প্রকৃতি ও পরিবেশ মন্ত্রী লি কান চিয়ে বুধবার জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে বেইজিংয়ের পিএম ২.৫'র গড় ঘনত্ব ছিল প্রতি ঘন মিটারে ৫৮ মাইক্রোগ্রাম, যা আগের বছরের তুলনায় ২০.৫ শতাংশ কম। অন্য তিনটি প্রধান দূষণ উপাদান হল : কার্বন ডাই-অক্সাইড, পিএম ১০, নাইট্রোজেন অক্সাইড; বেইজিংয়ের বাতাসে যাদের পরিমাণ ছিল গত বছরের তুলনায় যথাক্রমে ২০ শতাংশ, ৮.৭ শতাংশ ও ৪.২ শতাংশ কম।২০১৭ সালে চীনের বায়ুর গুণগতমানের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। বাতাসে প্রধান দূষক পিএম ২.৫, পিএম ১০,সালফার ডাই-অক্সাইডের গড় ঘনত্ব উল্লেখযোগ্য হ্রাস দেখা যাচ্ছে। বায়ূর প্রমিত মানদন্ডে পৌঁছানো শহরের সংখ্যা ১২টি বেড়েছে। তবে এর সঙ্গে সঙ্গে ওজোনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন,
দেশে পিএম ২.৫ ও পিএম ১০-এর ঘনত্ব যথাক্রমে ৬.৫ শতাংশ ও ৫.১ শতাংশ কমেছে। প্রধান দূষকের ঘনত্ব কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওজোন নির্ধারিত মানদন্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এর ঘনত্ব আগের বছরের চেয়ে ৮ শতাংশ বেড়েছে। এ সমস্যার ওপর নিবিড় দৃষ্টি রাখতে হবে।
লি কান চিয়ে জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে বার্ষিক পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্য ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বার্ষিক রিপোর্টে ২০১৮ সালে পরিবেশ রক্ষা কাজের প্রধান লক্ষ্যও উল্লেখ করা হয়েছে: দেশের প্রধান শহরের বায়ূর শ্রেষ্ঠ মানদন্ডে পৌঁছানো দিনের হার ৭৯ শতাংশে উন্নীত করা। দেশে যে শহরের পিএম ২.৫-এর ঘনত্ব মানদন্ডে পৌঁছাতে পারে নি, এসব শহরের পিএম ২.৫-এর ঘনত্ব আগের বছরের তুলনায় ২ শতাংশ কমাতে হবে।
লি কান চিয়ে বলেন, বার্ষিক লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য ২০১৮ সালে গভীরভাবে বায়ূ, পানি ও জমির দূষণ প্রতিরোধ ও মোকাবিলার কাজ ত্বরান্বিত করা হবে এবং 'নীল আকাশ রক্ষার তিনশালা পরিকল্পনা' নির্ধারণ করা হবে। তিনি বলেন,
'নীল আকাশ রক্ষার তিনশালা পরিকল্পনা' প্রণয়ন করা হবে। বেইজিং, থিয়েন চিন ও হ্যপেই প্রদেশ এবং আশেপাশের শহরসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকার বায়ূ দূষণ মোকাবিলা কার্যক্রম নির্ধারণ করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও প্রধান প্রধান শহরে কয়লা ব্যবহারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছর চীন সুপেয় পানির উত্স এবং দূষিত পানির মোকাবিলা বিষয়ক বিশেষ কার্যক্রম চালু করা হবে। প্রধানত গুরুত্বপূর্ণ নদী ও উপসাগরের বহুমুখী পরিচালনার কাজ ত্বরান্বিত করবে, এর সঙ্গে সঙ্গে দেশের কৃষি জমির দূষণ অবস্থার জরিপ সম্পন্ন করতে হবে।
(শুয়েই/মহসীন)