চীনা দূতাবাস অনিয়মিতভাবে প্রেসব্রিফিংয়ের আয়োজন করবে: ঢাকায় নয়া রাষ্ট্রদূত
  2018-03-23 16:23:02  cri

 

বাংলাদেশে চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত চাং জো বলেছেন, এখন থেকে ঢাকার চীনা দূতাবাস অনিয়মিতভাবে প্রেসব্রিফিংয়ের আয়োজন করবে। এসব প্রেসব্রিফিংয়ে চীন-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে চীনের অবস্থান ব্যাখ্যা করা হবে। গতকাল (বুধবার) ২১ মার্চ দুপুরে ঢাকায় চীনা দূতাবাসে আয়োজিত তাঁর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে এ-কথা জানান রাষ্ট্রদূত চাং। এই প্রথম চীনের কোনো নতুন রাষ্ট্রদূত দায়িত্বগ্রহণের পর আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করলেন।

চাং জো গত ১২ ফেব্রুয়ারি তাঁর স্ত্রী ইয়াং ইউয়ান ছুনের সঙ্গে ঢাকায় পৌঁছান। ৭ মার্চ বিকেলে তিনি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন। এ-সময় চাং জো বলেন, নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি চীন ও বাংলাদেশের শীর্ষনেতাদের স্বাক্ষরিত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও সহযোগিতা-পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে এবং 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগের আওতায় দু'দেশের সহযোগিতা জোরদার করতে ও দু'দেশের সম্পর্কের সার্বিক উন্নয়নে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।

২১ মার্চ চীনা দূতাবাসে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনটি ছিল সেদেশের গণমাধ্যমের জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা। সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশের 'প্রথম আলো', 'ডেইলি স্টার', 'নয়া দিগন্ত', 'ডেইলি সান', 'জনকণ্ঠ', এনটিভি, ইটিভি, আরটিভি, ইনডিপেনডেন্ট টিভি, রেডিও দোল, চীন আন্তর্জাতিক বেতার, ও সিনহুয়া বার্তা সংস্থাসহ বিভিন্ন তথ্যমাধ্যমের পঞ্চাশ জনেরও বেশি সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত চাং হাসিমুখে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক, চীনের 'দুটি অধিবেশন', রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন ইস্যুসংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দেন।

বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাবার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমি রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশের মতো সুন্দর একটি দেশে প্রথমবারের মতো পা রেখেছি। মাত্র এক মাসে‌ই আমি গভীরভাবে উপলব্ধি করেছি যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকার সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজের প্রাণশক্তি সর্বক্ষেত্রে সঞ্চারিত হয়েছে এবং দেশটির সর্বত্র প্রাণপ্রাচুর্য লক্ষণীয়। ঢাকায় আসার পর আমি চীন ও চীনা জনগণের প্রতি বাংলাদেশি জনগণের বন্ধুভাবাপন্ন আবেগ, চীন ও বাংলাদেশের সহযোগিতার সুপ্তশক্তি ও বিস্তারের ক্ষেত্র, এবং দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার তীব্র আশা-আকাঙ্ক্ষা অনুভব করেছি। আমি আমার কার্যমেয়াদে নিষ্ঠার সাথে দু'দেশের নেতাদের স্বাক্ষরিত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করব এবং চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে নতুন পর্যায়ে উন্নীত করব।"

চীনের সদ্যসমাপ্ত 'দুই অধিবেশন' প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত চাং জো বলেন, "এটা চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ঊনবিংশ জাতীয় কংগ্রেসের চেতনা ও কৌশল কার্যকর করার অধিবেশন এবং চীনা জনগণের রাজনৈতিক জীবনের একটি বড় ঘটনা। এবারের অধিবেশনে সি চিন পিং শতভাগ ভোট পেয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এটা ১৩০ কোটি চীনা জনগণের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ। সি চিন পিংয়ের নতুন যুগে চীনা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার নির্দেশনায়, চীনা জনগণ চীনা জাতির মহান পুনরুত্থানের 'চীনা স্বপ্ন' বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ আস্থাশীল। চীনা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বড় রাষ্ট্রের কূটনীতি নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। চীন ও বাংলাদেশের কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্কোন্নয়ন-প্রক্রিয়াও গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এবারের 'দুই অধিবেশন'-এ আবারও এ-সত্য প্রতিভাত হয়েছে যে, চীন এখন সম্পূর্ণ নতুন মনোভাব নিয়ে উন্নয়নের নতুন যুগে প্রবেশ করছে। এই নতুন যুগ হবে মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি প্রতিষ্ঠার নতুন যুগ। এটা চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে নতুন পর্যায়ে উন্নীত করার নতুন যুগও হবে।

