আলজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেলকার মেসেহেলের সঙ্গে সাক্ষাতে ওয়াং ই বলেন, দু'দেশের উচিত কৌশলগত পারস্পরিক আস্থা জোরদার করা এবং 'এক অঞ্চল, এক পথ' সহযোগিতা বাড়ানো, যাতে দু'দেশের বাস্তব সহযোগিতা সফল হয়। জবাবে মেসেহেল বলনে, আলজেরিয়া 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগে চীনের সঙ্গে শিল্প, আর্থ-বাণিজ্যিক ও অবকাঠামো নির্মাণ খাতে সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী।
ফিলিস্তিনের কূটনীতি ও প্রবাসীমন্ত্রী রিয়াদ আল মালকির সঙ্গে সাক্ষাতে ওয়াং ই বলেন, চীন অব্যাহতভাবে ফিলিস্তিনকে বৈধ অধিকার পুনরুদ্ধারের সমর্থন দেবে। জবাবে মালকি বলেন, ফিলিস্তিন 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগে চীনের সঙ্গে বাস্তব সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক। মধ্যপ্রাচ্য সমস্যা, বিশেষ করে ফিলিস্তিন ইস্যুতে চীন বরাবরই ন্যায়ের পক্ষে রয়েছে। ফিলিস্তিন আশা করে, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধার ও দুই রাষ্ট্র পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীন আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সোমালিয়ার কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতামন্ত্রী আহমেদ আইজউদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাতে ওয়াং ই বলেন, চীন সোমালিয়া সরকারের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া উন্নয়ন, সামাজিক সমঝোতা জোরদার ও শাসনের সামর্থ্য উন্নয়নে সমর্থন দেয়। চীন সোমালিয়াকে শান্তিপূর্ণ পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে। জবাবে আইজউদ্দিন বলেন, সোমালিয়া বরাবরই 'এক চীন নীতি'তে অবিচল রয়েছে এবং দৃঢ়ভাবে তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে। সোমালিয়া 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগকে সমর্থন করে এবং চীনের সঙ্গে অবকাঠামো নির্মাণ খাতে সহযোগিতা চালাতে ইচ্ছুক।
(ছাই/তৌহিদ)