তিনি বলেন, চীন-মধ্য ও পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর সহযোগিতামূলক ব্যবস্থা বিভিন্ন পক্ষের স্বার্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এর মধ্য দিয়ে প্রাণবন্ত চালিকাশক্তি তুলে ধরা হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই ১৬টি দেশের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যিক ক্ষেত্র অব্যাহতভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে । দু'পক্ষের পারস্পরিক পুঁজি বিনিয়োগের স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি এবং অবকাঠামোসংক্রান্ত আন্তঃসংযোগ ও আন্তঃযোগাযোগকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি পারস্পরিক কল্যাণ বাস্তবায়িত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, '১৬+১ সহযোগিতা' হচ্ছে চীন-ইউরোপ সহযোগিতায় এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ । এটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-র ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন ও ইউরোপের একীকরণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য সহায়ক। বাস্তবতা থেকে স্পষ্ট যে, '১৬+১ সহযোগিতা' কেবল যে চীন-মধ্য ও পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর সম্পর্কের উন্নয়নে নতুন চালিকাশক্তি যুগিয়েছে তা নয়, তা চীন ও ইউরোপের সার্বিক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক গভীরতর করায় নতুন নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির জটিলতার প্রেক্ষাপটে দু'পক্ষের বাণিজ্যের অবাধকরণ জোরদার করতে হবে; অবকাঠামোসংক্রান্ত আন্তঃসংযোগ ও আন্তঃযোগাযোগ দ্রুততর করতে হবে; জ্বালানি উত্পাদন ও পুঁজি বিনিয়োগসংক্রান্ত সহযোগিতা বেগবান করতে হবে এবং আঞ্চলিক ও মানবিক সহযোগিতা গভীরতর করতে হবে।
(ওয়াং হাইমান/টুটুল)