এ সময় লি বলেন, তিন দেশের সহযোগিতা এবং সম্প্রতি কোরীয় দ্বীপের ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে গভীর মতবিনিময় করেছেন তাঁরা। মতৈক্য ও সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিন দেশের স্বাস্থ্যকর, স্থিতিশীল ও টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নের বিষয়ে তাঁরা একমত হয়েছেন এবং তাঁরা কোরীয় উপদ্বীপ ও এতদাঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা সংরক্ষণ করবেন।
লি আরো বলেন, নিয়মিত শীর্ষসম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে অভিন্ন স্বার্থ সম্প্রসারিত হবে এবং মতভেদ দূর হবে বলে মনে করে তিনটি দেশ।
তিনটি দেশ বিশ্বায়ন ও অবাধ বাণিজ্যের সুবিধাভোগী। তাই বাণিজ্য ও পুঁজি বিনিয়োগ সুবিধাজনক করা এবং বাণিজ্যিক স্বাধীনতা বাস্তবায়নে আরো বেশি চেষ্টা চালানো উচিত। তিন দেশের অবাধ বাণিজ্যিক এলাকা, আঞ্চলিক সার্বিক অর্থনৈতিক অংশীদারি সম্পর্ক চুক্তি (আরসিইপি) দ্রুত কার্যকর করতে হবে; যাতে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে আস্থা ও প্রাণশক্তি যোগানো যায়।
তিনি আরো বলেন, কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণু ইস্যু পুনরায় আলোচনার টেবিলে ফিরে আসায় অভিনন্দন জানায় তিনটি দেশ। বিভিন্ন পক্ষের সর্বোচ্চ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সংলাপ পুনরুদ্ধার করা এবং এতে চীন গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে বলে জানান লি।
শিনজো আবে বলেন, তিন দেশের শীর্ষসম্মেলন আস্থা ও সহযোগিতা তৈরি এবং মতভেদ নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। এআই, ডিজিটাল অর্থনীতি ও অবকাঠামো নির্মাণে তিন দেশের অনেক সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে, যা আঞ্চলিক ও বিশ্ব উন্নয়নের চালিকাশক্তি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মুন জায়ে-ইন বলেন, তিন দেশের সহযোগিতায় কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু মুক্তকরণ এবং এতদাঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করে সিউল।
(সুবর্ণা/তৌহিদ)