চীন আন্তর্জাতিক বেতারের এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, চীন ও ভারত উভয়ই বিশাল অর্থনৈতিক সত্ত্বা। কিছু কিছু গণমাধ্যম ড্রাগন ও হাতি দিয়ে দু'দেশকে বর্ণনা করে। এমন কি 'ড্রাগন ও হাতির বিরোধে'র কথাও উল্লেখ করে কিছু গণমাধ্যম। তবে চীন ও ভারতের মধ্যে রয়েছে অভিন্ন স্বার্থ। মতভেদের চেয়ে দু'দেশের অভিন্ন স্বার্থ অনেক বেশি। তাই ড্রাগন ও হাতির যৌথ নৃত্য দিয়ে দু'দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন বর্ণনা করা আরও উপযুক্ত বলে মনে করে চীন।
এতে আরও বলা হয়, বর্তমানে চীন ও ভারত দ্রুত উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ঊনবিংশ জাতীয় কংগ্রেসে নতুন যুগে চীনের উন্নয়নে তিনটি পদক্ষেপের নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত জানুয়ারির শীতকালীন দাভোস ফোরামে ভারতের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে বলেন, আগামী ২০২৫ সালে ভারত ৫ লাখ কোটি মার্কিন ডলার পরিমাণের অর্থনৈতিক সত্ত্বায় পরিণত হবে। সমৃদ্ধ দেশ গঠনের একই স্বপ্ন দেখে চীন ও ভারত। গত ২০১৪ সালে সি চিন পিং ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে নয় বার সাক্ষাত্ হয়েছে। যা দু'দেশের সম্পর্কের স্থিতিশীল উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নিশ্চয়তা প্রদান করেছে।
চীন ও ভারতের শীর্ষনেতার উহান অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে নবত্থিত বাজার অর্থনীতির দেশের মধ্যে সহাবস্থান এবং বিশ্বের কাঠামোগত পরিবর্তনে উন্নয়নশীল দেশের অবস্থা নিয়ে আলোচনা বিশ্বশান্তি ও উন্নয়নের জন্য খুব তাত্পর্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয় সম্পাদকীয়তে।
(রুবি/তৌহিদ)