ওয়াং ই বলেন, 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ চীন থেকে শুরু হয়েছে, তবে এর উন্নয়নের সুযোগ ও সাফল্যের ক্ষেত্র বিশ্বব্যাপী। এ উদ্যোগ শুরুর ৫ বছরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের চীনের সাথে বাণিজ্যের পরিমাণ ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে আর পুঁজি বিনিয়োগের পরিমাণও ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ উদ্যোগের ৪৩টি দেশের সাথে বিমান রুট চালু করেছে বেইজিং। চীন ও ইউরোপের ট্রেন লাইন ৭৫০০টিরও বেশি এবং বিদেশে ৭৫টি আর্থ-বাণিজ্যিক এলাকা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে,যা স্থানীয় অঞ্চলে ২ লাখেরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। বাস্তবতা থেকে বোঝা যায়, চীনের 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ বিশ্বায়নের চাহিদা পূরণ করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দেশের জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে এনেছে। বিশেষ করে চলমান অস্থিতিশীল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে এ উদ্যোগ বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির নতুন পথ খুলে দিয়েছে আর শক্তিশালী প্রাণশক্তি ও সুউজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখা যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ইউরোপের কিছু কিছু দেশ এ উদ্যোগের প্রতি সন্দেহপ্রবণ। এ সম্পর্কে বলতে চাই যে, 'এক অঞ্চল, এক পথ' অভিন্ন পরামর্শ, নির্মাণ ও ভোগের ভিত্তিতে সহনশীল আর স্বচ্ছ নীতি অনুসরণ করে থাকে। এ উদ্যোগে জড়িত দেশের উন্নয়নের অবস্থা ভিন্ন,সহযোগিতার চাহিদাও ভিন্ন, তাই বিভিন্ন পক্ষের আদালা চাহিদা বিবেচনা করতে হবে। চীন ও ফ্রান্সের উচিত সমান পরামর্শের ভিত্তিতে এ উদ্যোগ চালু করা,যাতে আরো বিস্তৃত সহযোগিতা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়।
(সুবর্ণা/মহসিন)