ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হবে: ৪৯ শতাংশ মার্কিনির অভিমত
  2018-07-28 18:39:24  cri


১. চীন কারেন্সি মেনিপুলেশানের দোষে দুষ্ট নয়। এ-ব্যাপারে মার্কিন অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। সম্প্রতি চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কেং শুয়াং বেইজিংয়ে এ-কথা বলেন।

মুখপাত্র বলেন, চীনা মুদ্রা ইউয়ানের মূল্য অনেকাংশে নির্ভর করে বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। তাই, মুদ্রার দাম ওঠানামা করে।

চীনের ৫০০০০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের মার্কিন হুমকি সম্পর্কে মুখপাত্র বলেন, চীন বাণিজ্য-যুদ্ধ চায় না। আবার একে ভয়ও পায় না। চীনকে দমিয়ে রাখার কোনো চেষ্টাই সফল হবে না। চীন সরকার দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করতে সক্ষম।

মুখপাত্র আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শান্ত থাকবে এবং যৌক্তিকভাবে বিদ্যমান সমস্যা মোকাবিলায় সচেষ্ট হবে বলে চীন আশা করে।

২. চীন তার ব্যবসা-পরিবেশ আরও উন্নত করতে সম্ভাব্য সবকিছু করবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় এ-সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় প্রধানমন্ত্রী দেশে বিশ্বমানের ব্যবসা-পরিবেশ গড়ে তোলার সামনে বিদ্যমান বাঁধাগুলো চিহ্নিত করে তা দূর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এদিকে, চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসেব অনুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে দেশে বিদেশি অর্থায়নে শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে ২৯,৫৯১টি, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৯৬.৬ শতাংশ বেশি।

২০১৭ সালে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক হিসেব অনুসারে, ব্যবসা পরিবেশ সহজতর করার ক্ষেত্রে চীনের অবস্থান বিশ্বে ৭৮তম। ২০১৩ সালে এক্ষেত্রে চীনের অবস্থান ছিল ৯৬তম।

৩. যুক্তরাষ্ট্র নিজের 'দরজা' বন্ধ করে অন্য দেশকে শর্তহীনভাবে তাদের 'দরজা' খুলে দেওয়ার আবদার করছে এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রয়োজন ও ব্যক্তিস্বার্থকে অন্যান্য দেশের স্বার্থ ও আন্তর্জাতিক নীতির ওপর স্থান দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই একতরফাবাদ ও সংরক্ষণবাদ বৈশ্বিক নীতি ও আর্থিক শৃঙ্খলার প্রতি সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি বেইজিংয়ে এক নিয়মিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ-মন্তব্য করেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া ছুন ইং।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসের জাতীয় বানিজ্য পরিষদের পরিচালক পিটার নাভারো অভিযোগ করেন, বর্তমানে চীন ও আরও কয়েকটি দেশ বাণিজ্যে 'জিরো-সামা গেইম' নীতি অনুসরণ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও বাকি দেশগুলোর উচিত একযোগে এর মোকাবিলা করা। এই অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে হুয়া ছুন ইং আরও বলেন, চীন বরাবরই স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা ত্যাগ করতে, 'জিরো-সাম গেইম' ধারণা পরিত্যাগ করতে, এবং শুধু নিজের স্বার্থ দেখার প্রবণতা ত্যাগ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে। পারস্পরিক সম্মান, ন্যায্যতা, সহযোগিতা ও সকলের কল্যাণের ভিত্তিতে নতুন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপন করে, মানবাজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলা হচ্ছে চীনের কূটনীতির মূল উদ্দেশ্য।

মুখপাত্র জানান, চীনে মার্কিন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছে: চীনের দ্রুত বৃদ্ধির অর্থনীতি ও বড় বাজারের কারণে অনেক মার্কিন শিল্পপ্রতিষ্ঠান মুনাফা করছে। চীন হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপল ও জেনারেল মোটরস্‌ কোম্পানির সবচেয়ে বড় বাজার। ২০১৭ সালে জেনারেল মোটরস্‌ কোম্পানি বিশ্বব্যপী ১০৯৮ কোটি ইউয়ান লস দিলেও, চীন থেকে ১৩,৩৩০ কোটি ইউয়ান মুনাফা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এ-সত্য অস্বীকার করতে পারে না।

