বাবা-মা'র প্রতি সম্মান এবং স্ত্রী ও সন্তানকে স্নেহ করেন সি চিন পিং। তিনি পরিবার ও সংসার জীবনকে খুব গুরুত্ব দেন। তিনি ও তাঁর স্ত্রী ফেং লি ইউয়ান পরস্পরকে শ্রদ্ধা করেন, ভালোবাসেন এবং সহযোগিতা করেন। প্রথম দর্শনে ভালো লাগা থেকে আজীবন সঙ্গী হয়েছেন দু'জনই। তারা জনসাধারণের মনে প্রেমের নকশা এঁকে দিয়েছেন।
১৯৮৭ সালের সেপ্টেম্বর সি চিন পিং ও ফেং লি ইউয়ান বিয়ে করেন। কোনো জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ের অনুষ্ঠান না, কেবল তাদের বন্ধু ও সহকর্মীরা রেস্তোরাঁয় খাবার খেয়েছেন। 'তুমি আছো', সেটাই সুখ বলে তারা মনে করেন।
বিয়ের পর সি চিন পিং কাজের জন্য প্রায়শই বাইরে চলে যান। ফেং লি ইউয়ান বাহিনীর একজন গায়িকা হিসেবে সমবেদনা গান পরিবেশন করেন। তাঁরা একসাথে কম সময় থাকলেও পরস্পরকে সবসময় মনে রাখেন। ফেং লি ইউয়ান নিজে হাতে সি'র জন্য লেপ তৈরি করেন। সি চিন পিং তার স্ত্রীর জন্য ডাম্পলিং রান্না করেন।
তাঁরা পারিবারিক জীবনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তাঁদের মেয়ের নাম দিয়েছেন 'মিং জ্য"; যার অর্থ পরিশুদ্ধ মানুষ হওয়া।
শীর্ষনেতা হওয়ার পর সি চিন পিংয়ের সঙ্গে অনেক পাবলিক ইভেন্টে ফেং লি ইউয়ানকে দেখা যায়। তাদের সঙ্গী হওয়ার দৃশ্য মনে উষ্ণতা জাগায়। তারা হলেন জনসাধারণের 'সি দাদা' ও ফেং মামা'
সুখ কি?
পরস্পরের আত্মীয়স্বজনের স্বীকৃতি অর্জন।
যেখানে-সেখানে তোমার হাত ধরা, যে কোনো পরিবেশে কেউ একজন তোমার জন্য ছাতা মেলে ধরা।
বেশ কিছু অনুষ্ঠানে এ দম্পতি 'Couple outfit' পরেছেন।
আনন্দ ভাগাভাগি করা
সি চিন পিং এমন একজন নেতা, যিনি পরিবার ও সংসারকে গুরুত্ব দেন। চীনের হাজার হাজার পরিবারের সুখী জীবন নিশ্চিত করার জন্য তিনি কাজ করেন। তিনি বলেন, দেশের সমৃদ্ধি, জাতির পুনরুত্থান ও জনগণের সুখ অবশেষে হাজার হাজার পরিবারের সুখী জীবনের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। তাদের সুখী জীবনের জন্য কাজ করে যাব।