চীনের রাষ্ট্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের প্রথমার্ধে চীনের জিডিপি'র পরিমাণ ৪১ ট্রিলিয়ন ৮৯৬ বিলিয়ন ১০ কোটি ইউয়ান। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬.৮ শতাংশ বেশি।
পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, প্রথম কোয়ার্টারে চীনের জিডিপি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬.৮ শতাংশ বেশি। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে বৃদ্ধির হার ৬.৭ শতাংশ। চীনের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার একটানা ১২ কোয়ার্টারে ৬.৭ থেকে ৬.৯ শতাংশের মধ্যে বজায় রয়েছে। শিল্পের ক্ষেত্র থেকে দেখলে, প্রথম শিল্পের মূল্য ২.২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান বেড়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩.২ শতাংশ বেশি। দ্বিতীয় শিল্পের মূল্য ১৬.৯ ট্রিলিয়ন ইউয়ান বেড়েছে, এর বৃদ্ধির হার ৬.১ শতাংশ। তৃতীয় শিল্পের মূল্য ২২.৭ ট্রিলিয়ন ইউয়ান বেড়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭.৬ শতাংশ বেশি।
জানা গেছে, প্রথমার্ধে চীনের নাগরিকদের মাথাপিছু ভোগের ব্যয় ৯৬০৯ ইউয়ান। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮.৮ শতাংশ বেশি। যা প্রথম কোয়ার্টারের বৃদ্ধির হারের চেয়ে ১.২ শতাংশ বেশি।
চীনের রাষ্ট্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর মুখপাত্র মাও ছেং ইয়ুং সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, প্রথমার্ধে চীনের অর্থনীতির উন্নয়ন স্থিতিশীল এবং তা ভালোর দিকে উন্নয়ন হচ্ছে। চীনের অর্থনীতির কাঠামোর বিন্যাস আরো গভীরতর হচ্ছে, অর্থনীতির উচ্চ মানের উন্নয়ন অনেক সুষ্ঠু।
তিনি আরো বলেন, দ্বিতীয়ার্ধে চীনের অর্থনীতির স্থিতিশীল এবং সুষ্ঠু উন্নয়নের প্রবণতার পরিবর্তন হবে না।
তিনি বলেন, চলতি বছরের প্রথমার্ধের প্রধান সূচক থেকে জানা যায়, অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা হল প্রধান শক্তি। আর অভ্যন্তরীণ চাহিদায় ভোগ হল প্রধান বিষয়। দ্বিতীয়ার্ধে চীনের ভোগের স্থিতিশীল এবং দ্রুত উন্নয়নের প্রবণতা বজায় রাখার পরিবেশ আছে। তিনি উল্লেখ করেন, প্রথমত, ভোগের স্থিতিশীল উন্নয়নের ভিত্তি ও শর্ত আছে। দ্বিতীয়ত, গত কয়েক বছরে নাগরিকদের আয়ের প্রবৃদ্ধির দ্রুত বৃদ্ধি বজায় রয়েছে। তৃতীয়ত, সমষ্টিগতভাবে বললে, চীনের অর্থনীতি বর্তমানের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে, এখন ভোগের কাঠামো সুসংহত হওয়া আরো দ্রুত হবে। তা হল অর্থনীতি উন্নয়নের প্রবণতা। চতুর্থত হল চীনের আমদানি নীতির উপাদান। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণ ত্বরান্বিত করা এবং জনগণের সুন্দর জীবনযাপনের চাহিদা মেটানোর জন্য চীন আমদানি জোরদার করেছে এবং পুরো বাজারের বিক্রি ও সরবরাহ ত্বরান্বিত করেছে। তাই এসব উপাদান থেকে অনুমান করা যায়, দ্বিতীয়ার্ধে চীনের ভোগের স্থিতিশীল ও সুষ্ঠু উন্নয়ন বজায় রাখা যাবে।
তিনি আরো বলেন, পুঁজি বিনিয়োগের স্থিতিশীল উন্নয়নও বজায় থাকবে। পুঁজি বিনিয়োগের তিন ক্ষেত্র থেকে দেখলে, উত্পাদন শিল্পের পুঁজি বিনিয়োগ একটানা তিন মাসে দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্বিতীয়ার্ধে এই প্রবণতা বজায় থাকবে। রিয়্যাল এস্টেট ক্ষেত্রের পুঁজি বিনিয়োগ প্রথমার্ধে বৃদ্ধির হার ছিল ৯.৭ শতাংশ। দ্বিতীয়ার্ধে এই প্রবণতাও বজায় থাকবে। এ ছাড়া অবকাঠামো ক্ষেত্রের পুঁজি বিনিয়োগও সুষ্ঠুভাবে বৃদ্ধি পাবে।
মুখপাত্র মাও ছেং ইয়ুং আরো বলেন, যদিও বছরের দ্বিতীয়ার্ধে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে, তবে অনেক উপযোগী উপাদানও আছে। তাই চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধিও অনেক সুষ্ঠু হবে। (শুয়েই/টুটুল)