সাক্ষাত্কালে প্রেসিডেন্ট সি মরিশাসের স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছরে অসাধারণ সাফল্য লাভের ইতিবাচক মূল্যায়ন করেন। তিনি মরিশাস সরকারকে বরাবরই চীনের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ নীতি মেনে চলায় প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, দু'দেশের জনগণের মৈত্রী গভীর। দু'দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ৪৬ বছর ধরে দু'দেশের রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা অব্যাহতভাবে উন্নীত হচ্ছে এবং বিভিন্ন সহযোগিতা ও যোগাযোগও ফলপ্রসূ। চীন মরিশাসের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে এগিয়ে নিতে চায়।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দু'দেশ নতুন গুরুত্বপূর্ণ সুযোগের সম্মুখীন হচ্ছে। দু'দেশের উচিত উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ জোরদার করা, সরকারি সংস্থা, আইনগত সংস্থা ও আঞ্চলিক বিভাগের যোগাযোগ উন্নীত করা। চীন মরিশাসের সঙ্গে 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগে সহযোগিতা উন্নয়ন করতে, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ জোরদার করতে এবং পারস্পরিক সমঝোতা ত্বরান্বিত করতে ইচ্ছুক।
জবাবে জগন্নাথ বলেন, দু'দেশ অব্যাহতভাবে পারস্পরিক আস্থা ও সম্মানের ভিত্তিতে সুষ্ঠু সম্পর্ক উন্নীত করে আসছে। মরিশাসকে স্থায়ীভাবে সহায়তা করতে থাকার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান তিনি। প্রেসিডেন্ট সি'র উত্থাপিত 'মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গঠন' উদ্যোগের উচ্চ মূল্যায়ন করেন তিনি। মরিশাস 'এক চীন নীতি'-তে অবিচল থাকবে এবং 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগকে স্বাগত জানায় বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী জগন্নাথ । (ছাই/টুটুল)