আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, নতুন আইনে যৌথ আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেওয়ায় জাপানে যুদ্ধ ও সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি বেড়ে গেছে। ফলে বাদীর শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে এবং মানসিকভাবে অশান্তি ও ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। তারা প্রত্যেক বাদীকে ১ লাখ ইয়ান ক্ষতিপূরণ দিতে রাষ্ট্রের প্রতি দাবি জানিয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ১৪৩ জন বাদীর বয়স ৩০ থেকে ৮০ বছর। এদের মধ্যে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরষ্কার জয়ী তোশিহিদে মাসকাওয়া রয়েছেন। এক বাদী বলেন, এ হলো নাগরিক ও রাষ্ট্রের মধ্যে মামলা, বিচারককে ন্যায়সঙ্গত বিচার দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
গত ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আবে সরকার জোর করে 'নতুন নিরাপত্তা নিশ্চিত আইন' গ্রহণ করেছে। এ আইনের কারণে জাপানি আত্মরক্ষা বাহিনী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিযান চালাতে পারবে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র রাষ্ট্রগুলোকে সামরিক সমর্থন দিতে পারবে। তার অর্থ হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের 'শুধু আত্মরক্ষা'র নীতি পুরোপুরি বদলে গেল।
(স্বর্ণা/তৌহিদ)