সাক্ষাত্কালে বাই মা ওয়াং তুই বলেন, চীন-মার্কিন সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেয় বেইজিং, দু'দেশের শীর্ষ নেতার মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রয়েছে। দুদেশ ব্যাপক মতৈক্যে পৌঁছেছে,তবে কিছু কিছু বিষয়ে মতভেদ ও উত্তেজনাময় সমস্যাও যথাযথভাবে সমাধান করতে হবে। তিনি বলেন, তিব্বত মুক্ত হওয়ার ৬০ বছরের মধ্যে বিভিন্ন খাতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। তিব্বতের বাসিন্দাদের অধিকার ও স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে রক্ষা করা হয়েছে। তিব্বত ইস্যু চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূভাগের অখণ্ডতার সাথে জড়িত, যা চীনের কেন্দ্রীয় স্বার্থ আর অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ ব্যাপারে বিদেশের কোনো হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। তিব্বত ইস্যুর গুরুত্ব আর উত্তেজনা সঠিকভাবে বোঝা আর দালাই গোষ্ঠীর চীনকে বিচ্ছিন্নতাবাদের বাস্তবতা জানার আশা প্রকাশ করেন তিনি। দালাই গোষ্ঠীর অবৈধ সফর অনুমোদন না দেওয়া,দালাই'র সাথে যে কোনো ধরনের যোগাযোগ না করা এবং চীনকে বিচ্ছিন্নতার তত্পরতায় সহায়তা না করার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি,যাতে চীন-মার্কিন সম্পর্কের উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব এড়ানো যায়।
মার্কিন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, যদিও মার্কিন-চীন সম্পর্কের উন্নয়নে কিছু সমস্যা রয়েছে,তবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত হয়েছে। তিব্বতকে চীনা ভূভাগের অবিচ্ছিন্ন অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করে মার্কিন সরকার এবং 'তিব্বতের স্বাধীনতা'য় সমর্থন দেবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
(সুবর্ণা/মহসিন)