বৈঠকে ওয়াং ই বলেন, গত মে মাসে চীনা প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াং আট বছরে প্রথম জাপান সফর করেন। এ সফরের মাধ্যমে দু'দেশের সম্পর্ক উন্নত হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বহুবার বলেছেন, চীন-জাপান প্রতিযোগিতার সম্পর্ক পরিবর্তন ও সমন্বয় করা উচিত। এ থেকে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে জাপানের ইতিবাচক মনোভাব পরিবর্তন বোঝা যায়। চলতি বছর দু'দেশের শান্তি ও বন্ধুত্ব চুক্তি স্বাক্ষরের ৪০তম বার্ষিকী। এ উপলক্ষ্য দু'দেশের উচিত গত ৪০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে ৪টি রাজনৈতিক দলিলের ভিত্তিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তি সুসংহত করা। জাপানের এ মূল্যবান ইতিবাচক পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্বিপক্ষীয় স্পর্শকাতর বিষয়গুলো সুষ্ঠুভাবে মোকাবেলা করে দু'দেশের সম্পর্ক সঠিক পথে সামনে এগিয়ে নেওয়ার আশা করে চীন। জাপানের সঙ্গে উচ্চ প্রযুক্তি, নব্যতাপ্রবর্তন ও তৃতীয় পক্ষের বাজার ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাস্তব সহযোগিতা জোরদার করতে চায় চীন।
তারো কোনো বলেন, চীনা প্রধানমন্ত্রীর মে মাসের জাপান সফর খুব সফল হয়েছে। এর মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সঠিক পথে ফিরে এসেছে। দু'পক্ষের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করা, উচ্চ পর্যায়ের বিনিময় জোরদার করা এবং নব্যতাপ্রবর্তন ও তৃতীয় বাজার গঠনে দু'দেশের সহযোগিতা আরো ঘনিষ্ঠ করতে চায় জাপান। তা ছাড়া, দু'দেশের মধ্যে তরুণ-তরুণীদের বিনিময় জোরদার করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে সুষ্ঠু সামাজিক ভিত্তি তৈরি করতে চায় জাপান।
(স্বর্ণা/তৌহিদ)