১২ জুন ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন আর্টস স্কুলের আর্ট মিউজিয়ামে '২০১৮ স্নাতক পর্বের কর্ম-প্রদর্শনী' অনুষ্ঠিত হয়। এদিন 'একাডেমি অফ ফাইন আর্টসের স্নাতক ছবি প্রদর্শনী'ও অনুষ্ঠিত হয়।
ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন আর্টস স্কুলের পরিচালক লু সিয়াও পো, পার্টি কমিটির সচিব মা সাই, পার্টি কমিটির উপ-সচিব উ ছিয়ং, উপ-পরিচালক ইয়াং তুং চিয়াংসহ বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তি, শিক্ষক প্রতিনিধি, আর্ট সংস্থার দায়িত্বশীল ব্যক্তি এবং ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীসহ প্রায় ১৫০ জন অতিথি এতে অংশ নিয়েছেন।
অতিথিদের পাশাপাশি ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ও বিখ্যাত আর্ট সংস্থা এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগ কোম্পানির দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এতে শিক্ষার্থীদের জন্য আরো বেশি সুযোগ সৃষ্টি হয়। অতিথিরা প্রদর্শনী উপভোগ করার পর সরাসরি নিলামে অংশ নিয়ে প্রদর্শিত বস্তুগুলো কিনেছেন। এবারের প্রদর্শনীতে ৩০টি 'প্রদর্শন কর্ম-সেট' নিলামে বিক্রি হয়। লেনদেন হয়েছে সাড়ে তিন লাখ ইউয়ান!
১২ জুন চীনের হংকংয়ে চীনের বিখ্যাত ক্ল্যাসিকাল খুনছু অপেরা পরিবেশিত হয়। অপেরায় 'চিরযৌবনের প্রাসাদ' ও 'পিওনি চত্ত্বর' পরিবেশ করা হয়। চীনের প্রথম-শ্রেণীর জাতীয় অভিনেতা চিয়াং চুন এগুলো পরিবেশন করেন।
এবারের সঙ্গীতানুষ্ঠানে চীনের প্রাচীন 'খুনছু' (Kunqu) পারফরমেন্স পদ্ধতি এবং চীনের আধুনিক বড় অর্কেস্ট্রা পারফরমেন্স ফর্ম যুক্ত হয়েছে। অর্কেস্ট্রা পরিচালনা করেছেন পরিচালক ইয়েন হুই ছিয়াং ও প্রধান চরিত্রে ছিলেন চিয়াং চুন।
জাতীয় প্রথম-শ্রেণীর অভিনেতা চিয়াং চুন ইউনেস্কো'র 'শান্তি শিল্পী' খেতাবে ভূষিত হন। ২০০৯ সালে শাংহাই চিয়াং চুন খুনছু সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গঠন করেন। তার খুনছু সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রধান লক্ষ্য হলো, চীনের খুনছু কর্মজীবন উন্নত করা। চিয়াং বলেন, 'আমি হংকংয়ের চীনা অর্কেস্ট্রার ভক্ত। জাতিগত সংগীত হংকংয়ে জনপ্রিয়তা পাওয়ায় তিনি খুব খুশি ও গর্বিত। হংকংয়ে চীনা অর্কেস্ট্রা একটি উচ্চ পর্যায়ের অর্কেস্ট্রা। তাদের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে এটি একটি আকর্ষণীয় স্মৃতি তৈরি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সপ্তম 'হামবুর্গ ত্রিবার্ষিক ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী' জার্মানির বন্দরনগর হামবুর্গে শুরু হয়। স্থানীয় চিত্রশালা, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং গ্যালারির ৩২০ জন শিল্পীর সঙ্গে ৫০টিরও বেশি এলাকায় ২৫০টিরও বেশি তত্পরতা ও প্রদর্শনী আয়োজিত হবে।
হামবুর্গ ফটোগ্রাফার, সংগ্রাহক এফ সি গুন্দলাচির (F.C. Gundlach) উদ্যোগে 'হামবুর্গ ত্রিবার্ষিক ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী' শুরু হয়। এটি বিশ্বের বৃহত্তম ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীর মধ্যে অন্যতম। ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতি তিন বছরে একবার করে অনুষ্ঠিত হয় এটি। এর প্রধান একটি প্রদর্শনীর স্থান হলো একটি স্বচ্ছ খোলা গ্লাসের তৈরি বিল্ডিং। ফটোগ্রাফি যাদুঘরের সামনে ৪০টি গ্র্যান্ড উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা যায়। জানা গেছে, এবারের গ্র্যান্ড উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ৭ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত চলবে।
