নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশের প্রতিনিধি গত ২৮ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করেন। সফরে তাঁরা গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া মিয়ানমারের মানবিক সংকটের খোজ খবর নেয়ার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গা শরনার্থীদের খোজ খবর নেয়ার পর মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদো পৌঁছে সেদেশের সিনিয়র মন্ত্রী অং সান সু কিসহ দেশের সরকারি ও সামরিক বাহিনীর নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, নিরপত্তা পরিষদ এবার মিয়ানমারের মানবিক সংকটের ব্যাপকতার জন্য বিষ্মিত এবং বর্তমান পরিস্থিতির জন্য উদ্বিগ্ন। নিরাপত্তা পরিষদ লক্ষ্য করেছে যে মিয়ানমার সরকার শরনার্থীদের ফিরে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছে। নিরাপত্তা পরিষদ সঙ্গে সঙ্গে মিয়ানমার সরকারকে আরো বেশি প্রচেষ্টা চালানো এবং শরনার্থীদের নিরাপদে, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণভাবে রাখাইন রাজ্যে ফিরে যাওয়ার অবস্থা সৃষ্টি করার তাগিদ দিয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমার সরকারকে সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের শাস্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি মেনে চলার তাগিদ দিয়েছে। এছাড়া, এতে আরও বলা হয়, মিয়ানমার সরকারের উচিত জাতিসংঘ সংস্থা এবং অন্যান্য মানবিক সাহায্য সংস্থার নিরাপদ ও অবাধে রাখাইন রাজ্যে প্রবেশের অনুমোদন দেয়া।
(শুয়েই/মহসীন)