৪. ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, চীনের 'অবৈধ ও অন্যায্য বাণিজ্যিক কার্যক্রমের' কারণে মার্কিন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অথচ পরিসংখ্যান বলছে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা! আসলে, চীনে ব্যবসা করে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো লাভবান হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠান চীনের বিশাল বাজার ব্যবহার করে সাফল্য পেয়েছে ও পাচ্ছে।

১৯৮৪ সালে চীনে প্রবেশ করে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্ফেনাল কর্পোরেশান। এর নিজের হিসেব অনুসারেই চীনে প্রতিষ্ঠানটির আয় ২০০৮ সালের ৫৬ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ২০১৭ সালে দাঁড়ায় ২১০ কোটি ডলারে। গড়ে প্রতিষ্ঠানটির আয় বেড়েছে বছরে ১৬ শতাংশ করে। এ-হার বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানটির আয়বৃদ্ধির হারের দুই গুণ।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপল ও জেনারেল মোটরস্‌ কেবল যে চীনে কারখানা স্থাপন করেছে, তা নয়; এই কোম্পানি দু'টির সবচেয়ে বড় বাজারও চীন। মধ্যচীন ও পশ্চিম চীনে বিনিয়োগ করলে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে চীন সরকার অনেক বাণিজ্যিক সুবিধাও দিয়ে থাকে। এজন্য তারা অনেক বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারে। যেমন, যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল মোটরস্‌ ও ফোর্ড কোম্পানি শুল্কের দিক দিয়ে অনেক সুবিধা পেয়েছে আসছে।

২০১৮ সালে চীন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজারে পরিণত হতে যাচ্ছে। বিশ্বের আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো চীনের বাজার ধরতে একে অপরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত। মার্কিন কোম্পানিগুলোও এর ব্যতিক্রম নয়।

এমনি এক প্রেক্ষাপটে মার্কিন সরকার চীনের রফতানিপণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে চলেছে; চালাচ্ছে একধরনের বাণিজ্যযুদ্ধ। এই যুদ্ধ চালানো হচ্ছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বার্থের নামে। কিন্তু বাস্তবে কি এই একতরফা নেতিবাচক তৎপরতা মার্কিন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কল্যাণকর হবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাণিজ্যযুদ্ধে কেউ জয়ী হতে পারবে না; সকল পক্ষই এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তার মানে, এতে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুালোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

৫. এদিকে, ৪৯ শতাংশ মার্কিনি মনে করেন, বাণিজ্যিক অংশীদারদের রফতানিপণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হবে। ৪০ শতাংশ পোষণ করেন বিপরীত ধারণা। বাকি ১১ শতাংশ এ-ব্যাপারে নিশ্চিত নন। যুক্তরাষ্ট্রের পিউ রিসার্চ সেন্টার কর্তৃক পরিচালিত এক জরিপ থেকে এ-চিত্র পাওয়া গেছে।

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের একটি টিভির জনমত জরিপ থেকেও একই ধরনের চিত্র পাওয়া গিয়েছিল। জরিপ অনুসারে, দেশের অর্ধেক মানুষ মনে করেন, বাণিজ্যযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

৬. চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)-তে রাষ্ট্রীয় সফর করেন। প্রেসিডেন্টপদে পুনঃনির্বাচিত হবার পর এটা ছিল সি চিন পিংয়ের প্রথম বিদেশ সফর। তা ছাড়া, বিগত ৩০ বছরে এটি হচ্ছে কোনো চীনা প্রেসিডেন্টের প্রথম ইউএই সফর।

২০১২ সালে ইউএই-চীন কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক স্থাপন করে। সংযুক্ত আরব আমিরাতই উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে প্রথম চীনের সঙ্গে এ-ধরনের সম্পর্ক স্থাপন করে। এর পর দু'পক্ষ বিগত এক যুগ ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করেছে। 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যাগের কারণে চীনের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর জ্বালানি খাতে সহযোগিতার পথ সুগম হয় এবং এই খাতে চীন-ইউএই সহযোগিতা এতদঞ্চলের অন্যান্য দেশের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

