'এক অঞ্চল, এক পথ' চীন ও ইউরোপের শিল্প ও সংস্কৃতিকে যুক্ত করে
  2018-05-08 09:42:00  cri

'শান্তি বাদক--২০১৮' শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার পঞ্চম সামরিক সঙ্গীত উত্সব ২৪ এপ্রিল বেইজিংয়ের জুউংগুয়ান গ্রেট ওয়ালের বেইকুয়ান মহাচত্বরে উদ্বোধন হয়েছে।

চীনের গণমুক্তি ফৌজের সামরিক সঙ্গীত দল এবং কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ভারত ও বেলারুশসহ বিভিন্ন দেশের বাহিনীর ৮টি সামরিক সঙ্গীত

দল এবারের সামরিক সঙ্গীত উত্সবে অংশ নেয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রথম আনুষ্ঠানিক পারফর্মেন্স অনুষ্ঠিত হয়। সামরিক সঙ্গীতের সীমাহীন ভাষা নিয়ে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার লক্ষ্য সর্বোত্তম শিল্পসম্মত পরিবেশনা।

জানা গেছে, এদিন সকালে অংশগ্রহণকারী সামরিক সঙ্গীত দলগুলো বেইজিংয়ের অলিম্পিক পার্কে সামরিক প্যারেড শোতে অংশ নেয়। তাছাড়া, এদিন সন্ধ্যায় চুইয়ংকুয়ান-এ দ্বিতীয় আনুষ্ঠানিক পারফর্মেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সামরিক সঙ্গীত উত্সব ২০১৪ সালে শুরু হয়। এই উত্সব শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য রাষ্ট্রের সেনা কর্মকর্তা ও সৈন্যদের মৈত্রীর সেতুতে পরিণত হয়েছে। উল্লেখ্য, উজবেকিস্তান, ভারত, বেলারুশ প্রথমবারের মত এবারের সামরিক সঙ্গীত উত্সবে অংশ নেয়, যা এ মহাসম্মিলনীর জন্য নতুন জীবনীশক্তি এনে দেয়।

বন্ধুরা, 'শান্তি বাদক--২০১৮' শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার পঞ্চম সামরিক সঙ্গীত উত্সব বেইজিংয়ে উদ্বোধন শিরোনামে সাংস্কৃতিক খবরটি এখানে শেষ। এবারে শুনুন ফ্রান্সের 'অ্যাভিং নন থিয়েটার ফ্যাস্টিভাল'র সবচেয়ে জনপ্রিয় নাটক 'সিগন' জুন মাসে চীনে প্রথম মঞ্চস্থ হওয়া সংক্রান্ত একটি সাংস্কৃতিক প্রবন্ধ।

এপ্রিল মাসের শেষে নাট্য সৌন্দর্য্য, প্রযুক্তি সাফল্য বিষয়ক একটি পর্ব ও শেখার কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এ কার্যক্রমের একটি ফলাফল হলো ইয়াংহুয়া নাট্য গ্রুপের প্রবর্তনের মাধ্যমে ফ্রান্সের অ্যাভিং নন থিয়েটার ফ্যাস্টিভালের সবচেয়ে জনপ্রিয় নাটক 'সিগন' চীনে মঞ্চস্থ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। নাটকটিকে বর্তমান বিশ্বের বাস্তববাদ নাটকের সেরা নাট্যকর্ম বলা যেতে পারে।

নাটক 'সিগন'-এর গল্প একটি রেস্টুরেন্টে ঘটেছে। এটি এমন একটি গল্প যেখানে আধুনিক ফ্রান্স ও বিংশ শতাব্দীর ৫০ দশকের সিগন দু'টি ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন যুগে একই সময়ে ঘটে। এটি 'ক্রস-স্পেস', 'ক্রস-সময়' নিয়ে একটি নাটক। ফরাসি-ভিয়েতনামী ইতিহাসের ঐতিহাসিক পরিবর্তন এবং ভৌগোলিক কারণে নিজের স্বদেশ ও প্রেমিককে ত্যাগ করে।

এ নাটকের পরিচালক একজন ফরাসি-ভিয়েতনামী নারী। তিনি বলেন, এ নাটকের গল্প তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার সাথে জটিল সম্পর্ক রয়েছে। "আমার মা ভিয়েতনামী, আমার বাবা ফরাসি। সে উত্তর আফ্রিকায় থাকেন।" এ নাটক মঞ্চস্থ করা যেন আমার নিজের বাবা-মা'র গল্প উপভোগ করার মত।

তিনি আরো বলেন, 'সিগন'-এর গল্পে দর্শকরা বুঝতে পারবে যে যুদ্ধ, রাজনীতি ও দেশের সীমার সামনে মানুষের অন্তর্বেগ কত ভঙ্গুর, কত দুর্বল!

