স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইউরোপ ঘনিষ্ঠভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার ওপর নির্ভর করতো। গত শতাব্দীর ৫০'র দশকের শেষ দিকে পশ্চিম ইউরোপের ছয়টি দেশ আধুনিক ইউরোপীয় ইউনিয়ন গড়ে তুলতে চায়, যাতে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন দু'টি সুপার বৃহত্তর দেশের মধ্যে নিজের সুযোগ ও স্থান সৃষ্টি করা যায়। এর ফলে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সমাজ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এ পরিণত হয়। সারা বিশ্বে ইইউ'র রাজনীতি, অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক প্রভাব দ্রুতভাবে উন্নীত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি সমান অবস্থান তৈরি করে। অধিকাংশ আন্তর্জাতিক বিষয়ে ইইউ বহুপক্ষবাদ বজায় রাখে। ২০০৩ সালে ফ্রান্স ও জার্মানি সক্রিয়ভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ইরাকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিরোধিতা জানিয়েছিলো।
এখনো যুক্তরাষ্ট্র ইইউ'র সঙ্গে অবাধ বাণিজ্যিক অঞ্চল সম্পর্কিত আলোচনার প্রশ্ন সমাধান করেনি। দু'পক্ষের একটি স্থায়ী সমস্যা যে, যুক্তরাষ্ট্র আশা করে, ইউরোপীয় মৈত্রী তার "কৌশলগত স্বার্থ" রক্ষা করবে। অন্যদিকে ইইউ'র নিজের স্বার্থ রয়েছে, সেজন্য অবশ্যই নতি স্বীকার করবে না।
ট্রাম্প অব্যাহতভাবে নৃশংসভাবে একপক্ষবাদ কার্যকর করতে থাকেন। এ পরিস্থিতিতে ইইউ হতাশা প্রকাশ করেছে। সেজন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় মার্কিন-ইউরোপ সম্পর্কের কাঠামোগত ক্ষতি নিরাময় করা যাবে না।(ছাই/টুটুল)