গত বছরের শেষ দিক থেকে চীন-ভারত সম্পর্ক ইতিবাচকভাবে উন্নতি হচ্ছে। দু'দেশের যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। ড.বি.আর.দীপাক উহানে অনুষ্ঠেয় দু'দেশের নেতাদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের উচ্চ মূল্যায়ন করেছেন। তিনি বলেন, যদিও দু'নেতার বৈঠকটি হবে অনানুষ্ঠানিক, তবুও তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এবারের বৈঠক দু'দেশের মধ্যে নিয়মিত আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের সংলাপের একটি ভাল ধারাবাহিকতা। বৈঠকে দু'নেতা আরেক ধাপে দু'দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ত্বরান্বিত, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি ও দু'দেশের বেসরকারি যোগাযোগের বিষয় নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা করবেন। বিশেষ করে, দু'নেতা উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় দু'দেশের অভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। যদি দু'দেশের উন্নয়ন কৌশলে এক মত পৌঁছানো যায়, তাহলে দু'দেশের সম্পর্ক ও নিজ নিজ উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
তিনি বলেন, গত ডিসেম্বরে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ও তৎকালীন রাষ্ট্রীয় পরিষদের সদস্য ইয়াং চিয়ে চি ভারত সফর করেন। এরপর গত বছরের মার্চ মাসে চীনা বাণিজ্য মন্ত্রী চং শান ভারত সফর করেন। এর মাধ্যমে দু'দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ১০১টি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তিগুলোর মোট আর্থিক পরিমাণ ২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। দীপাকের দৃষ্টিতে দু'দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার সমৃদ্ধ সুযোগ রয়েছে। তিনি অনুমান করেন যে, দু'দেশের অনুষ্ঠেয় অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে প্রধানত এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। তিনি বলেন, সহযোগিতার বিস্তর সুযোগ প্রকৃত সাফল্যে পরিণত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। এমন কি আরো বেশি সংশ্লিষ্ট সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করার সুযোগ আছে।
সাম্প্রতিক কয়েক বছরে চীন ও ভারতের অর্থনীতিতে উচ্চ উন্নয়নের গতি বজায় রয়েছে। দু'দেশ ধারাবাহিক উন্নয়নের পরিকল্পনা ও কৌশল প্রণয়ন করেছে। যেমন চীন 'চীনে তৈরী ২০২৫' ও 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ এবং ভারত' ১৫ বছরের উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা', 'ভারতে তৈরী' ও 'ডিজিটাল ভারত' পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। দীপাক মনে করেন, দু'দেশের উচিত উন্নয়নের নীতি ও কৌশলের অভিন্ন স্বার্থ সৃষ্টি করা। তিনি বলেন, ভারত ও চীন হল বৃহত্তর উন্নয়নশীল দেশ এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে সবচেয়ে দ্রুত উন্নয়নের দু'টি দেশ। দু'দেশ বিশ্বের অর্থনীতি উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। আমি মনে করি, ভারত ও চীন উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরো বেশি অভিন্ন স্বার্থ সৃষ্টি করতে পারবে, যাতে দু'দেশের আর্থ-বাণিজ্যিক ক্ষেত্রের যোগাযোগ ও সহযোগিতা গভীরতর এবং উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা যায়।
(ছাই/মহসীন)