঁর বড় ছেলে থিয়ান ছিং সিয়ান বাবা'র গল্প স্মরণ করে বলেন, গত শতাব্দীর ৫০'র দশকে তাঁর বাবা হংকংয়ে বসবাস করা শুরু করেন এবং শিক্ষার উন্নয়নে অর্থায়ন শুরু করেন। তিনি বলেন,

'আমি পরিবারের বড় ছেলে, বাবা আমাদের পরিবারের ১০ জনেরও বেশি সদস্য নিয়ে ১৯৫৮ সালে ইন্দোনেশিয়া থেকে হংকংয়ে আসেন। তখন থেকে তিনি জন্মস্থান ও দেশের উন্নয়নে ব্যাপক মনোযোগ দেন। তিনি জন্মস্থানে দাতব্য কাজ চালু করেন। ১৯৮২ সালে তিনি হংকংয়ে দাতব্য প্রতিষ্ঠান 'থিয়ান চিয়া বিং তহবিল' প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর মাধ্যমে সুশৃঙ্খলভাবে দাতব্য কাজ করতে চান'।

জনাব থিয়ান চিয়া বিং খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন, তিনি ছিলেন একেবারে একজন মিতব্যয়ী মানুষ। তিনি একেকটি পোশাক দীর্ঘদিন ধরে পড়েন। মোজা ছিঁড়ে গেলেও তা বার বার সেলাই করেন। তবে শিক্ষার উন্নয়নে তিনি আন্তরিকভাবে অবদান রাখেন। ১৯৮২ সালে তহবিল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বিলিয়নিয়ার থিয়ান তাঁর ৮০ শতাংশ সম্পত্তি শিক্ষার উন্নয়নে দান করেন। এশিয়ার অর্থনৈতিক মন্দার সময়ও তিনি তাঁর বাড়িঘর বিক্রি করে তহবিলে সাহায্যের কাজ চালিয়ে যান।

২০১০ সালে তিনি সামাজিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে তহবিলের প্রশাসনিক কাজে অংশ নেন। তখন তহবিল পারিবারিক থেকে যৌথ প্রশাসনিক দাতব্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। এ সম্পর্কে বড় ছেলে থিয়ান ছিং সিয়ান বলেন,

'আমার বাবার বড় আশা চীনের শিক্ষা কর্তব্য উন্নয়ন করা। তাই এ ভিত্তিতে তহবিল প্রতিষ্ঠিত হয়। নৈতিক শিক্ষা জোরদার করা, চীনের ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি উন্নয়ন করা, বিশ্ব সভ্যতা সংমিশ্রণ করা, চীনের শিক্ষাদানের মান উন্নত করা এবং দেশের জন্য অবদান রাখা হল এ তহবিলের উদ্দেশ্য। এমন চিন্তাধারা আমাদের কাজের ভিত্তি।'

তহবিলের পরিচালক বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তাই লি সি বলেন, তহবিলের কাজে তিনটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত। নৈতিকতার উন্নয়ন, চীনা সভ্যতার সম্প্রচার এবং বিশ্ব সভ্যতার সংমিশ্রণ। হংকং পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য সংস্কৃতির সংমিশ্রিত এলাকা। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সভ্যতার সংমিশ্রণে হংকংয়ের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্যে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে চীনের এ শিক্ষা কর্তব্যের আন্তর্জাতিক বিনিময় বাস্তবায়ন করা হয়। তহবিলের মূল কাজ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ও প্রশিক্ষণ মান উন্নীত করা। এ সম্পর্কে চেয়ারম্যান তাই লি সি বলেন,

'আমাদের কাজের ভিত্তি মূলভূভাগে, তাইওয়ান প্রদেশে এবং হংকং ও ম্যাকাও বিশেষ প্রশাসনিক এলাকায়। মূলভূভাগে তহবিলের অর্থায়নে নর্ম্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৯০টিরও বেশি, মাধ্যমিক স্কুল ১৬০টিরও বেশি এবং প্রাথমিক স্কুল প্রায় ৫০টি। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নৈতিকতা ও প্রশিক্ষণ কাজ ভালভাবে সম্পন্ন করা আমাদের মূল কর্তব্য। তাছাড়া, শিক্ষক ও স্কুলের প্রধানদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করতে হবে, বিশেষ করে চীনের দূরবর্তী ও দরিদ্র এলাকায়। একটি জনবহুল দেশের নাগরিকদের মান উন্নীত করতে চাইলে শিক্ষার ওপর অনেক গুরুত্ব দিতে হবে।'

তহবিলের মহাপরিচালক তাই তা ওয়ে বলেন, রাষ্ট্রীয় শিক্ষা উন্নয়নের অবস্থা অনুযায়ী এ তহবিল তাদের কাজের দিক সমন্বয় করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতি বছর ৭০টি প্রকল্প চালু করা হয় এবং এতে মোট পুঁজির পরিমাণ ৭ কোটি হংকং ডলার। বিভিন্ন স্কুলের যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম উন্নত করা থেকে শুরু করে শিক্ষাদানের মান উন্নীত করা হয়।

প্রিয় শ্রোতা, এ অনুষ্ঠান সম্পর্কে কোনো মতামত থাকলে আমাদের কাছে চিঠি লিখবেন। আমাদের যোগাযোগ ঠিকানা ben@cri.com.cn, caoyanhua@cri.com.cn

রেডিও'র মাধ্যমে আমাদের অনুষ্ঠান শুনতে না পারলে বা শুনতে মিস করলে বাংলা বিভাগের ওয়েবসাইটে শুনতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইটের ঠিকানা www.bengali.cri.cn

এবার তাহলে বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। আগামী সপ্তাহে একই দিনে একই সময়ে আবারো কথা হবে। যাইচিয়ান। (সুবর্ণা/টুটুল)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040