১৪ জুলাই রাতে দুবাইয়ে চীন-আরব টিভি কেন্দ্রে 'আনন্দ গাঁথা' নামের চীনা টিভি সিরিজ প্রচার শুরু হয়। টিভি সিরিজটি আরবি ভাষায় অনুবাদ করেছে চীন আন্তর্জাতিক বেতার। চীন-আরব টেলিভিশন কেন্দ্রে 'আনন্দ গাঁথা'সহ টানা তিনটি চীনা টিভি সিরিজ প্রচারিত হচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি বড় বাণিজ্যিক গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ফয়সাল আলি মোজা বলেন, আরব আমিরাতের মানুষ চীনা সংস্কৃতি ভালবাসে। তাই চীনা চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিজ তার দেশে অবশ্যই জনপ্রিয় হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দু'দেশের বাণিজ্যিক যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ হয়েছে। এর মাধ্যমে দু'দেশের সাংস্কৃতিক যোগাযোগ জোরদার হবে। চেয়ারম্যান ফয়সাল প্রায়শই চীনে আসেন। তিনি চীনা সংস্কৃতি ও চীনা খাবার পছন্দ করেন। তিনি চীনকেও ভালোবাসেন।
ফয়সাল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে বিনিয়োগ জোরদার করেছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট সি'র এবারের সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরকে স্বাগত জানান। তিনি বিশ্বাস করেন, সফরটি ফলপ্রসূ হবে এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার হবে।
সম্প্রতি দু'দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্রুতগতিতে উন্নত হয়েছে। ২০১৭ সালে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে চীন। এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত হলো আরব বিশ্বে চীনের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার ও দ্বিতীয় বাণিজ্যিক অংশীদার দেশ। আর্থ-বাণিজ্যিক যোগাযোগ ছাড়াও দু'দেশের সাংস্কৃতিক যোগাযোগ অব্যাহতভাবে উন্নত হচ্ছে। ওসামা তালেব মুরারা হলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সিনিয়র গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ। তিনি চীনের সঙ্গে আরব দেশগুলোর যোগাযোগের ওপর মনোযোগ দেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে দু'দেশের সাংস্কৃতিক যোগাযোগ মজবুত হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শিক্ষার্থীরা চীনে গিয়ে লেখাপড়া করছেন। পাশাপাশি অনেক চীনা শিক্ষার্থী সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরব দেশগুলোতে আরবি ভাষা শিক্ষা নিচ্ছে। ভাষা হলো বেসরকারি যোগাযোগের সেতু। আমি আশা করি, প্রেসিডেন্ট সি'র এবারের সফরের মাধ্যমে দু'দেশের জনগণের যোগাযোগ জোরদার হবে।
আর্থ-বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ উন্নয়নের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসকারী চীনা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। দেশটিতে প্রবাসী চীনার সংখ্যা প্রায় ২ লাখ। চীনের মানুষ চিন হুই চার বছর আগে দুবাইতে গিয়ে কাজ শুরু করেন। তাঁর মনে হয়, বিদেশে বসবাসের সময় মাতৃভূমিই হলো তাঁর সবচেয়ে শক্তিশালী নির্ভরতা। প্রেসিডেন্ট সি'র এবারের সফরের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, চীনা প্রবাসীদের জন্য প্রেসিডেন্ট সি'র সফর একটি বিরাট উত্সাহ। কারণ, ৩০ বছর পর চীনের শীর্ষনেতার প্রথম সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর এটি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যবসা করার প্রত্যাশা করেন চীনের মানুষ। চীনের প্রেসিডেন্টের এ সফরের মাধ্যমে দু'দেশের আর্থ-বাণিজ্যিক যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফুচিয়ান সাধারণ বাণিজ্য সমিতির সদস্য ছেন লিয়াং বলেন, দু'দেশের সম্পর্ক আরো উচ্চ পর্যায়ে উঠবে। 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ দু'দেশের আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার জন্য আরো ব্যাপক প্ল্যাটফর্ম ও শক্তিশালী চালিকাশক্তির যোগান দেবে বলেও মনে করেন তিনি।
(ছাই/তৌহিদ)