২০১৬ সালের অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সাফল্যের সঙ্গে বাংলাদেশ সফর করেন। তখন দু'দেশ কতকগুলো বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার চুক্তি স্বাক্ষর করে। সহযোগিতা-প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত চাং বলেন, "চীন ও বাংলাদেশ সরকার ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর যৌথ প্রচেষ্টায় পদ্মা সেতুর রেলওয়ে সংযোগ লাইন, কর্ণফুলি নদীর তীরে সুড়ঙ্গ, দাশেরকান্দি দুষিত পানি শোধণ কারখানা, তেল ও বাল্ক মালবাহী জাহাজ ক্রয়, এক পয়েন্ট দিয়ে ডাবল পাইপ লাইন, ঢাকা বিদ্যুত্ গ্রিডের উন্নতি, চীনের অর্থনীতি ও শিল্প উদ্যান, বিদ্যুত কেন্দ্র, চীন-বাংলাদেশ অষ্টম মৈত্রী সেতু, আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্রসহ মোট ১০০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ-প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের অবকাঠামো ও বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশ, গণজীবিকা উন্নয়ন, ও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এটা হবে চীনের 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাব এবং বাংলাদেশের 'সোনার বাংলা' স্বপ্নকে সংযুক্ত করার প্রচেষ্টার বাস্তব প্রতিফলন। এতে চীন ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার সম্পর্ক গভীরতর হবে।"

চীনের উন্নয়নে বাংলাদেশ কীভাবে লাভবান হবে? বিশেষ করে 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগে বাংলাদেশ কীভাবে অংশগ্রহণ করবে?--এমন দুটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'দীর্ঘদিনের প্রয়াসের ফলে চীনা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমাজতন্ত্র নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। দীর্ঘ কষ্টের পর চীনা জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে; সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী হওয়ার মহান পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০১২ সালের নভেম্বরে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেস আয়োজনের পরের পাঁচ বছর হল চীনের উন্নয়ন-প্রক্রিয়ার অসাধারণ পাঁচ বছর। পাঁচ বছরে চীনের জিডিপি গড়ে ৭.১ শতাংশ করে বেড়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে চীনের অবদান ১১.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে প্রায় ১৫ শতাংশ হয়েছে। ২০১৮ সালে চীনের লক্ষ্য হচ্ছে জিডিপি প্রায় ৬.৫ শতাংশ অর্জন এবং শহরে নিবন্ধিত বেকারত্বের হার ৪.৫ শতাংশের মধ্যে নিয়ন্ত্রিত রাখা। পরবর্তী পাঁচ বছর চীন ১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পণ্য ও সেবা আমদানি করবে, ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাইরের পূজিঁ আকর্ষণ করবে, বিদেশে ৭৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে, এবং বিদেশে চীনা ভ্রমণকারীর জনসংখ্যা ৭০ কোটি হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ-থেকে লাভবান হতে পারবে।"।

তিনি আরও বলেন, "চীনের উত্থাপিত 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাব একসাথে আলোচনা, প্রতিষ্ঠা ও ভাগাভাগি করার মূলনীতি অনুসরণ করে প্রধানতঃ সংশ্লিষ্ট দেশের যোগাযোগ, স্থাপনার সংযোগ, বাণিজ্যিক আদানপ্রদান, আর্থিক মধ্যস্থতা ও জনগণের যোগাযোগকে ত্বরান্বিত করবে। 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাব উন্মুক্ত ও সহনশীল; এটা রুদ্ধদ্বার ও বিদেশ-বিরোধী নয়। এটা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর 'সমবেত সংগীত', চীনের 'একক সংগীত' নয়। ' এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাব বাজারের নিয়ম ও আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অভিন্ন উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালাবে। এর সুফল সংশ্লিষ্ট সকল অঞ্চল তথা গোটা বিশ্বই ভোগ করবে। চীন বাংলাদেশকে অভ্যাহতভাবে 'এক অঞ্চল, এক পথ'-বিষয়ক আন্তর্জাতিক সহযোগিতার এক্সপ্রেসে উঠে দ্রুত 'সোনার বাংলা'-র স্বপ্ন বাস্তবায়নের আহ্বান জানায়।"

