'অর্থনৈতিক আগ্রাসন' হলো যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি 'চীনের বিরুদ্ধে হুমকি'র নতুন সংস্করণ
  2018-07-06 18:44:57  cri
জুলাই ৬: চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যিক সংঘাত পরিস্থিতিকে বাণিজ্যিক যুদ্ধের প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। তিন মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র বার বার হুমকি ও ভয় দেখিয়ে এবং চীনের ৩৪ বিলিয়ন ডলার পণ্যের ওপর শুল্ক বসিয়েছে। এ ধারাবাহিক অযৌক্তিক উস্কানির ভিত্তি হলো মার্কিন সরকারের উত্তেজনাপূর্ণ ধারণা-'অর্থনৈতিক আগ্রাসন'।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় বাণিজ্যিক কমিশনের পরিচালক পিটার নাভারো সম্প্রতি 'চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক আগ্রাসন ও হুমকি এবং বিশ্বপ্রযুক্তি ও মেধাস্বত্ব' নামে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। গত মার্চে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প 'চীনের অর্থনৈতিক আগ্রাসন তত্পরতা' সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট স্মারকলিপি স্বাক্ষর করেন। গত সপ্তাহে কোনো কোনো মার্কিন গণমাধ্যম চীন ও শ্রীলংকার হাম্বানতোতা বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের খবর প্রকাশ করে। মার্কিন গণমাধ্যম শ্রীলংকা সরকার প্রস্তাবিত চীনের সঙ্গে সহযোগিতা প্রকল্পটিকে 'ঔপনিবেশিকতা' এবং 'আগ্রাসন' হিসাবে লেবেল দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের মানদণ্ড অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বের অধিকাংশ দেশে আগ্রাসন চালিয়েছিল। নিজের আধিপাত্য ও 'মার্কিন অগ্রাধিকার' স্বার্থ রক্ষার জন্য হোয়াইট হাউস বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুদ্ধ করে। মিত্র দেশ বা প্রতিদ্বন্দ্বী, উন্নত দেশ বা উন্নয়নশীল দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আঘাত হানতে পারে। যেমন কানাডার ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম শিল্পে কর আরোপ। এতে করে কানাডার পণ্যে কর যুক্ত হয়েছে। জবাবে কানাডা ১ জুলাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করে। গত দুই বছরে যুক্তরাষ্ট্র রুয়ান্ডা, কেনিয়া, তানজানিয়া ও উগান্ডাসহ পূর্ব আফ্রিকান কয়েকটি দেশ থেকে আমদানি করা পোশাকে শুল্ক যোগ করেছে।

বাস্তবতা হলো, চীন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কল্যাণকর সহযোগিতা চালাতে চায় এবং বিশ্বের উন্নয়তে তা বেশি অবদান রাখবে।

(ছাই/তৌহিদ)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040