ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশনা সংস্থাসহ ৪টি প্রকাশনা ইউনিট নিয়ে গঠিত একটি চীনা প্রকাশনা প্রতিনিধি দল এবার বুদাপেষ্ট আন্তর্জাতিক বই উত্সবে অংশ নেয়। এবারের বই মেলায় চীনের প্রদর্শনী স্টল ছিল আগের চেয়ে বৃহত্তর। স্টলের নকশায় যুক্ত করা হয় অনেক চীনা বৈশিষ্ট্য, যা বিপুল সংখ্যক হাঙ্গেরিয়ানদের আকৃষ্ট করে।
এবারের চীনা প্রকাশনার নির্বাচিত বইগুলোতে প্রধানত সংস্কার ও উন্মুক্ততা চালু হওয়ার পর গত ৪০ বছরে চীনের রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও সমাজসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের অর্জিত সাফল্য প্রতিফলিত হয়। চীনের প্রকাশনা প্রতিনিধি দলের এবার সেবা কাজ বিষয়ক দায়িত্বশীল ব্যক্তি, চীনের বই আমদানি ও রপ্তানি গ্রুপ কর্পোরেশনের প্রকল্প মহাব্যবস্থাপক উয়েই ছুন পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন,
"এবারের প্রদর্শিত চীনা বইগুলোতে বিভিন্ন ধরনের বই রয়েছে। চীনা সাহিত্য, শিশু-বই, ভাষা শিক্ষা, চিকিত্সাসহ নানা রকমের ৩০০টিরও বেশী বই আছে। চীনা সংস্কৃতি ও চীনা ভাষা শিক্ষায় অনেক আগ্রহী হাঙ্গেরির নাগরিকরা। সেজন্য এবারের চীনা প্রদর্শনী স্টল অনেক জনপ্রিয়। প্রদর্শিত বইও দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়।"
হাঙ্গেরির অভিবাসন ব্যুরোতে কর্মরত অরসি চীনা সংস্কৃতির একজন ভক্ত। এমনকি তাঁর হ্যান্ডব্যাগেও চীনা শব্দ রয়েছে। কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে তিনি চীনা ভাষা শিখেছেন। চার বছর আগে চীনের সাংহাই ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় মাসের মত শিখেছে অরসি। এবারের বুদাপেষ্ট আন্তর্জাতিক বই উত্সবে তাঁর প্রধান লক্ষ্য হলো চীনা বই কেনা। তিনি বলেন,
"চার বছর আগে আমি সাংহাই ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা ভাষা শিখেছি। তখন আমি 'সি লু ইয়ুন থান' বইটি পড়েছি। আমার অনেক মজা লেগেছে"
বুদাপেষ্ট আন্তর্জাতিক বই উত্সব এমন একটি বই উত্সব যার প্রধান লক্ষ্য হলো বই প্রদর্শন ও বিক্রি করা। সেজন্য হাঙ্গেরির মানুষ এই উত্সবে অনেক বই কিনেন। এবারের উৎসবে চীনের প্রকাশনা প্রতিনিধি দল শুধু ৩'শটি বই-ই এনেছে। সেজন্য বেশ আগে ভাগেই সব বই বিক্রি হয়ে যায়। বই উত্সবে অংশ নেওয়া ছাড়া চীনের প্রকাশনার আরেকটি প্রধান কর্তব্য হলো কপিরাইট আউটপুট। উয়েই ছুন জানিয়েছেন, চীন-হাঙ্গেরি প্রকাশনা সংস্থার বই উত্সবে বিনিময় করে প্রাথমিক সহযোগিতার ব্যপারে এক মত হওয়া গেছে।
তিনি বলেন,
"এবার আমাদের প্রকাশনা প্রতিনিধি দল নিজ প্রকাশনার গুরুত্বপূর্ণ বই-তালিকা হাঙ্গেরির স্থানীয় প্রকাশনা সংস্থাকে হস্তান্তর করেছে। পারস্পরিক মতবিনিময়ের পর প্রকাশনায় সহযোগিতার ব্যপারে এক মত হয়েছি আমরা।"
এবারের বই উত্সব হাঙ্গেরি ও মধ্য-ইউরোপ অঞ্চলের নাগরিকদের জন্য একটি জানালা খুলে দিয়েছে, এ জানালার মাধ্যমে চীনের উন্নয়নের অবস্থা, চীনা সংস্কৃতি জানতে পারবে তাঁরা।