বন্ধুরা, এবারে শুনুন 'এক অঞ্চল, এক পথ' চীন ও ইউরোপের শিল্প ও সংস্কৃতিকে যুক্ত করে শিরোনামে একটি সাংস্কৃতিক খবর।

এপ্রিল মাসের শেষে 'চীন-ইউরোপ আন্তর্জাতিক আর্ট বিনিময় প্রদর্শনী'-পাবলিক কূটনীতি ও সাংস্কৃতিক বিনিময় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের প্রদর্শনীতে চীন, পোল্যান্ড, ইউক্রেইন, স্পেন, হাঙ্গেরি, যুক্তরাজ্য ও ইতালির সেরা শিল্পীদের ক্যালিগ্রাফি, পেইন্টিং, ফটোগ্রাফি, আর্টস ও কারুশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়।

পাবলিক কূটনীতি ও সাংস্কৃতিক বিনিময় কেন্দ্রের পরিচালক মা চেন সুয়ান স্বাগত বক্তৃতায় বলেন, চীন ও ইউরোপের সুদীর্ঘ বিনিময়ের ইতিহাস, বিস্তৃত সহযোগিতা ক্ষেত্র এবং সহযোগিতার বিশাল সম্ভাবনা আছে।

এবারের প্রদর্শনীতে চীন ও ইউরোপের শিল্পীদের বিভিন্ন ধরণের শিল্পকর্ম দেখা যায়। তিনি আশা করেন, আর্ট বিনিময়ের মাধ্যমে চীন-ইউরোপ জনগণের মৈত্রীর প্রতি একই আবেদন সৃষ্টি করবে।

চীনের সাংস্কৃতিক তথ্য সমিতির সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক প্রতিভা প্রচার কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান লিউ ছিয়াং কুও তাঁর ভাষণে বলেন, এবারের প্রদর্শনী হলো চীন ও ইউরোপের সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক বিনিময় ইতিহাসে একটি বড় ঘটনা। তিনি আশা করেন দু'পক্ষের শিল্পীরা এ প্ল্যাটর্ফম কাজে লাগিয়ে আরও বেশী সাংস্কৃতিক বিনিময় করবে, পরস্পরকে জানবে, যাতে চীন-ইউরোপ জনগণের ঐতিহাসিক মৈত্রী উন্নয়নের জন্য অবদান রাখা যায়।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের প্রোটোকল বিভাগের সাবেক পরিচালক, স্লোভানিয়ায় চীনের প্রথম রাষ্ট্রদূত লু ভেই সিন তাঁর ভাষণে বলেন, প্রাচীন 'রেশম পথ' চীনের প্রাচীন শহর ছিয়াং আন ও রোমকে যুক্ত করে চীন-ইউরোপ আর্ট বিনিময় শুরু করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু'পক্ষের সাংস্কৃতিক বিনিময় আরো উন্নত হয়ে উচ্চ পর্যায় ও ব্যাপক সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতার নতুন ধরণ গঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, এবারের 'চীন-ইউরোপ আন্তর্জাতিক আর্ট বিনিময় প্রদর্শনী' অবশ্যই দু'পক্ষের সাংস্কৃতিক বিনিময় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।

প্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো? আপনারা যদি 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক কোনো কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চান, তাহলে আমাকে চিঠি লিখবেন বা ই-মেইল করবেন। আপনাদের কাছ থেকে চমত্কার পরামর্শ আশা করছি। আর আপনাদের জানিয়ে রাখি, আমার ইমেইল ঠিকানা হলো, hawaiicoffee@163.com

চিঠিতে প্রথমে লিখবেন, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানের 'প্রস্তাব বা মতামত'। আপনাদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।

বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামী সপ্তাহে একই দিন, একই সময় আপনাদের সঙ্গে আবারো কথা হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাইচিয়ান। (জিনিয়া/মহসীন)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040