'কুয়াশায় ফুল দেখি'
  2018-05-05 18:22:12  cri



বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে চীনের বিখ্যাত্ নারী কন্ঠশিল্পী না ইংয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো। না ইং ১৯৬৭ সালের ২৭ নভেম্বরে লিয়াওনিং প্রদেশের শেনইয়াং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হলেন একজন কন্ঠশিল্পী ও অভিনেত্রী। ১৯৮৮ সালে তিনি সংগীতজগতে প্রবেশ করেন। এখন আমি আপনাদেরকে 'বসন্তের ফুল' শীর্ষক গান শোনাবো। গানটি ২০১৩ সালে প্রকাশিত হয়। চলুন আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।

বন্ধুরা, শুনছিলেন না ইং'র কন্ঠে 'বসন্তের ফুল' গানটি। ১৯৯০ সালে তিনি জাতীয় যুব কন্ঠশিল্পী প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি তাইওয়ানে নিজের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ২০০১ সালে তিনি ১২তম তাইওয়ান গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ডসের শ্রেষ্ঠ নারী কন্ঠশিল্পী'র পুরস্কার লাভ করেণ। ২০০১ সালে তিনি ষষ্ঠ অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ২০০৪ সালে তিনি প্রথম টিভি সিরিজে অভিনয় করেন। এখন আমি আপনাদেরকে না ইংয়ের কন্ঠে 'প্রেমের ভ্রমণ' শীর্ষক গান শোনাবো। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।

বন্ধুরা, শুনছিলেন না ইংয়ের কন্ঠে 'প্রেমের ভ্রমণ' গানটি। ২০০৬ সালে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। এরপর তিনি বিয়ে করেন ও তার সন্তান হয়। ফলে তিনি বিনোদনজগত থেকে দূরে সরে যান। ২০০৯ সালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সংগীতজগতে ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ২০১০ সালে তিনি সংগীত প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ২০১১ সালে, নয় বছর পর তিনি পুনরায় অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এখন আমি আপনাদেরকে না ইংয়ের কন্ঠে 'অপেক্ষা' শীর্ষক গান শোনাবো। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।

বন্ধুরা, শুনছিলেন না ইংয়ের কন্ঠে 'অপেক্ষা' গানটি। না ইং ছোটবেলা থেকে গানের প্রতি আকৃষ্ট হন। ১৯৭৯ সালে তিনি লিয়াওনিং কিশোর রেডিও গায়কদলে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালে তিনি গান এবং নৃত্য দলে যোগ দেন। ১৯৮৮ সালে না ইং 'সূর্যালোক কাপ' নামক যুব কন্ঠশিল্পী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং স্বর্ণপদক লাভ করেন। এরপর তিনি বেইজিংয়ে গিয়ে সংগীতের ওপর কাজ শুরু করেন। একই বছরে তিনি বিশ্ব পরিবেশ সুরক্ষা স্মারক কনসার্টে গান গেয়ে গোটা চীনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এখন আমি আপনাদেরকে না ইংয়ের কন্ঠে 'রেশমপথ' শীর্ষক গান শোনাবো।

বন্ধুরা, শুনছিলেন না ইংয়ের কন্ঠে 'রেশমপথ' গানটি। ১৯৮৯ সালে তিনি সিঙ্গাপুরে 'নতুন তারকা' পুরস্কার লাভ করেন। একই বছরে চীনা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে 'জাতীয় চমত্কার কন্ঠশিল্পী প্রতিযোগিতা'-য় প্রথম স্থানে ছিলেন। এ-বছরে তিনি কুয়াংচৌ শহরে আয়োজিত সংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থানে ছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি 'জাতীয় সবচেয়ে জনপ্রিয় দশজন কন্ঠশিল্পী'র তালিকা এবং 'শ্রেষ্ঠ দশজন টিভি ও চলচ্চিত্র কন্ঠশিল্পী'র তালিকায় স্থান পান। একই বছরে তাঁর কন্ঠে গান হংকংয়ের শ্রেষ্ঠ দশটি গানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল। বন্ধুরা, এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলোর একটি 'কুয়াশায় ফুল দেখি' শীর্ষক গান শোনাবো। গানটি ১৯৯৫ সালে রিলিজ হয়।

বন্ধুরা, শুনছিরেন না ইংয়ের কন্ঠে 'কুয়াশায় ফুল দেখি' গানটি। ১৯৯৯ সালে তিনি চতুর্থ অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ২০১০ সাল থেকে তিনি বিভিন্ন সংগীত প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে একটি প্রেমের গান শোনাবো। গানটি ২০১৫ সালে রিলিজ হয়। গানটি একটি চলচ্চিত্রের থিম সং। চলুন আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।

প্রিয় শ্রোতা, এতোক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়।

আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারো আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান। (ছাই/আলিম)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040