চেচিয়াং-এর আয়তন ১ লাখ বর্গকিলোমিটারের একটু বেশি। গত বছর প্রদেশটির অর্থনীতির মোট পরিমাণ ৫ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে যায়। ২০০২ সালে যখন চীনের প্রেসিডেন্ট সি সিপিসি'র চে চিয়াং শাখার সম্পাদক ছিলেন, তখন তিনি চে চিয়াং-এর অর্থনীতির উন্নয়ন সম্বন্ধে এমন কথা বলেন, তিনি বলেন,
চে চিয়াং-এর অর্থনৈতিক উন্নয়নের ঐতিহাসিক পরিবর্তন ঘটেছে, এর প্রধান কারণ হল, জনগণের উদ্ভাবনকে সম্মান করা, সক্রিয়ভাবে অর্থনীতির কাঠামো সমন্বয় ও সুসংহত করা।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সংস্কার চে চিয়াং প্রদেশের চুংতা গ্রুপের 'বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ৫ শ' শিল্প প্রতিষ্ঠানের' অন্যতম একটিতে পরিণত হওয়ার একটি প্রধান কারণ। গ্রুপের প্রধান ওয়াং থিং ক্য বলেন,
শিল্প-প্রতিষ্ঠানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক তুমুল। সংস্কার না করলে শিল্প-প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন অনেক বাধা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। সিপিসি'র সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং বার বার জোর দিয়ে বলেছেন যে, আধুনিক শিল্প-প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে। আমরা সম্প্রতি আবারও সংস্কার করেছি।
চে চিয়াং প্রদেশের ওয়েন চৌন শহরের ১৩ টি বেসরকারি শিল্প-প্রতিষ্ঠান প্রদেশটির ওয়েন চৌ মিন শাং ব্যাংকের অংশীদার। ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় ওয়েন চৌ শহরের অর্থনীতি সমিতির প্রধান মা চিন লুং অংশ নেন। তিনি বলেন,
আমি মনে করি, এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠার একটি প্রধান তাত্পর্য হল, চীনের পুরোপুরি বাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য তা একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে।
চে চিয়াং প্রদেশের অভিজ্ঞতা প্রকৃতপক্ষে ১৫ বছর আগে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর উত্থাপিত কৌশলের বাস্তবায়ন। ২০০৩ সালে, সি চিন পিং 'আরো ভালোভাবে চে চিয়াং প্রদেশের ব্যবস্থার সুবিধাকে কাজে লাগানো, ব্যাপকভাবে বহুস্বত্বাধিকারী অর্থনীতির যৌথ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, অব্যাহতভাবে সমাজতান্ত্রিক বাজার অর্থনীতির ব্যবস্থাকে সুসংহত করাকে' 'আট আট কৌশলের' প্রথম বিষয় হিসেবে নির্ধারণ করেন।
পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, যদিও গত বছর চে চিয়াং প্রদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সব শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মাত্র ১.৯ শতাংশ, তবে ১৫ শতাংশ আয় এবং ১৮.৯ শতাংশ মুনাফা সৃষ্টি করেছে। বেসরকারি শিল্প-প্রতিষ্ঠান অব্যাহতভাবে অর্থনীতিতে নিজের অবদান রেখেছে। গত বছর চে চিয়াং প্রদেশের বেসরকারি শিল্প-প্রতিষ্ঠান প্রদেশটির ৬৫ শতাংশ জিডিপি, ৭৭ শতাংশ রপ্তানি, ৫৬ শতাংশ কর এবং ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। (শুয়েই/টুটুল)