সাক্ষাত্কালে ওয়াং ই বলেন, জাপান-চীন মৈত্রী সমিতির প্রতিনিধি ও পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা হওয়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। চীনের একটি প্রবাদে বলা হয়, পানি পান করার সময় কুয়া খননকারীকে ভুলে যাবে না। উপস্থিত প্রতিনিধিরা চীন ও জাপানের মৈত্রী কর্তব্যের সমর্থন ও নির্মাণকারী। যেকোনো পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মৈত্রী সমিতি দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বের দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়েছে, সে জন্য আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।
ওয়াং ই আরো বলেন, জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও জাপানি সরকার চীনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রেক্ষাপটে তাঁর এবারের সফর বাস্তবায়িত হয়েছে। জাপানের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বাভাবিকায়নে প্রচেষ্টা চালাবে বেইজিং। দ্বিপাক্ষিক শান্তিপূর্ণ মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরের ৪০তম বার্ষিকী উপলক্ষে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বিপাক্ষিক আদান-প্রদানের ইতিবাচক ও নেতিবাচক অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন করে ইতিহাসের নিরিখে যৌথভাবে সুন্দর ভবিষ্যতে গড়ে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেন ওয়াং ই।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বেসরকারি সমিতির মৈত্রী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ ও শ্রেষ্ঠ বিষয়। নতুন পরিস্থিতিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন সূচনার সম্মুখীন। বিভিন্ন মহলের মানুষের যৌথ প্রয়াসে দু'দেশের জনগণের মধ্যে বিনিময় জোরদার করা,বিশেষ করে যুবকদের মধ্যে মৈত্রী উত্তরাধিকার হবে বলে উল্লেখ্ করেন ওয়াং ই।
জাপানের মৈত্রী সমিতির প্রতিনিধিরা বলেছেন, চীন জাপানের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। দু'দেশের মৈত্রী দু'দেশের মৌলিক স্বার্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতি উত্সাহব্যাঞ্জক মনোভাব পোষণ করে টোকিও। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দু'দেশের জনগণের ঐতিহ্যিক মৈত্রী গভীরতর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তাঁরা।
(সুবর্ণা/মহসিন)