এ ছাড়া, চীন ও ইউএই'র মধ্যে অবকাঠামো, টেলিযোগাযোগ, অর্থ, ও সংস্কৃতি খাতেও আদান-প্রদান দিন দিন বাড়ছে। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবারের ইউএই সফরের পর দু'দেশের সহযোগিতার সম্পর্ক আরও উন্নত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চীন-ইউএই সহযোগিতা 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগের আওতায় চীন-মধ্যপ্রাচ্য সহযোগিতাকে জোরদার করতেও ভূমিকা রেখেছে। বর্তমানে চীন হচ্ছে ৯টি আরব দেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য-অংশীদার। আরব দেশগুলো থেকেই চীন সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করে। ১৯৭৮ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত, চীনের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের পণ্যবাণিজ্য বছরে গড়ে বেড়েছে ১৯.৭ শতাংশ করে।

২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং চীন-আরব সহযোগিতা ফোরামের ৬ষ্ঠ মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে বলেছিলেন, 'এক অঞ্চল, এক পথ' হচ্ছে চীন ও আরব—উভয়ের জন্যই কল্যাণকর। আরব দেশগুলোও একে তাদের উন্নয়নের একটি ভালো সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছে।

৭. সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)-র মধ্যে বাণিজ্য-সহযোগিতা ক্রমশ বেড়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ-ধারা অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতই উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে প্রথম চীনের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক স্থাপন করে। দেশটি 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ সমর্থনকারী এবং এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতাসদস্য।

চীনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও আর্থিক সহযোগিতা ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ উ ফান সম্প্রতি বলেন, দু'দেশের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে বাণিজ্য-সহযোগিতা কমিটি স্থাপন করা হয়েছে এবং দু'দেশই পরস্পরের নাগরিকদের ভিসামুক্ত সুবিধা দিচ্ছে। এ-ধরনের ইতিবাচক নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে ২০১৭ সালে চীন-ইউএই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪১০০ কোটি মার্কিন ডলারে, যা আগের বছরের চেয়ে ২.৩ শতাংশ বেশি। আর চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭১৩ কোটি মার্কিন ডলারে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪.৬ শতাংশ বেশি।

তিনি আরও বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত মূলত তেল রফতানি করে। বর্তমানে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পর্যটন খাতেও দু'দেশের মধ্যে বিনিময় বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে দু'দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ভবিষ্যত উজ্জ্বল।

৮. ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে, যা আগামী বছরও একই হারে বাড়বে বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্ব অর্থনীতির হালনাগাদ পূর্বাভাস প্রতিবেদনে বাণিজ্য-যুদ্ধ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। প্রতি ত্রৈ-মাসিক ভিত্তিতে আইএমএফ পূর্ভাবাস প্রতিবেদন হালনাগাদ করে প্রকাশ করে। গত এপ্রিলের প্রতিবেদনেও বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৯ শতাংশ হবার পূর্ভাবাস দেওয়া হয়েছিলো। এবারের প্রতিবেদনে সামগ্রিক পূর্বাভাস পরিবর্তন করা হয়নি। তবে জুলাইয়ের প্রতিবেদনে ইউরোপ, জাপান এবং যুক্তরাজ্যের প্রবৃদ্ধি আগের চেয়ে কমিয়ে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলো আগের হিসাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিশ্ববাজারে জ্বলানি তেলের দর বৃদ্ধির আশঙ্কা, বাণিজ্য নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি এবং কিছু মুদ্রার উপর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আইএমএফ পূর্বাভাস পরিবর্তন করেনি।

.

৯. বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোর আগ্রহের কথা সরকারকে জানিয়েছেন ঢাকা সফররত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য রুশনারা আলী। সম্প্রতি ঢাকার সচিবালয়ে বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে এই আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ রাজনীতিক।

বৈঠকে রুশনারা বলেন, "বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো কাজ করতে চায়। ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামও (বিপি) বাংলাদেশে কাজ করতে চাচ্ছে।"

১০. ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ এবং টঙ্গী- জয়দেবপুর দ্বিতীয় ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান অ্যাফকন্স এবং কল্পতরু পাওয়ার ট্রান্সমিশন লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সম্প্রতি ঢাকায় রেলভবনে এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

ভারতের লাইন অব ক্রেডিটের অর্থায়নে রেললাইন দু'টি নির্মাণে প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে কাজ করবে। এতে ব্যয় হবে এক হাজার ৩৯৩ কোটি ৭৮ লাখ ৯০ টাকা। চুক্তি অনুযায়ী আগামী তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ করবে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ।

(আলিমুল হক)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040