বিশ্বকাপ ফুটবল-২০২৬ যৌথভাবে আয়োজন করবে কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র। ১৩ জুন মস্কোয় ফিফার ৬৮তম সম্মেলনে এ-সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন ফিফা'র প্রেসিডেন্ট জান্নি ফান্তিনো।
ফিফার ২০৩টি সদস্যরাষ্ট্রের ফুটবল সংস্থার প্রতিনিধিরা ভোটের মাধ্যমে এ-সিদ্ধান্ত নেন। আয়োজক দেশ হবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মরক্কোও অংশ নিয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০২৬ বিশ্বকাপে ৪৮টি দেশ চূড়ান্ত পর্বে খেলবে। বর্তমানে ৩২টি দেশ চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ পায়।
১৩ জুন চীনের ছিংতাও শহরে শুরু হয়েছে 'প্রথম এসসিও (শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা) চলচ্চিত্র উত্সব।' ১২টি সদস্যদেশের ৫৫টি চলচ্চিত্র এ-উত্সবে প্রদর্শিত হচ্ছে। এর মধ্যে বাছাই করা ২৩টি চলচ্চিত্র এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে।
চীনের জাতীয় চলচ্চিত্র ব্যুরো ও এসসিও'র ছিংতাও শহরের স্থানীয় সরকারের উদ্যোগে উত্সবটির আয়োজন করা হয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এসসিও'র সচিবালয় এ-ব্যাপারে সহযোগিতা করছে।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার বিভাগের প্রধান ও জাতীয় চলচ্চিত্র ব্যুরোর মহাপরিচালক ওয়াং সিয়াও হুই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, এ-উত্সবের মাধ্যমে বিভিন্ন সদস্যদেশের চলচ্চিত্রশিল্প উপকৃত হবে।
চীন-মধ্যপূর্ব ইউরোপ যুব শিল্প প্রতিভা প্রশিক্ষণ এবং প্র্যাকটিস সেন্টার এবং চীন-মধ্যপূর্ব ইউরোপ সাংস্কৃতিক ও ক্রিয়েটিভ শিল্পের বিনিময় ও সহযোগিতা কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি ছেংতু শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চীন ও মধ্যপূর্ব ইউরোপের ৩'শজন শিল্পী, আর্ট সংস্থার দায়িত্বশীল ব্যক্তি, কয়েকটি দেশের সাংস্কৃতিক বিভাগের প্রতিনিধি এবং চীনে কয়েকজন রাষ্ট্রদূত এতে উপস্থিত ছিলেন।
এ দু'টি কেন্দ্র হলো দ্বিতীয় চীন-মধ্যপূর্ব ইউরোপ শিল্প সহযোগিতা ফোরামের গুরুত্বপূর্ণ ফলাফলগুলির মধ্যে একটি।
কেন্দ্র দু'টি ছেংতু শহরের উদ্ভাবন ও সংস্কার নীতি এবং সিছুয়ান অবাধ বাণিজ্য পরীক্ষা অঞ্চলের প্ল্যাটফর্ম কাজে লাগিয়ে ছেংতু এবং মধ্যপূর্ব ইউরোপের ১৬টি দেশের মধ্যে তথ্য বিনিময় এবং সম্পদ ইন্টারকানেকশন বিষয়ক ব্যাপক সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা এগিয়ে নেবে।
বন্ধুরা,
বিশ্বের সাংস্কৃতিক পর্ব এখানে শেষ। এখন শুনুন আমার সহকর্মী তৌহিদ শরতের উপস্থাপনায় দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক পর্ব।
প্রিয় শ্রোতা,
আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো? আপনারা যদি 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি'-বিষয়ক কোনো কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চান, তাহলে আমাকে চিঠি লিখবেন বা ই-মেইল করবেন। আপনাদের কাছ থেকে চমত্কার পরামর্শ আশা করছি। আর আপনাদের জানিয়ে রাখি, আমার ইমেইল ঠিকানা হলো, hawaiicoffee@163.com
চিঠির শুরুতে 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানের 'প্রস্তাব বা মতামত' উল্লেখ করবেন। আপনাদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।
বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামী সপ্তাহে একই দিন, একই সময় আপনাদের সঙ্গে আবারো কথা হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়ান।
(জিনিয়া/তৌহিদ)