২০১৭ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে আজ পর্যন্ত রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের তথ্যমাধ্যম ও জনসাধারণের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। সাংবাদিক সম্মেলনে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক এ ইস্যুতে চীনের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চান। জবাবে রাষ্ট্রদূত চাং বলেন, "চীন ও বাংলাদেশ পরস্পরের কৌশলগত সহযোগী ও অংশীদার। চীন রোহিঙ্গা ইস্যুর ওপর গুরুত্ব দেয়; এ-বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থানকে সম্মান করে; বাংলাদেশের উদ্বেগকে গুরুত্ব দেয়। খুব কঠিন অবস্থার মধ্যে ও নানা সমস্যার মধ্যেও বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দিয়েছে। চীন লক্ষ্য করেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। দু'পক্ষ একাধিক প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, কার্যগ্রুপ গঠন করেছে। দু'দেশের এ-যোগাযোগ ও অর্জিত ইতিবাচক অগ্রগতি দেখে চীন সন্তুষ্ট।"

রাষ্ট্রদূত বলেন, "বাংলাদেশ ও মিয়ানমার চীনের সুপ্রতিবেশী। দু'দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা স্থাপনে ও রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকাজকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে ইচ্ছুক চীন। চীন আন্তরিকভাবে আশা করে, দু'দেশের যোগাযোগের এই সুষ্ঠু প্রবণতা বজায় থাকবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের কোন নিজস্ব স্বার্থ নেই, কোন পক্ষপাতিত্বও নেই। চীন আন্তরিকভাবে এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য দিতে চায়। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করেন। তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের তিন পর্যায়ভিত্তিক প্রস্তাব উত্থাপন করেন, যা দু'দেশের কাছে স্বীকৃতি পেয়েছে। দু'দেশের মধ্যে আস্থা স্থাপনের জন্য চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত সুন কুও ছিয়াং একাধিকবার বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করেছেন। চীন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ ইউয়ান রেনমিনপির জরুরি মানবিক সহায়তা দিয়েছে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ২০০০টি তাঁবু আর ৩০০০টি পশমী কম্বল। বর্ষাকাল আসার সাথে সাথে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের নিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। চীন বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী যথাসাধ্য সাহায্য দেবে। সম্প্রতি চীন বিভিন্ন সুযোগে সক্রিয়ভাবে মিয়ানমারে সংশ্লিষ্ট কিছু কাজ করেছে, যাতে মিয়ানমার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কিছু লোক গ্রহণ করতে পারে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করার আন্তরিকতা ও সক্রিয় মনোভাব দেখায়। এর পাশাপাশি চীন রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করছে। প্রত্যাবর্তনকারীদের গ্রহণ ও তাদের থাকার বন্দোবস্তু করার জন্য চীন আরাকান রাজ্যকে ১০০টি বোর্ড-ঘর দিয়েছে। চীন মিয়ানমারে চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও বণিক সমিতির সঙ্গে মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে এবং উন্নয়নের মাধ্যমে শান্তি স্থাপনের নীতির ভিত্তিতে আরাকান রাজ্যের সমস্যা সমাধানে স্থায়ী উপায় অন্বেষণ করছে। চীনের সক্রিয় প্রচেষ্টায় কিছুদিন আগে চীন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ—এই তিনটি দেশের মধ্যে বিদ্যুত সহযোগিতা নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যুত খাতে তিন পক্ষের সহযোগিতা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বর্তমান উত্তেজনাময় সম্পর্ক প্রশমন এবং অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও গণজীবিকা উন্নয়নের জন্য অনুকূল হবে। মৌলিকভাবে আরাকান রাজ্যের সমস্যা সমাধানের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে চীন।"

এ-সময় সাংবাদিকরা অনিয়মিতভাবে প্রেসব্রিফিংয়ের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বলেন, চীনা দূতাবাসের নতুন ব্যবস্থা দূতাবাসের সঙ্গে তথ্যমাধ্যমের যোগাযোগ জোরদার করতে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে চীনের বোঝাপড়া বাড়াতে সহায়ক হবে।

(ইয়ু কুয়াং ইয়ু আনন্দী/আলিম)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040