সম্মেলনে চুং শান বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র ঊনবিংশ জাতীয় কংগ্রেসে নতুন যুগে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের চীনা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারাকে নির্দেশনামূলক চেতনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আর সদ্যসমাপ্ত চীনের 'দুই অধিবেশনে' নতুন প্রজন্মের শীর্ষনেতৃবৃন্দ নির্বাচিত হন। গণকংগ্রেসের উপস্থিত সকল সদস্যের ভোট পেয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট ও কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান পদে পুনঃনির্বাচিত হন সিপিসি'র সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং। অধিবেশনে সংবিধানের সংশোধিত প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং রাষ্ট্রীয় পরিষদের সংস্থাগুলোর সংস্কারব্যবস্থা চালু হয়।
তিনি আরও বলেন, সিপিসি'র ঊনবিংশ জাতীয় কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চীনে সার্বিক উন্মুক্তকরণবিষয়ক নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে; 'এক অঞ্চল, এক পথ'-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে হবে; এবং বাণিজ্য ও সুবিধাজনক পুঁজি বিনিয়োগ জোরদার করতে হবে। এ-সিদ্ধান্ত চীন-ভারত আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ বয়ে আনবে। পাশাপাশি দু'দেশের আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা গভীরতর করতে ৭-দফা প্রস্তাবও তুলে ধরেন তিনি।
এসময় সুরেশ প্রভু বলেন, দু'দেশের শীর্ষনেতৃবৃন্দের মতৈক্য কাজে লাগিয়ে, চীনের সঙ্গে উন্নয়নের নতুন কৌশল সংযুক্ত করতে এবং উন্নয়নের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে ভারত ইচ্ছুক। চীনের অর্থনৈতিক বিশেষ এলাকা স্থাপনের অভিজ্ঞতা ভারতের জন্য উল্লেখযোগ্য। ভারতে পুঁজি বিনিয়োগ করতে চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বানও জানান তিনি। (ওয়াং হাইমান/আলিম)