সাক্ষাত্কালে তিনি আরো বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের এসসিও'র নতুন সদস্যদেশ হিসেবে ছিংতাও শীর্ষসম্মেলনে উপস্থিতি বিশ্বের ব্যাপক মনোযোগ পেয়েছে। ছিংতাও শীর্ষসম্মেলন এসসিও উন্নয়নের সন্ধিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যা সংস্থার উন্নয়নে নতুন প্রাণশক্তি যোগাবে। ভারত ও পাকিস্তান যোগ দেওয়ার পর এসসিও'র সদস্য ৮টি হবে, যা ইউরোপ ও এশিয়ার ব্যাপক প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম এবং এতে সংস্থার উন্মুক্তকরণ, আকর্ষণ ও প্রাণশক্তি দেখা যায়।
এসসিও'র প্রভাব সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত লুও বলেন, ভারত ও পাকিস্তান সংস্থায় যোগদানের পর ভৌগোলিক আওতার দিক থেকে দেখলে উত্তর মেরু থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত ইউরোপ ও এশিয়ার মোট আয়তনে পাঁচ ভাগের তিন ভাগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, মোট লোকসংখ্যা ৩.১ বিলিয়ন এবং জিডিপি'র মোট পরিমাণ ১৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অভ্যন্তরীণ সহযোগিতায় বহু লোকসংখ্যা, ব্যাপক ভৌগোলিক আওতা, সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সম্পদ ও বিশাল বাজারসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কারণে সুন্দর ভবিষ্যত দেখা দেয়।
চীন ও ভারতের সহযোগিতা নিয়ে রাষ্ট্রদূত লুও বলেন, বিশ্বের ১ বিলিয়নেরও বেশি লোকসংখ্যার দুটি জনবহুল দেশ হিসেবে এসসিও'র উন্নয়নে অপরিসীম দায়িত্ব রয়েছে চীন ও ভারতের।এ সংস্থার কাঠামোতে ভারতের সাথে কার্যকর সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক বেইজিং। বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুষ্ঠুভাবে উন্নত হয়েছে, বিশেষ করে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। এসসিও'র প্ল্যাটফর্ম বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা আরো সম্প্রসারণ করবে বলে আশা করেন তিনি। (সুবর্ণা/টুটুল)