'পিয়ার ফুল আবারও ফুটেছে'
  2018-07-01 19:26:14  cri



বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে চীনের বিখ্যাত্ নারী কন্ঠশিল্পী হান হংয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো। প্রথমে তাঁর কন্ঠে 'সওয়ান গিজ' নামের গান শোনাবো। গানটি ২০০৫ সালে রিলিজ হয়। গানটি একটি টিভি সিরিজের থিম সং। এটি মঙ্গোলিয়ার লোক-গান। গানটি সারা চীনে খুবই জনপ্রিয়। চলুন, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো। বিশ্বাস করি, আপনারা গানটি পছন্দ করবেন।

বন্ধুরা, শুনছিলেন হান হংয়ের কন্ঠে 'সওয়ান গিজ' নামের গান। হান হং ১৯৭১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তিব্বতি জাতির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ছাংদং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন সুরকার, কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সংগীত-প্রযোজক, সম্পাদক, উপস্থাপিকা, চীনা জাতীয় রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের সদস্য, জাতীয় প্রথম পর্যায়ের অভিনেত্রী। ২০১৬ সালে চীনের দাতব্য প্রতিষ্ঠানের করা বিখ্যাত ব্যক্তিদের তালিকায় তার অবস্থান প্রথম। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'বিয়ের প্রতিজ্ঞা' শোনাবো। এটি একটি পুরাতন গান, ১৯৫৭ সালে রিলিজ হয়। গানে লাহু জাতির বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। গানটি একটি চলচ্চিত্রের থিম সং। চলুন, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।

বন্ধুরা, শুনছিলেন হান হংয়ের কন্ঠে 'বিয়ের প্রতিজ্ঞা' নামের গান। হান হংয়ের পরিবার একটি শিল্পী-পরিবার। তিনি ৫ বছর বয়স থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করা শুরু করেন। ১৯৮০ সালে তিনি শিশু-কিশোরদের গায়কদলে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণগ্রহণ শুরু করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি চীনের গণমুক্তিফৌজের দ্বিতীয় আর্টিলারি কমান্ড দলে যোগ দেন। ১৯৯৫ সালে তিনি গণমুক্তিফৌজের আর্ট ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। এখন আমি আপনাদেরকে 'পিয়ার ফুল আবারও ফুটেছে' নামের গান শোনাবো। গানটি ১৯৮৪ সালে রিলিজ হয়। গানটি প্রথমে হংকংয়ের কন্ঠশিল্পী চাং কুও রুং গেয়েছিলেন। হান হং তাঁর কনসার্টে পুনরায় গেয়েছেন। চলুন, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।

বন্ধুরা, শুনছিলেন হান হংয়ের কন্ঠে 'পিয়ার ফুল আবারও ফুটেছে' শীর্ষক গান। ১৯৯৬ সালে তিনি তালিয়ানে আয়োজিত চীনা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটি সংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি অন্যান্য কন্ঠশিল্পীর জন্য সুর রচনা শুরু করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি নিজের প্রথম অ্যালবাম প্রযোজনা ও প্রকাশ করেন। এখন আমি আপনাদেরকে 'মোনি পাহাড়' নামের গান। গানটি মঙ্গোলিয়া জাতির লোক-গান। ২০০৯ সালে এরকুনা ব্যান্ড গানটি রচনা করে। চলুন, আমরা এ সুন্দর গান শুনবো।

বন্ধুরা, শুনছিলেন হান হংয়ের কন্ঠে 'মোনি পাহাড়' নামের গান। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'সেই সমুদ্র' শীর্ষক গান। গানটি হান হং নিজে লিখেছেন এবং কন্ঠ দিয়েছেন। গানটি ২০০১ সালে রিলিজ হয়। গানের কথা এমন: আমি ছাড়া তোমার হৃদয়ে কি অন্য মানুষ আছে?/ সে আমার চেয়ে কোমল হয়ে চেয়ে আমার চেয়ে তোমাকে আরও বেশি সুখী করতে পারে?/ আমার প্রশ্নের উত্তর দাও/ আগের দুঃখ ও একাকীত্ব হঠাত চলে গেছে/ তুমি দেখো, সেই সমুদ্র কান্না করছে/ আমি জানি আমি আজীবন তোমার উত্তরের অপেক্ষা করতে থাকবো/ তোমার সঙ্গে আজীবন থাকতে চাই। চলুন, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।

বন্ধুরা, শুনছিলেন হান হংয়ের কন্ঠে 'সেই সমুদ্র' শীর্ষক গান। এখন আমি তাঁর কন্ঠে 'ঊষাকালে' শিরোনামের গান শোনাবো। 'ঊষাকালে' গানটির পিছনের গল্প এমন: ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর কুইচৌ প্রদেশের মালিংহো অঞ্চলের কিছু জায়গা ধসে পড়ে। এক পরিবারের বাবা-মা নিজেদের দুই বছর বয়সী ছেলেকে উদ্ধার করতে গিয়ে মারা যান। কিন্তু তাদের ছেলে বেঁচে যায়। এ গল্প হান হংকে মুগ্ধ করে। এরপর হান হং এ ছেলেকে দত্তক নেন। গানটির কথা এমন: 'সে শরত্কালে বাতাস ছিল দীর্ঘস্থায়ী/ আমি তাদের কথা পড়ছি/ সে অসহায় চোখে সুন্দর দৃশ্য/আমি শুনছি, একটি শব্দের উপত্যকা শিহরিত/ সে শরত্কাল থেকে আমি বাবার চোখ কখনও দেখতে পাইনি/ তিনি আমাকে বেঁচে থাকার সুযোগ দিয়েছেন/ অন্ধকারে চোখে অশ্রু ভরপুর/ আমাকে ত্যাগ করবেন না/ আমি দেখেছি, আমার বাবা-মা চলে গেছে/ আমাকে একা পৃথিবীতে ফেলে গেছে/ আমি জানি না, ভবিষ্যত কতো কঠিন হবে/ আমি তাদের হাত ধরি/ সূর্যোদয়ের সময় মা হাসেন/ এ রাতে আকাশে তারকা উজ্জ্বল/ আমি স্বপ্নে মাকে দেখেছি/ আমি একা এ বিশ্বে শক্তিশালী হতে শিখবো/ আমি তাদের জন্য একটি সুন্দর বাগান নির্মাণ করতে চাই/ সূর্য উঠছে, ঊষাকাল এসেছে। আচ্ছা, বন্ধুরা, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।

প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়।

আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারো আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান। (ছাই/আলিম)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040