প্রিয় শ্রোতা, আজকের সংবাদ পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে শুনবেন এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন।
বৈঠকে লি খ্য ছিয়াং ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টকে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। তিনি বলেন, চলতি বছর চীন-ইন্দোনেশিয়া সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পঞ্চম বার্ষিকী। চীন ও ইন্দোনেশিয়া হাতে হাত রেখে যৌথ উন্নয়ন অর্জন করেছে, যা দু'দেশ ও দু'দেশের জনগণের জন্য এবং আঞ্চলিক ও বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী লি বলেন,
'শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে দু'দেশের এগিয়ে যাওয়া, আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক নীতিমালায় বিশ্ব ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করার বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। চীন ও ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক সত্ত্বার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের উচিত বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া বেগবান করা এবং অবাধ বাণিজ্য ও বাণিজ্যের সহজায়ন এগিয়ে নেওয়া।
লি খ্য ছিয়াং বলেন, চীন ও ইন্দোনেশিয়া দ্বিপক্ষীয় সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কের আওতায় দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সার্বিক সহযোগিতার তিনটি স্তম্ভ তৈরি করতে চায় এবং 'জাকার্তা-বন্দুক দ্রুত গতির রেলপথ' ও আঞ্চলিক কমপ্লেক্স অর্থনৈতিক করিডোর' প্রকল্প দু'টির সহযোগিতা প্রমোট করতে ইচ্ছুক।
লি বলেন,
'চীন চারটি অর্থনৈতিক করিডোর, বিমানবন্দর ও সমুদ্র তীরবর্তী অর্থনীতি, শৈল্পিক প্রক্রিয়াজাত ও বিদেশি গুদাম নির্মাণসহ নানা বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক। চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো চারটি অঞ্চলে বিনিয়োগ পরিচালনা করতে চায়। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ওইদোদোও বলেছেন, দেশটি চীনা প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের জন্য আরও সুবিধাজনক পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
লি আরও বলেন, চীন ইন্দোনেশিয়ার পাম তেল, ফল ও ক্যাফেসহ নানা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক পণ্য রপ্তানি বাড়াবে। পাশাপাশি দু'দেশ জনসাধারণের যোগাযোগ জোরদার করবে, বিজ্ঞান ও যুব আদান-প্রদান সম্প্রসারণ করবে।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ওইদোদো বলেন, 'আঞ্চলিক কমপ্লেক্স অর্থনৈতিক করিডোর' নির্মাণে চীনের সমর্থনের জন্য ইন্দোনেশিয়া কৃতজ্ঞ। দেশটি জাকার্তা-বন্দুক দ্রুত গতির রেলপথ তৈরির কাজ শিগগিরি শেষ করতে চায়। যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই রেলপথ চালু হয়। ইন্দোনেশিয়া চীনের সঙ্গে আসিয়ান-চীন কাঠামোগত সহযোগিতার আওতায় আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে সমন্বয় ও যোগাযোগ জোরদার করতে চায়।
এদিন লি খ্য ছিয়াং আসিয়ান সচিবালয় সফর করেন এবং চীন-আসিয়ান কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সময় তিনি বলেন, চীন-আসিয়ান কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ১৫তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আসিয়ানের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে এবং আরও ঘনিষ্ঠ অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট কমিউনিটি গঠন করতে চায় চীন।
লি বলেন, 'চলতি বছর আঞ্চলিক সার্বিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক চুক্তি বা আরসিইপি-সংক্রান্ত বৈঠক লক্ষণীয় অগ্রগতি অর্জন করবে বলে আশা করে চীন। এতে পূর্ব এশিয়ার আর্থ-বাণিজ্য ও অবাধ বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি চীন অব্যাহতভাবে অবাধ বাণিজ্য প্রমোট করতে চায় এবং আসিয়ানের সঙ্গে সহনশীল ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের অংশীদার হতে চায়।(রুবি/তৌহিদ)