0404topic |
0404topic |
বোআও এশিয়া ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন ৮ থেকে ১১ এপ্রিল চীনের হাইনান প্রদেশের বোআও মহকুমায় অনুষ্ঠিত হবে। বোআও এশিয়া ফোরাম এশিয়ার ২৫টি দেশ ও অস্ট্রেলিয়ার যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত হয়েছে। ২০০১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি চীনের হাইননান প্রদেশের বোআও মহকুমায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফোরামটি একটি বেসরকারি, অলাভজনক, নিয়মিত আন্তর্জাতিক সংস্থা। তা সরকার, শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং পন্ডিত ও বিশেষজ্ঞের জন্য অর্থনীতি, সমাজ, পরিবেশ এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা একটি উচ্চ পর্যায়ের মঞ্চ দিয়েছে। ফোরামের উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এটি চীনে অবস্থিত সদর দপ্তরের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
গত অর্ধ শতাব্দীতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ নিজের প্রচেষ্টায় অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে এশিয়া দেশগুলোর প্রভাব শক্তি দিন দিন জোরদার হচ্ছে। নতুন যুগে অর্থনীতির বিশ্বায়ন এবং আঞ্চলিকায়নের সঙ্গে সঙ্গে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ বিরাট সুযোগের সম্মুখীন হচ্ছে। এসব সুযোগের সাথে সাথে কঠোর চ্যালেঞ্জও উপস্থিত। একদিকে, এশিয়ার দেশগুলোর উচিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সহযোগিতা জোরাদর করা, অন্যদিকে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেও বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করতে হবে। তাই কিভাবে বিশ্বায়নের সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা, নিজ অঞ্চলের অর্থনীতির সুষ্ঠু উন্নয়ন বজায় রাখা, পরস্পরের সহযোগিতা ও সমন্বয় জোরদার করা যায় এসবই এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সম্মুখীন অভিন্ন চ্যালেঞ্জ। এমন প্রেক্ষিতে এশিয়া বোআও ফোরাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
চলতি বছরের বোআও এশিয়া ফোরাম নিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই গতকাল (মঙ্গলবার) বেইজিংয়ে বলেছেন, এবারের ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেবেন প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ভাষণে চীনের সংস্কার-কার্যক্রম গভীরতর করা প্রসঙ্গ উঠে আসবে।