আমেরিকান সয়াবিন অ্যাসোসিয়েশনের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর তিন ভাগের এক ভাগ সয়াবিন চীনে রপ্তানি করে, যার মূল্য ১৪০০ কোটি মার্কিন ডলার। মার্কিন কৃষি সমিতিও তার গণমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে ট্রাম্পের এসব সিদ্ধান্তের বিরোধিতা জানিয়েছে। চীনকে মূল্যবান বাণিজ্যিক অংশীদার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন চাষীদের নির্ভরশীল পক্ষ বলে উল্লেখ করে এ সমিতি।
চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের চেয়ারম্যান মুন্সী ফায়েজ আহমেদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বিশ্ব অবাধ বাণিজ্য ও সমতাসম্পন্ন বাণিজ্যের লঙ্ঘনকারী। মার্কিন বাণিজ্য সংরক্ষণবাদী আচরণে বিশ্ব বাণিজ্যের সুশৃঙ্খলা ভাঙবে।
ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আদায়ের আচরণে অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি সৃষ্টি হবে। বিশেষ করে অন্তর্দেশীয় বিনিয়োগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
জাপানের কিয়োদা বার্তাসংস্থার খবরে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ আচরণ বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এতে জাপানি প্রতিষ্ঠানও নিজেকে রক্ষা করতে পারবে না। কারণ জাপানি প্রতিষ্ঠানের চীনা শাখা কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের তালিকাভুক্ত। (রুবি/টুটুল)